পাতা:প্রবাসী (ত্রয়স্ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৫৬৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ઉર 8 মেয়ের বর্ণনা শুনিয়া রামনিধির পিসীমার উৎসাহ আরও যেন কমিয়া গেল। আবার জিজ্ঞাসা করিলেন, “মেয়ের বাপ কি করে ? অবস্থা কেমন?” । যোগেশ একটু ঘষিয়া গিয়া বলিল, “বাপ আর আছে কোথায় ? আমার শাশুড়ীর কাছেই আছে। তা ভাল অবস্থায় তোমার দরকার কি ? শ্বশুরের টাকায় ত তোমার ছেলেকে খেতে হবে না ?” বিধবা বলিলেন, “তবু সকল দিক দেখে ত মানুষ কুটুম করে। খোকার আমার নিজের মা বাবা নেই, শ্বশুর-শাশুড়ীও না থাকলে চলবে কেন ? একটা কেউ মাথার উপর ন৷ থাকলে ও ছেলের চলবে কি করে ? আমি কি আর চিরকালটা তার ভিটা আগলে বসে থাকব ।” যোগেশ মুখ বিকৃত করিয়া সরিয়া গেল। এই মেয়েটি হইলে সকল দিকেই ভাল হইত। বিনা পয়সায় শুালিকাটিকে পার করিয়া দেওয়াতে শ্বশুরবাড়িতে তাহার মানও বাড়িত, আর রামনিধির বউটিও তাহার খানিকট হাতে-ধরা হইয়া থাকিত। বুদ্ধিমুদ্ধির বালাই সত্যিই তাহার বিশেষ নাই, বয়সও অত্যন্তই কম। কিন্তু মেয়েটি সম্পর্কে তাহার শালী গুনিয়াই বিমাতার যা মুখের ভাব দেখা গেল, তাহাতে বিশেষ আশা আছে বলিয়া আর যোগেশের বোধ হইল না। কিন্তু সে হাল ছাড়িবার পাত্র নয়। নিত্য নূতন পাত্রীর সন্ধান আসিতে লাগিল, এবং মায়ের সঙ্গে রোজই এবিষয়ে তাহার পরামর্শ চলিতে লাগিল। ঘোড়া ডিঙাইয়া ঘাস খাওয়ার চেষ্টাও যে দুই-একবার না হইল তাহা নহে। কিন্তু রামনিধিটা একেবারে আকাট মুখ, নিজের ভালমন্দ পর্যন্ত তাঁহাকে বোঝান শক্ত। আর লুকাইয়া কোন কাজ তাহাকে शिंग्री করান ত একেবারেই অসম্ভব ব্যাপার। ভাইপোর বিছানা তুলিতে গিয়া একদিন পিলীম দেখিলেন বালিশের তলায় তিন-চারখানি ফোটোগ্রাফ, সব কয়টিই কিশোরী বালিকার, সব কয়টিই মোটের উপর দেখিতে বম্বর। বােগেশ তখন পাড় বেড়াইতে বাহির হইছে। পিলী রামনিধিকে ভাকিয় চোখ পাৰাই জিজ্ঞাস কৰিলেন, “এঘৰ পছবি কার রেr" . . . . - - -

  1. প্রবাসী ;

SOBO রামনিধি অত্যন্ত নির্ধাতিত ভাৰ দেখাইয়া , বলিল, “তা আমি কি জানি বা রে " পিসীমা গলার স্বর আরও চড়াই বলিলেন, “তুমি জান না কিছু, স্তাকা ছেলে ? তোমার বালিশের তলায় এল কি ক’রে ?” রামনিধি বলিল, “দাদা দিলে যে। বললে দেখ কোনটা ভাল।” পিসীমা হালি চাপিয়া ছবিগুলি নাড়িয়া-চাড়িয়া দেখিতে লাগিলেন। তাহার পর জিজ্ঞাসা করিলেন, “কোনটি সব চেয়ে ভাল ঠিক করতে পারলি ?” রামনিধি মাথা নাড়িয়া জানাইল যে, সে কিছু স্থির করে নাই, এবং অবসর বুঝিম্বা ঘর হইতে পলায়ন করিল। পিলীমা ছবি কয়খানি উঠাইয়া লইয়া নিজের ঘরে চলিয়া গেলেন। যোগেশের আন কোনো পাত্রী তাহার পছন্দ হইতেছিল না বটে, কিন্তু একলা বিধবা মানুষ তিনি, নিজেও বিশেষ কিছু করিয়া উঠিতে পারিতেছিলেন না। ইহার ভিতর খুজিয়-পাতিমা দেখিলে হয়। সকল দিক দিয়া ভাল একটাও না হওয়াই সম্ভব, যোগেশ কি আর সে দিক না দেখিয়া ছবি জানিয়াছে ? তবে স্বস্থ আর সদ্বংশের মেয়ে হইলেই এক রকম চলে, আর সব রামনিধির অদৃষ্ট। ছবিগুলির পিছনে ঠিকানা নাম সবই দেওয়া ছিল, পিসীমা স্থির করিলেন, তাহার এক সখীকে দিয়া খোজ করাইবেন । সকাল-সকাল খাওয়াদাওয়া সারিয়া তিনি চাদরের তলায় ছবিগুলি লইয়া বাহির হইয়াও গেলেন। সর্থী চন্দ্রমূখী সেগুলি নাড়িয় চাড়িয়াও দেখিলেন, তাহার পর বলিলেন, “ভাইপোর বিয়েই যদি দেবে, তা বন্ধুরই একটা উবগার কর না ভাই, হেথা লেখা না খুজে ।” পিসীমা একটু বিস্থিত হইয়া বলিলেন, “তোমার ত দুই ছেলেই ছিল জানতাম, আবার মেয়েও হয়েছে না-কি ?” চম্রমুখী তাহার গায়ে ঠেলা দিয়া বলিলেন, “আমার না হয় মেয়ে হয়নি, তাই বলে কি গুঠির মধ্যে কারও হয়নি? আমার বোনঝি স্থলীকে মনে নেই ”ি পিসীমা বলিলেন, “ও মা, সেই ফুটফুটে খুকিটা ? মনে चांबाब cनहे। उ cठाभद्रा कि चाब्र जावांछ cथाकन्न