পাতা:প্রবাসী (ত্রয়স্ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৫৬৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

¢१३ যেমন পূর্ণরূপে দেখা যায়, তেমনই খৃষ্টীয় প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় শতকের শিল্পনিদর্শনও প্রচুর। সেইজন্যই মনে হয়, প্রায় হীর্ঘ চারি শতাৰী ধরিয়া অমরাবতীর ভূপের বিচিত্র সঙ্গ ও শোভন কাৰ্য্য চলিয়াছিল। গোলীতে এত বিভিন্ন সময়ের ও এত বহুকাল-বিস্তৃত শিল্পনিদর্শন পাওয়া যায় না। এখানকার বেষ্টনীতে যে-কয়েকটি বৌদ্ধকথা উৎকীর্ণ আছে, তাহার প্রায় সবগুলিই অমরাবতীর প্রাচীরবেষ্টনীতেও দেখা যায়, এবং আগেই বলিয়াছি, দুই ক্ষেত্রেই ঘটনাবিস্তাসের রীতি প্রায় একই প্রকার। তাহা ছাড়া, শিল্পরীতি, নরদেহের আকৃতি ও রূপ, বস্ত্র ও অলঙ্কার সজ, মুখাকৃতি ও দেহভঙ্গী, পাথরকে বিভিন্ন স্তরে কুঁদিয়া আলো ও ছায়ার লীলাবৈচিত্র্য দেখাইবার রীতি ইত্যাদি দিক হইতে একটু বিচার করিয়া tरषिण गश्रवहे दूका बीब चमब्रांदउँौब १शैश्च विउँौञ्च e তৃতীয় শতকের ভাস্কৰ্য-নিদর্শনের সঙ্গে গোলীর ভাস্কর্যনিদর্শনের খুব একটা নিকট-সাদৃশ্য আছে। কোনো কোনো "GEEIGIG Sово ক্ষেত্রে সাদৃশ্য এত প্রবল যে, চিহ্নিত না থাকিলে কোন নিদর্শনটি কোন স্থানের তাহ হয়ত নির্ণয় করাই কঠিন। বুদ্ধদেবের উত্তরবাস জড়াইবার ভঙ্গী, একচিত্র হইতে অন্ত চিত্র পৃথক করিবার রীতি, প্রস্তরের পাদপীঠের নিম্নে উৎকীর্ণ সিংহমুখ ইত্যাদি আরও দুই-চারিটি খুঁটিনাটি তুলনা করিয়া দেখিলেই অমরাবতীর শেষযুগের শিল্প-নিদর্শনের সঙ্গে বর্তমান শিল্প-নিদর্শনগুলির সাদৃশ্য খুব সহজেই ধরা পড়ে এবং গোলীভূপের বেষ্টনী যে খৃষ্টীয় দ্বিতীয় শতকের শেষভাগে অথবা তৃতীয় শতকে উৎকীর্ণ হুইয়াছিল তাহাও অল্পমান করা যায়। তাহা ছাড়া, একটি প্রস্তরখণ্ডে উৎকীর্ণ চৈত্যগাত্রে যে ব্রাহ্মী লিপিটি পাওয়া গিয়াছে, তাহার অক্ষর নাগাৰ্জ্জুনকোণ্ডায় প্রাপ্ত ইক্ষাকু-বংশীয় লিপির অক্ষরেরই প্রায় অনুরূপ, এ-কথা আগেই বলিয়াছি; ইহা হইতেই অনুমান হয়, প্রায় এই সময়েই গোলী-স্তুপ নিৰ্ম্মিত এবং তাহার ভাস্কৰ্য-নিদর্শনগুলি উৎকীর্ণ হইয়াছিল। বোকা খ্রীসীতা দেবী । রামনিধি ঘোষালকে ভগবান টাকাকড়ি দিয়াছিলেন বটে, তবে সৌভাগ্য দেন নাই। মৃত্যু যেন তাহদের পরিবারে নিত্য আগম্ভক ; এমন বছর যায় না, যখন একটি-ন-একটি মাঙ্গুষের ডাক পড়ে। রামনিধিকে জন্ম দিয়াই তাহার ম৷ গেলেন, পিতা বিধবা ভগিনীর সাহায্যে কোনোগতিকে ছেলেকে মানুষ করিয়া তুলিতেছিলেন, তিনিও তিন দিনের জরে বিদায় লইলেন, রামনিধি যখন মাত্ৰ পাচ বছরের। তখন হইতে রামনিধির অভিভাবক হইলেন পিসী আর পিসীর সপী-পুত্ৰ যোগেশ চক্রবর্তী। যোগেশ চক্রবর্তী এতদিন সংমায়ের কোনো খোঁজখবর করেন নাই, কারণ অনাখা বিধবা মাছুয, তাহার খোঁজখবর লইতে গেলেই পয়সা খরচ করিতে হয়, তাহার চেয়ে চুপচাপ থাকা ভাল। কিন্তু বিয়াত অমন একটি শালাল ভাইপোর রক্ষণাবেক্ষণের ভার পাইয়াছেন শুনিয়া যোগেশ আর স্থির থাকিতে পারিলেন না, গ্রামের তল্পিতল্লা গুটাইয়া বিমাতার ঘরে আসিয়া অধিষ্ঠিত হইলেন। তবে যতটা স্থবিধা করিবেন ভাবিয়া আসিয়াছিলেন, ঠিক ততটা হুইল না। রামনিধির বুদ্ধিগুদ্ধি বিশেষ কিছু নাই, আছে পিসীর প্রতি অগাধ বিশ্বাস। পিসীর কথায় সে ওঠে-বলে। পিসীও সতীন-পোকে একটু ভালরকম চেনেন, কারণ রামনিধির তত্ত্বাবধান করিতে আসিবার আগে তিনি যোগেশের মাতৃভক্তির পরিচয় বিশেষ রকম পাইয়া আসিয়াছেন। বাহা হউক, যোগেশ হাল ছাড়িল না। সংমা কিছু চিরদিন বাচিয়া থাকিবে না, জার বোকা রামনিধিরও তিনকুলে জাপন বলিতে কেহ নাই। একনি-ন-একদিন সৰুরের