পাতা:প্রবাসী (ত্রয়স্ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৫৬২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

(?\ly, ং প্রবাসী ; SO8G). হইয়াছে এবং শিল্পরীতি ও ঘটনাবিন্যাস দুই ক্ষেত্রেই একরূপ । - নলগিরি হস্তীদমন—একবার দেবদত্ত অস্থয়াপরবশ হইয়৷ বুদ্ধদেবের অনিষ্ট করিতে কৃতসঙ্কল্প হন। সেই সময় একদিন


বেসূসন্তুর জাতক ১। রাজা ও রাণী পুত্র দুটিকে বহন করিতেছেন ২। বেস্সন্তর পুত্র দুটিকে দান করিতেছেন ৩ বেসৃসস্তুর দানের পর ধ্যানাসনে বসিয়াছেন বুদ্ধদেব যখন রাজগৃহে এক শ্রেষ্ঠীর বাড়িতে সশিষ্য নিমন্ত্রণরক্ষায় যাইতেছিলেন তখন দেবদত্ত এক মত্ত হস্তীকে পথের উপর ছাড়িয়া দিয়া তাহার ইচ্ছাপূরণের চেষ্টা করেন। আমাদের চিত্রের এক অংশে দেখিতেছি সেই মত্ত হস্তী পথে যাহাকে পাইতেছে তাহাকেই গুড়ে জড়াইয়ু আছড়াইয় ফেলিতেছে, পায়ের নীচে পিষিয়া মারিতেছে ; মহা বিপদ, সকলে ভয়ে ত্রাসে অস্থির চিত্রের অন্য অংশে দেখিতেছি শান্ত সৌম্যমূৰ্ত্তি বুদ্ধদেব সশিষ্য সেই পথে অগ্রসর হইতেছেন, তাহার মুখে ও ভাবে ভয় বা ত্রাসের চিহ্নমাত্র নাই। অপর দিকে মত্ত হস্তী অগ্রসর হইতে হইতে সম্মুখে বুদ্ধদেবকে দেখিয়া হঠাৎ সংযত হইয়া গেল এবং মস্তক ভূমিতে লুটাইয় তাহাকে প্ৰণাম করিল। এই অদ্ভুত দৃপ্ত দেখিয়া ভীতান্ত জনতা সানন্দে অধীর হইয়া হাত তুলিয়া বুদ্ধদেবকে অভিনন্দিত করিল। এই কাহিনীটিও জবিকল এই ভাবেই অমরাবতীর প্রাচীরবেষ্টনীতেও উৎকীর্ণ হইয়াছে এবং দুই ক্ষেত্রেই প্রত্যেকটি খুঁটিনাটি প্রত্যেকটি ভাব ও ভঙ্গী অপূর্ব লীলায় ব্যক্ত হইয়াছে , , পূৰ্ব্বদিকের প্রাচীর-বেষ্টনীর প্রস্তরখণ্ডটিও অপেক্ষাকৃত দীর্ঘ (৭৬০ x ১১ং" ) ; কিন্তু তাহার একটি প্রান্ত ভাঙিয়৷ গিয়াছে। সমগ্র প্রস্তরখণ্ডটিতে বেসূলস্তর জাতকের গল্পটি বিস্তারিত ভাবে উৎকীর্ণ। প্রাচীন বৌদ্ধশিল্পের যতটা পরিচয় আমাদের জানা আছে তাহার মধ্যে কোথাও এতটা সবিস্তারে এই কাহিনীটি বিবৃত হয় নাই । তাহা ছাড়া সমস্ত গল্পটির ধারা একটির পর একটি দৃশ্যে এমন সজীবভাবে অক্ষুণ্ণ আছে যে, শিল্পীর রুতিত্বে চমৎকৃত না হইয়া উপায় নাই । জীবনের একটা সচল গতিভঙ্গী যেন সমস্ত ঘটনাস্রোতের ভিতর দিম। আপনি বিকশিত হইয়া উঠিয়াছে। বেস ఇ সন্তর জাতকের গল্পটিও খুব সুন্দর । বেসসস্তর জাতক – যে জন্মে শুদ্ধোদন-পুত্র শাক্যসিংহ বুদ্ধত্ব লাভ করিলেন, তাঙ্গর ঠিক অব্যবহিত পূৰ্ব্বজন্মে বুদ্ধ কোন রাজগৃহে বেস্সস্থর নাম লইয়া রাজপুত্র রূপে জন্মগ্রহণ করেন ; বৈশ্য পল্লীর মধ্যে র্তাহার জন্ম হইয়াছিল বলিয়৷ তাহার নাম হইয়াছিল বেসসস্তর। বেস্সস্তর খুব দাতা ছিলেন ! তাহার পিতার একটি হাতী ছিল, হাতীটি যেখানেই যাইত সেখানেই বৃষ্টিপাত হইত। সেই দ্য রাজ্যের কৃষকেরা হাতীটিকে খুব মূল্যবান মনে করিত। একদিন কলিঙ্গদেশাগত কয়েকটি ব্রাহ্মণ রাজপুত্র বেসদস্তরের নিকট এই হাতীটি ভিক্ষ চাছিলেন, আর রাজপুত্র বিনা দ্বিধায় তাহা দান করিয়া দিলেন। রাজ্যের কৃষকের অভ্যস্ত দুঃখিত হইয়া রাজার কাছে নালিস করিল, ক্রুদ্ধ রাজা রাজপুত্রকে পত্নী ও দুই পুত্রসহ বনবাসে পাঠাইয়া দিলেন। পথেই ব্রাহ্মণের প্রথম র্তাহার রথের ঘোড়াগুলি ভিক্ষা চাহিয়া লইল ; তাহার পর পুত্র দুইটিকেও লইয়া গেল, এবং সর্বশেষে দেবরাজ ইন্দ্র আসিয় তাহার পত্নীকেও ভিক্ষ চাহিয়া লইলেন। তাহার এই অপূৰ্ব্ব দানশীলতায় দেবরাজ প্রীত হইয় তাহাকে তাহার পত্নী ফিরাইয়া দিলেন। এদিকে স্বাক্ষণের যখন র্তাহার পুত্র দুইটিকে লইয়া যাইতেছিল তখন তাহাদের