পাতা:প্রবাসী (ত্রয়স্ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৫৭৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

স্বামী রঙ্গে সঙ্গ বলিয়াছেন, "এই সময় ত ৰোন্ত চর্চা করবে করে।" তিনি বেঙ্গাপ্ত উপদেষ্ট। স্বামী বিবেকানন্দও একজন প্রসিদ্ধ বেদান্ত উপদেষ্ট এবং আচাৰ্য্য ছিলেন। তিনি কিন্তু এই প্রসঙ্গে বলিয়াছেন, “আগে কৃষ্ঠাৰতারের (উদরের) পূজা চাই তবে ধৰ্ম্ম হবে ।" শ্রীরামকৃষ্ণদেৰও বলিতেন, "খালি পেটে ধৰ্ম্ম হয় না।” স্বামী অভেদানন্দ জস্তন্ত্ৰ বলিয়াছেন, "Politics নিয়ে যে থাকে, সে ত Hypocrite.” পৌরাণিক যুগের কয়েক জন প্রাতঃস্মরণীয় ঋষি মহর্ষি হইতে বর্তমান যুগের মহাত্মা গান্ধী পৰ্যন্ত যাহার রাজনীতির সহিত জড়িত ছিলেন এবং এখনও আছেন—ৰ্তাহারা কেহই স্বামীজীর এই মন্তব্য হইতে অব্যাহতি পান না। সুধীবৃন্দ কি তাহার এই উক্তির সহিত এক মত হইবেন ? তথাপি, এই পুস্তকপাঠে সকলের উপকার হইবে বলিয়া আশা করা যায় । ধৰ্ম্মসাধন—(দ্বিতীয় সংস্করণ) এললিতমোহন দাস, এম-এ, ' প্রণীত । প্রায় বত্রিশ বৎসর পরে এই পুস্তকের দ্বিতীয় সংস্করণ প্রকাশিত হইয়াছে । ইহার প্রতি ছয়ে প্রসিদ্ধ ব্রাহ্ম আচাৰ্য্য ললিতমোহন দাস মহাশয়ের গভীর জ্ঞান, ব্রহ্মনিষ্ঠ, অনুভূতি ও প্রেমের পরিচয় পাওয়া যায় । ভাষা এত সুন্দর ও সহজ যে বালক-বালিকারাও ইহ। অনায়াসে বুঝিতে পারবে। ব্রাহ্মসমাজের তরুণ-তরুণীগণের জন্ত লিপিত হইলেও প্রত্যেকেরই ইহা পাঠ করা কৰ্ত্তব্য। ভূমিক-লেখক পুনর্গঠন 6 రి ঐযুক্ত অশ্বিনীকুমার সেন বি-এ, মহাশয় বোধ হয় ধৰ্ম্মসাধন গ্ৰন্থখানি ভাল করিয়া মা পড়িয়াই ভূমিকা লিথিয়াছেন। কারণ মূল গ্রন্থের সহিত ভূমিকার সামঞ্জস্য নাই। প্রদ্ধের গ্রন্থকারের সাধন-প্রণালী সম্বন্ধে ভূমিক-লেখক বলিয়াছেন, “এ সাধন প্রণালী......শুষ্ক বৈরাগ্যে নয়।” কিন্তু ধৰ্ম্মসাধনে”র ১৮, ১৩৯ ও ১৪১ পৃষ্ঠায় দৃষ্ট হয়—"কেবল যুৱকদেরই যে অতিরিক্ত ইঞ্জিয়-চালনা দোষের তাহা নহে। যুবকই ইউন আর বৃদ্ধই হউন, বৈধ কিংবা অবৈধ, স্বাভাবিক কিংবা অস্বাভাবিক রূপে অতিরিক্ত ইপ্রিয় পরিচালনা করিলেই কৰ্ম্মফল ভোগ করিকেন । তবে যৌবনকালেই পাপের বীজ হৃদয়ে অঙ্কুরিত হয়, তাই সেই সময়েই বিশেষ সতর্ক হওয়া আবগুক ---পূজ্যপাদ ঋষিগণ ছাত্রাবস্থায় ব্ৰহ্মচৰ্য্যপালনের ব্যবস্থা করিয়া গিয়াছিলেন। আর আজ সেই ছাত্রজীবনে নানা প্রকার দুর্নীতি-ব্যাধি প্রবেশ করিয়া দেশকে উৎসন্ন দিতেছে । ধৰ্ম্মাচাৰ্য্যগণ তাহা দেখিয়াও দেখেন না।" এইরূপ ব্রহ্মচৰ্য্য বা ইক্রিয়-ভোগ-বিরতির উপদেশ গ্রন্থের বহু স্থানে पञांtछ् । ध्यब्रांशा अर्थ-दियाग्न बिब्रांकों । विशग्न दिब्रां★ वां क्ट्रिक नी আসিলে ব্ৰহ্মচৰ্য্য সাধন হয় না। ইহা হিন্দু ও ব্রাহ্ম সাধক মাত্রেই অবগত আছেন । প্রকৃত বৈরাগ্য-সাধনে হৃদয় শুষ্ক হয় না, মহা প্রেমেরই উদয় হয়। বুদ্ধ, খৃষ্ট, চৈতন্ত মহাবৈরাগী অথচ মহাপ্রেমিক ছিলেন। "ধৰ্ম্মসাধনে”র পরবর্তী সংস্করণে ভূমিক-লেখকের ঐরাপ অভিমত সংশোধিত ন হইলে মূল গ্রন্থের সহিত ভূমিকার অসামঞ্জস্ত থাকিয়! যাইবে । স্বামী চন্দ্রেশ্বরানন্দ পুনর্গঠন শ্ৰীহেমেন্দ্রপ্রসাদ ঘোষ পঞ্চবিংশ বর্ষ পূৰ্ব্বে ভারত-সচিব লর্ড মলি বড়লাট লর্ড মিন্টোকে উপদেশ দিয়াছিলেন– । “ভারতবর্ষের মত দরিদ্র দেশে মিতব্যয়িত, কামান ও দুর্গেরই (অর্থাৎ সামরিক ব্যবস্থারই ) মত দেশরক্ষার উপায় ।” তিনি মিতব্যস্থিতার কোন আদর্শ ভারত সরকারের সম্মুখে প্রতিষ্ঠিত করিবার চেষ্টা করিয়াছিলেন, তাহী জানিবার উপায় নাই। তবে মনে হয়, তিনি পারস্ত ও তিব্বত প্রভৃতি দেশের জস্ত ভারতের সামরিক ব্যয়ের প্রতি দৃষ্টি রক্ষা করিয়া এই কথা বলিয়াছিলেন। ভারতবর্ষের সামরিক ব্যয়ের আধিক্য যাহাতে নিবারিত হয়, সে-কথা ভারতবাসীর সকল প্রতিষ্ঠানই গত অৰ্ধশতাব্দীকাল বলিয়া জাসিয়াছে। কেবল সামরিক বিভাগই নহে –শাসন-বিভাগও যে বিশেষ ব্যয়সাধ্য, তাহাতে সন্দেহ নাই। তাহাতেও ব্যয়হাস করা ত দূরের কথা উত্তরোত্তর যে ভাবে ব্যয়বৃদ্ধি হইয়াছে, তাহা কাহারও অবিদিত নাই। এই বিভাগদ্বয়ে ব্যয়-সস্কোচের প্রয়োজনও যেমন অধিক, কিসে দেশের ধনবৃদ্ধি করা যায়, তাহার উপায় করাও তেমনই প্রয়োজন। এতদিন সে-বিষয়ে উল্লেখযোগ্য চেষ্টা হয় নাই বলিলেও অত্যুক্তি হয় না। সেই জন্য এতদিন পরে বাংলার গভর্ণর স্যর জন্‌ এণ্ডাসন পুনর্গঠন সম্বন্ধে যাহা বলিয়াছেন, তাহ বিশেষ ভাবে দেশের লোকের আলোচনার বিষয় হইয়াছে। আমরা লক্ষ্য করিয়া আসিতেছি, স্যর জন বাংলায় সম্রাসবাদের নিদান নির্ণয়ের চেষ্টায় এই সিদ্ধাভে উপনীত হইয়াছেন যে, দেশের আর্থিক