পাতা:প্রবাসী (ত্রয়স্ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৫৫৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মাঘী কেয়াৰলের পথ (??? মধ্যে রক্ষিতৃ একজোড় কানের দ্বল দেখাইয়া বলিল,—কানের স্থলস্টল হবে বোধ হয়। মানি লজায় তাহা দেওয়ার সময় ভাল করিয়া লক্ষ্য করিতে পারে নাই । মালা হাত বাড়াইম্বা তাহ মানির হাত হইতে লইয় তাহার উপর চোখের দৃষ্টিবুলাইমা বলিল,—বা, চমৎকার স্থল দিয়েচে তো। দুর্গাপুরের রাঙাবৌদির ঠিক এই রকম এক জোড়া ফুল আছে। বিজু-বলিল—কিন্তু দিদির শ্বশুড়বাড়ির লোকগুলো একটাও দেখতে ভাল না। ওরা আবার নাকি শহুরে লোক । ঠিক যেন দেখতে সব রায়েদের গোমস্তাগুলোর মত। মানি আর চুপ করিয়া থাকিতে পারিল না। বলিল,— তাতে তোর কিরে পোড়ারমুখো ? —ন, আমার আর কি ! তোকে নিয়ে গিয়ে ওরা যখন তামাক সাজাবে তখন বুঝবি –বলিয়া বিজু আপন কৌতুকে হাসিতে লাগিল । মালাও না হাসিয়া পারিল না । মানি রাগ করিয়া অন্তর চলিয়া গেল । মানিকে যাহারা আশীৰ্ব্বাদ করিতে আসিয়াছিল তাহারা আহারাদির পর অপরাঙ্কেই বিদায় লইয়া চলিয়া গেল। মালার কিন্তু যাই-ফাই করিয়া সন্ধ্য। ঘনাইয়া আসিল । তখন বিজু মানিকে বলিল,—দিদি, চ’ দু-জনে গিয়ে মালাকে ওদের বাড়ি পৌছে দিয়ে আসি। নইলে ফেরবার পথে একা আমার ভয় করবে । মানি বলিল,—আমি তো যেতে পারব না। তুই বরং অন্ত কাউকে সঙ্গে নিয়ে যা বিজু। বিজু বলিল,—কেন তুই পারবি না 7 সাপের ভয় তো তোর নেই। মানি বলিল,—সাপের ভয়ই কি দুনিয়াম সব নাকি রে? সাপের চেয়ে আরও ভীষণ জানোয়ার সব এ দুনিয়াম আছে। আর তা ছাড়া মা জামাকে কিছুতেই যেতে দেবেন না। জগত্যা বিৰুপাশের বাড়ির এক জনকে ডাকিয়া লইয়া লণ্ঠন ও লাঠি ঘাড়ে করিয়া মালাকে ঐ কোবনের পথ দিয়াই তাহাঁদের বাড়ি পৌছাইয়া দিয়া জালিল । ফেরার পথে বিজু ভাবিতেছিল, একদিন লে তাহার নির্ভীক দিদির সঙ্গে কৃত রাত্রেই না এপথে মালদের বাড়ি হইতে ফিরিয়াছে। আর আজ যেই দিদির সম্বন্ধ ঠিক হইয়া গেল অমনি যত রাজ্যের বাধা ভয় আসিয়া দিদির ঘাড়ে চাপিয়া বসিল। দুনিয়াটা এত তাড়াতাড়ি বদলাইয়া যাইতেছে কেন ? অার এক দিন মালাও হয়ত এ-পথে চলিতে সাহল পাইবে না। কেন, তাহাজের এত ভয় কিসের ? সাপ नञ्च, बांच नग्न, खड्-छांटनांब्रांब्र नम्न, उरद कि भांश्यहे তাহাদের ভয়ের কারণ ? মানুষ মানুষকে ভয় পায়,–এও ত বড় অদ্ভুত ! শেষে সে ভাবিল, হমত একদিন বয়স হইলে তাহার কাছে ইহা আর অদ্ভূত লাগিবে না, সে আশ্চৰ্য্যাম্বিত হইবে না। মানির বিবাহ হইয়া গেল। মানি ঐ কোবনের পথ দিয়াই নিতান্ত অপরিচিত একটি ছেলের সঙ্গে গাঁটছড়া বাধিম৷ একই পান্ধীতে চড়িয়া চলিয়া গেল। বিজু দেধিমাছিল দিদিকে চোখের জল ফেলিতে। এও অদ্ভূত। কোথাকার কে এক জন, জানা নাই শুনা নাই, হঠাৎ আসিল, দিদিকে তাহার লইয়া কোথায় চলিয়া গেল কে জানে! কে জানে কোথায় রামপুরহাট ! কিন্তু দিদি তাহার অত কম কাদিল কেন ? সে হইলে তো চোখের জলে দুনিয়া ভাসাইয়া দিত । অথচ সকলে সাদরে ঐ অপরিচিত ছেলেটির সঙ্গেই তো দিদিকে তাহার পান্ধীতে তুলিম্বা দিল। কিন্তু সে যে-মালার এত পরিচিত, তবু সেই মালার গায়েও হাত ঠেকাইতে তাহার এত লজ্জা বোধ হয় কেন ? লোকে দেখিলেও হয়ত তাহাকে মন্দ বলিবে। কি অদ্ভূত এই দুনিয়া! ভাবিয়া ইহার কূল-কিনার করিয়া উঠা যায় না। বিজু পান্ধীর সঙ্গে সঙ্গে কেয়াবনের পথে খানিক দূর গিয়াছিল। তারপরে দিদির ইঙ্গিতাকুযায়ী সমস্ত ভাবন জলাঞ্জলি দিয়া আবার বাড়ির দিকেই ফিরিয়া আসিল । মালা একনি জিজের বাড়িতেই ছিল এবং মানির বিবাহের হল্লায় মাতিয়া ছিল। বিজু বাড়ি ফিরিতেই মালা বলিল,—বিজুদ, জামাৰে এগিয়ে দিয়ে আসবে চল । মানিদি চলে গেল, মনটা আমার ভাল লাগচে না। বিজু অকারণে রাগিয়া উঠা বলিল,-জাৰায়ই যেন খুব ऊांण । क्र उवू trगिtब क्रिब चांनि, चांब्र छू-निम •रब्र cख