পাতা:প্রবাসী (ত্রয়স্ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৫৫১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বিজু দিদির কণ্ঠ গুনিয়াই বুঝিাছিল যে, সে তাহার প্রতি একটু চাটা গিয়াছে, কিন্তু চাটা যাওয়ার বিশেষ কারণ সে তো কিছু আবিষ্কার করিয়া উঠিতে পারিতেছিল না। স্থ, সত্যই তো দিদির গা ছুইতে আজকাল তাহার কেমন যেন একটু লজ্জা করে। দুই দিন আগেও এমন কথা সে ভাবিতে পারে নাই, কিন্তু যেদিন হইতে মানির বিবাহের কথা একটুআধটু কাশাযু্যা হইতে স্বরু করিয়াছে সেদিন হইতেই কেন জানি বিজু-এই দুৰ্ব্বলতা আপনার মধ্যে অনুভব করিতেছে। ইহার কারণ সে নিজেও ভাল করিয়া বুঝিয় উঠতে পারে না, তবে ইহা সে বুঝিমাছে যে, দিদির বয়স বাড়িয়াছে। আর সে-কথা বলায় এমনই বা কি অপরাধ হইয়া গেল তাহা তো সে ভাবিয়া পাইতেছিল না। এমন সময় কেয়াবনের ভিতর হইতে একটা ডাহুক পার্থী বোধ করি ডাকিয়া উঠিল। বিজু সভয়ে দিদির আরও কাছে আসিয়া তাহার হাতের কনুইয়ের কাছটা দুই হাতে চাপিয়া ধরিল। মানি বিশেষ রকম চম্‌কাইয়া উঠিয় এস্তে নিজেকে সামলাইয়া লইয়া বলিল,—এই না বড় লজ্জা করছিল তোর হতভাগ, আর যেই ডাহুক্ ডেকে উঠা, অম্নি ভয়ে বুঝি তোর লাজলজ সব চুলোয় গেল বিজু ? বিজু বিত্রত হইয়া অভিমান-জড়িত কণ্ঠে বলিল,— আমি তো এ-পথে এইজন্যেই আসতে চাইনি দিদি, তোর পাল্লায় পড়েই তো আসতে হ’ল । মানি অত্যন্ত বিরক্ত বোধ করিয়া বলিল,—দেব এইবার গালে তোর দুই চড় বসিয়ে। হতভাগ, কেন মরতে রাত পধ্যস্ত মালাদের বাড়ি থাকা হয় গুনি ? বয়েস হ'লে যে এতদিনে গায়ে টি টি পড়ে যেত। আর কখখনও আমি পারবে না তোকে ওদের বাড়ি থেকে নিয়ে আসতে—এই আমি আজি বলে দিলাম। বিজু মানির হাতটা আর একটু শক্ত করিয়া চাপিয়া ধরিয়া বলিঙ্গ-তোকে কে যেতে বলেছিল গুনি ? আমি না-হয় খেয়ে-দেয়ে মালাদের বাড়িতেই গুয়ে থাকতাম, তারপর কাল ভোরে বাড়ি আসতাম। তুই না এলে আমাদের cगरेंद्रकशहे प्ठ कषी झिल । মানি মনে মনে একটু হাসিল, তারপর ঠাট্টার স্বরে বলিল,—আমার গা ছুঁতে তোর লজ্জা করে, কিন্তু মালার পাশে গুতে তো তোর লজা করে না । বিজু মহাবিত্রত হইয়া বলিল,—কি জানি, অত জানিনে, তবে মালার তো তোর মত বয়সও হয়নি, আর বিয়ের সম্বন্ধও আসেনি যে লজ করবে আমার । মানি নির্জন কো-গন্ধ-কাতর গ্রাম্যপথ হাসিয়া মুখর করিয়া তুলিল। পরদিন মালা তাহাদের বাড়ি আসিল । বিজু তখন বাড়ি ছিল না । মানি মালাকে দেখিয়াই , হাসিতে শুরু করিয়া দিল। মালা মানির অত হাসি দেখিয় প্রখমটা একটু বিত্রত হইয়া পড়িআছিল সত্য, কিন্তু পরীক্ষণেই জাবার নিজেকে সংযত করিয়া লইয়া বলিল,-মানিদি, আমাকে দেখে তোমার অত হাসি কিসের শুনি ? মানি মালার একটা হাত ধরিয়া হাসিয়া গড়াইয়া পড়িয়া বলিল,—আয় ঘরের ভেতর তোকে একটা মজার কথা শোনাই। মালা অতি ভয়ে ভয়ে মানির সঙ্গে একটা ঘরের ভিতর প্রবেশ করিল। সে ঘরে তৃতীয় ব্যক্তি আর কেহ ছিল না । মানি মালাকে একটা তক্তপোষের উপর বসাইয় তাহারই গলা জড়াইয়া ধরিয়া নিতান্ত ঘনিষ্ঠ হইয়া বসিয়া মালার কানের কাছে মুখ লইয়া বলিল,—কাল রাত্তিরের কাও শোন তোকে তবে বলি। তোদের বাড়ি থেকে বিজুৰে নিয়ে আমি যখন কাল ঐ কোবনের পথ দিয়ে বাড়ি কিরছিলাম, তখন বিজুট তো সাপের ভয়েই মরে । ওটাকে বললাম, তোর যদি ভয় করে তো তুই আমার হাত ধরে চল বিজু। কিন্তু এমন হতভাগা ছেলে, বলে কি-না,— তোর এখন বয়েস হয়ে গেছে দিদি—তোর হাত ধরতে আমার কেমন যেন লজ্জা করে । শোন কৰা, ডেপো ছেলের – মানি এই পৰ্য্যন্ত বলিয়াই মালার গায়ের উপর হাসিয়া গড়াইয়া পড়িল। তারপর আবার নিজেকে সামূলাই৷ লই বলিতে লাগিল,- আমি তখন বললাম আমার হাত ধরে চলতে তোর লজা করে হতভাগা, কিন্তু মালার পাশে গুতে তো তোর লঙ্গ করেন। - —বললে তুমি -বলিয়া মালা লজ্জায় আড়ষ্ট হইয়া গেল।