পাতা:প্রবাসী (ত্রয়স্ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৫৫৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

झेमष्प গুন্টর জেলায় মূৰ্ত্তম বৌদ্ধশিল্পের আবিষ্কার 6:36 সেগুলি স্থানান্তরিত হয়। তবে নাগমূৰ্ত্তি-উৎকীর্ণ স্ববৃহৎ একটি প্রস্তরখণ্ড,ছোট স্তুপ ও বুদ্ধপদচিহ্ন-উৎকীর্ণ দুইটি ছোট প্রস্তরখণ্ড এবং ভগবান বুদ্ধের জীবনের বিভিন্ন ঘটনাসম্বলিত একটি স্বদীর্ঘ প্রস্তরখণ্ড এখনও গোলী গ্রামেই একটি নবনিৰ্ম্মিত মন্দিরের মধ্যে রক্ষিত আছে । এই স্বদীর্ঘ প্রস্তরখএটি পাওয়া গিয়াছিল স্তুপটির দক্ষিণ দিকে ; বোধ হয় দক্ষিণ দিকের বেষ্টনীর ইহাই ছিল প্রধান অংশ ( frieze ) । অন্য তিন দিকের সুদীর্ঘ প্রস্তরখণ্ড তিনটি এচ স্থানে প্রাপ্ত অন্যান্য শিল্প-নিদর্শনের সঙ্গে মন্দ্রিাজের সরকারী চিত্রশালায় রক্ষিত হইয়াছে । স্তুপের একমাত্র পশ্চিম দিকের বেষ্টনীর প্রস্তরখণ্ডটি অবিকৃত ও অভগ্ন অবস্থায় পাওয়া গিয়াছে । মৰ্ম্মরপ্রস্তরখণ্ডটি দৈর্ঘ্যে বারো ফিটেরও উপর, প্রস্তে এক ফুট সাড়ে তিন ইঞ্চি ( ১২' ৩?” x ১৩" ) । বরহুত, সাচী, অমরাবতী প্রভৃতি স্থানের প্রাচীন বৌদ্ধ শিল্পধারার সঙ্গে যাহাদের পরিচয় আছে, নর ও নারী তাহারাই জানেন আমাদের দেশের প্রাচীন শিল্পীরা কঠিন পাথরের গায়ের উপর কি করিয়া বৌদ্ধধৰ্ম্মের বিচিত্র কথা ও কাহিনীকে রূপদান করিয়াছেন। কত পৌরাণিক কাহিনী, স্নাতকের কথা, বুদ্ধদেবের জন্মবৃত্তান্ত তাহারা অমর অক্ষরে লিখিা রাখিয়া গিয়াছেন। ভক্তদল যখন স্তুপ অথবা চৈত্য g ttt tB BBD TTBB tttBBB B BBBB uB আসেন, তখন এই প্রস্তরচিত্রগুলি যেন এক একটি জীবস্ত ধৰ্ম্মকথা তাহাদের চোখের সম্মুখে মেলিয়া ধরে ; এবং তাহার ফলে র্তাহার ধৰ্ম্মজীবনে যে আনন্দ ও প্রেরণা লাভ করেন, কোনো উপদেশ বা উপাখ্যান শুধু মাত্র বর্ণনা করিয়া নলগিরি হস্তীদমন তাহার উদ্রেক করা যায় না। গোলী স্তুপের প্রাচীরবেষ্টনীর প্রস্তরচিত্রে শিল্পীর প্রাচীন শিল্পের এই প্রথাই অবলম্বন করিয়াছেন। পশ্চিম দিকের বেষ্টনীর স্বদীর্ঘ প্রস্তরখণ্ডটির দুই প্রাস্তে দুইটি পুরুষারুতি নাগরাজ রাজলীলা ভঙ্গীতে দণ্ডায়মান, তাহদের মাথার উপরে সাতটি ফণা বিস্তার করিয়া আছে একটি নাগ । নাগরাজের মূৰ্ত্তি দুইটি অবিকল একই প্রকার ; কেবল বাম দিকের মূৰ্ছিটি একটু অসম্পূর্ণ। সময়ের অভাবে শিল্পী বোধ হয় সমস্ত খুটিনাটিগুলি ফুটাইয়া তুলিবার অবসর পান নাই। নাগরাঞ্জ একটি পা নাগের কুণ্ডলীর উপর এবং একটি হাত নাগদেহের উপর স্থাপন করিয়া, আর একটি হাত কটিদেশে ভর দিম৷ গ্ৰীবা হেলাইশ যেন একটু দৃপ্ত অথচ অলস ভঙ্গীতে দণ্ডায়মান। বৌদ্ধ ধৰ্ম্মপীঠের ইহারা দ্বারপাল । বস্ত্র ও অলঙ্কারের প্রাচুর্য্য কিছুই তাহার নাই ; কটিদেশে একটি বস্ত্রখণ্ড মাত্র যতটা সম্ভব স্বল্পবিস্তৃতভাবে জড়ানো, তাহার দুইটি প্রাস্ত কটিদেশের এক প্রান্তে এবং আর এক প্রান্তু দুইটি পায়ের মাঝখান দিল কিন্তু দর পর্যন্ত বালি নাগরাজ