পাতা:প্রবাসী (ত্রয়স্ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৫৫২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

سطRe) মানি বলিল,-ছ, বললাম বইকি । আর তাতেই তো চিট হয়ে গেল একেবারে। মালা কি যে করিবে এবং কি যে বলিৰে ভাবিয়া পাইতে ছিল না। মুখের চেহারা তাহার এমন হইয়াছিল যে, মানি সেদিকে চাহিয়া সকৌতুকে মনে মনে না হাসিয়া থাকিতে পারিতেছিল না। কিন্তু আর বেশী ক্ষণ এ কৌতুক উপভোগ করিতে গেলে হয়ত মালা না কাদিয়া ফেলিয়া থাকিতে পরিবে না মনে করিয়াই মানি মালার লজ্জা-রঞ্জন গাল আস্তে ব্যঙ্গ করিয়া টিপিয়া দিয়া বলিল,—আচ্ছা বোকা মেয়ে তো তুই মালা। তাই কি আমি বিজুকে বলতে পারি নাকি ? তোকে নিয়ে একটু রগড় করছিলাম। মালা আশ্বস্ত হইল সত্য, কিন্তু লজ্জা একেবারে কাটাইয়া উঠিতে পারিতেছিল না। বলিল,—য-যাও তোমার যত সব বিচ্ছিরি কথা মানিদি । —তা বটেই তো !—বলিয়া মানি উঠিয়া যাইতেছিল, এমন সময় কোথা হইতে বিজু ঝড়ের মত ছুটিয়া আসিয়া সে-ঘরে চুকিয়াই মালার চুলের মুঠি বঁ হাতে ধরিয়া পট পট করিয়া তাহার গালে গোট দুইচড় বসাইয়া দিয়া বলিল,—পোড়ারমুখি, তোমার জালায় ও-পাড়ায় যে আমার পা ফেলাই দায় হ’ল দেখচি । দশ জনের কাছে যে বড় ব’লে বেড়াস, আমি তোর গলায় মালা দেব বলেচি-কবে, কোথায় বলেচি শুনি ? ন, আমি তোর গলায় কিছুতে দেব না, একটা কলাগাছের গলায় দিতে হয় সেওবি আচ্ছ, তবু তোর মত যার একটা কথাও পেটে থাকে না তার গলায় কিছুতেই না। আকার, উনি আমার বদনাম রটিয়ে বেড়াচ্ছেন সৰ্ব্বত্র । মানি প্রথম ব্যাপারটা কিছু বুঝিতে না পারিয়া থতমত খাইয় দাড়াইয় ছিল, এখন আর সে চুপ করিয়া থাকিতে পারিল না। বিজুর দিকে আগাইয়া গিয়া তাহার একটা হাত ধরিয়া তাহার গালে বেশ করিয়া কয়েক চড় বসাইয়া দিয়া বলিল,-সব তাতেই ঘণ্ডামি তোমার হতভাগা । একএকটা কাও করে আসবেন, নিজেই কোথায় সব কি বলে আসবেন, তারপরে এসে যাকে খুলী তাকে ধীরে ধীরে ঠেঙাবেন। বলি, একি মগের মুল্লুক ? বিজু বিশেষ চমূকাইয়া গেল দিদির সাহল দেখিয়া। দিদির গায়ে তাহার অপেক্ষ শক্তি বেশী থাকিতে পারে &zi-toot; SనOBO, হয়ত, কিন্তু মেয়েমানুষের গায়ের শক্তি প্রয়োগ করার মধ্যে এতবিধ বাধা আছে ষে তাহাদের সে শক্তি কোন কাজেই প্রায় জালে না। এ সত্য বিজু ভাল করিয়াই জানিত। কাজেই দিদির সাহস দেখিয়া তাহার চমূকাইবার কথাই তো । তারপরেই বিজু দিদির চুলের আগ মুঠি করিয়া ধরিয়া তাহার পিঠে ঘাড়ে যথেচ্ছা কিল চাপড় বসাইতে স্বক করিয়া দিল। মানি তখন মহা মুস্থিলে পড়িয়া গিয়া কোনক্রমে কাপড়টাকে একবার সংযত করিয়া লইয়া বিজুকে একটা ধাক্কা দিয়া তাহাকে ঘরের মেঝের উপর ফেলিয়া দিয়া তাহার গলা চাপিয়া ধরিয়া বলিল,—উল্লুক, আর আসবি কখনও আমার সঙ্গে লাগতে একি বোকা মালাকে পেয়েচিস্ যে যখন খুণী দু-ঘা দিবি বসিয়ে ? মালা বিজুর মুখ চোখের ভাব দেখিয়া বলিল,—আঃ মানিদি, ছাড়, বিজুদার মুখ দিয়ে রক্ত উঠে গেল যে । মালার কথায় সহসা বিজুর মনে বীরত্বের সঞ্চার হইল । সে জন্তে তাহার মুখের কাছে ঝুকিয়-পড়া দিদির মুখের যেখানে পারিল সেখানে থিমূচি কাটিয়া রক্ত বাহির করিয়া ছাড়িয়া দিল। মানি তখন বিজুকে ছাড়িয়া দিতে दांशा श्ल । বিজু তখন উঠিয় দাড়াইয়া হাপাইতে ছাপাইতে বলিল,— আর কখনও আসবি আমার সঙ্গে লাগতে ?—বলিয়াই সে সেখান হইতে নিক্ৰান্ত হইয় গেল। মানিও তখন হাপাইতেছিল। সে একটু দম লইয় মালাকে বলিল,—দিন-দিন ওটা এমন ধগু হয়ে . উঠচে ! মার আদর পেয়ে পেয়েই ওটা একেবারে গোলায় গেল । মালা এই ব্যাপারে এতদূর বাধিত ও মর্শ্বাস্থত হইয়াছিল যে, তাহার মুখ দিয়া আর একটা কথাও বাহির হইতেছিল না। किङ कथीं न बलिट्टणe cष चांब्र डांशंब्र लब्जांब जयर्षि থাকে না। সে তাড়াতাড়ি মানির গায়ের ধূলা ঝাড়িয়া দিতে দিতে বলিল,—বাব, বাবা, বিজু কত বড় মিখাৰু। একটা কথাও এর সত্যি নয়, মানিদি। —সে জামি বুঝেচি। - বলিয়া মানি আবার বলিল,—একদিন এমন মার ওর কপালে লেখা আছে আমার হাতে-লেনিন ও