পাতা:প্রবাসী (ত্রয়স্ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৫৬০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

SOEO @\> ৫ প্রবাসী সুট BBBBS BBB BBBBBB BB BBBB BB BBBD DDD DBBBB BDS DDDDS BBBB সমসাময়িক যুগের রাজরাজড় ও সম্রাস্ত ব্যক্তিদের মস্তকবরণের মত। বরহত, বুদ্ধগয়া, উদয়গিরি, অমরাবতী, সাচী প্রভৃতি স্থানের প্রস্তরচিত্রে ঠিক এই ধরণের বস্ত্রসজ্জা ও মন্তকাবরণ দেখা যায়। কিন্তু কি ইহুদের শিল্পরীতিতে, কি ইহাদের গড়নে ও মগুনে, কি ইহাদের বস্ত্র ও অলঙ্কার সজ্জায়, মুখ ও দেহাকৃতিতে এই নাগরাজ দুইটির অপূৰ্ব্ব সাদৃশু রহিয়াছে অমরাবতীর প্রাচীরবেষ্টনীর নাগরাজ-মূৰ্ত্তিগুলির সহিত । ইহাদের মধ্যে পার্থক্য কোথাও একেবারেই নাই । যাহা হউক, পশ্চিম দিকের প্রাচীরবেষ্টনীর দুই প্রাস্তের এই নাগরাজ-মূৰ্ত্ত দুইটি বাদ দিলে সমগ্র প্রস্তরখগুটিতে তিনটি স্বপ্রসিদ্ধ বৌদ্ধকথার চিত্র আছে। একটি চিত্র হইতে আর একটি চিত্রকে অতি স্থকৌশলে পৃথক করা হইয়াছে ; শিল্পী এই উদ্দেশে এক-একটি সম্পূর্ণ চিত্রের মাঝখানে একটি পুরুষ ও একটি নারীকে প্রেমলীলারত অবস্থায় চিত্রিত করিয়াছেন। কেহব। আবেশে কাহারও দেহু স্পর্শ করিতেছে, কেইবা কাহারও প্রেম-নিবেদনে ছলনাময় বিস্ময় প্রকাশ করিতেছে। এক দৃপ্ত হইতে অন্ত দৃপ্ত, এক চিত্র হইতে অন্য চিত্র পৃথক করিবার জন্য অমরাবতীতেও এই কৌশল অবলম্বিত হইয়াছে এবং উভয় ক্ষেত্রেই শিল্পরীতি, স্বল্প বস্ত্রসঙ্গ, দাড়াইবার লীলায়িত ভঙ্গী, নারী-নিতম্বের মেখলালঙ্কার, মন্তকাবরণ ইত্যাদি সমস্তই একই প্রকার। * এই প্রস্তরখগুটিতে যে তিনটি বৌদ্ধকথার চিত্র উৎকীর্ণ আছে, নিকট বুদ্ধদেবের আগমনের কাহিনী, তৃতীয়টি মলগিরি হস্তীদমনের দৃপ্ত । - ছন্দস্তু জাতকের গল্পটি একটু বলা প্রয়োজন। পূৰ্ব্বজন্মে একবার বোধিসত্ত্ব এক রাজহস্তী রূপে জন্মগ্রহণ করিয়াছিলেন ; তাহার ছয়টি বড় বড় - দাত ছিল, সেইজন্ত তীহাকে বলা হইত ছন্দন্ত ( সং, বড়দস্ত )। প্তাহার দুই পঞ্জীর একজন তাহার প্রতি একটু ঈর্ষ্যাপরায়ণ ছিলেন । মৃত্যুর পর তিনি নবজন্ম গ্রহণ করিয়া বারাণসীর রাঞ্জার পত্নীত্ব পদে বৃত হন এবং তখন তিনি পূৰ্ব্বজন্মের ঈর্স্যার চরিতার্থতা সাধন করিতে ইচ্ছুক হইয়া একবার অনুস্থতার ভাণ করেন। সেই ছদন্ত হাতীর দাতগুলি না পাইলে যে র্তাহার অস্বথ সারিবে না রাজাকে তাহাও জ্ঞাপন করেন। তৎক্ষণাৎ স্বদক্ষ শিকারী ছুটিল বনে ছদন্ত হাতী হত্যা করিম দাত আনিতে । শিকারী এক গৰ্ত্ত খুড়িয়া হাতীকে স্বকৌশলে তাহার মধ্যে আনিম্ন ফেলিল এবং তাহাকে হত্যা করিতে উদ্যত হইল । হস্তীরাজ তখন তাহাকে এই হত্যার কারণ জিজ্ঞাসা করিল। শিকারী সমস্তই খুলিয়। বলিল ; হীরাজ তখন নিজেই নিজের দাতগুলি কাটিয়া দিতে শিকারীকে সাহায্য করিল এবং অব্যবহিত পরেই পঞ্চভূপ্রাপ্ত হুইল । শিকারী দাত লইয়া রাণীর কাছে গেল ; কিন্তু দাত গ্রহণ করিবার আগেই রাণী শুনিলেন হস্তীরাজ মারা গিয়াছে, তখন তাহার মন দুঃখে ও অনুশোচনায় ভরিয়া গেল এবং তাহাতেই র্তাহার মৃত্যু হইল। দুইটি মাত্র দৃশ্বে এই গল্পটি প্রস্তরখণ্ডের উপর উৎকীর্ণ হইয়াছে। প্রথম দৃশ্বে দেখিতেছি, হস্তীযুখের লীল,তাহাদের মধ্যে ছন্দন্ত হস্তীরাজকেও দেখা যাইতেছে। তঁহারই পার্থে দেখি শিকারী প্রকৌশলে হস্তীরাজকে এক গর্ভের মধ্যে আনিয়া ফেলিয়াছে, এবং করাত দিয়া একটি দাত কাটিতেছে,