পাতা:প্রবাসী (ত্রয়স্ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৫৭৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

* মাথা નૃષન 6ණ් কৃষির ও কৃষকের উন্নতির এবং শিল্পপ্রতিষ্ঠার ও শিল্পজ পণ্য বিক্রয়ের উপর এই কার্যের সাফল্য সৰ্ব্বতোভাবে নির্ভর করে । বাংলা সরকার অনুসন্ধান জন্য যে বোর্ড গঠিত করিয়াছেন, সেই বোড আবশ্বক অনুসন্ধান করিয়া তাহাদিগের সিদ্ধান্ত লোকের বিবেচনার জন্য উপস্থাপিত করিবেন, আমরা এই আশা করি । আমরা ইহাও মনে করি যে, এই কার্যের জন্য যে কৰ্ম্মচারী নিযুক্ত হইয়াছেন, তিনি এ বিষয়ে আবশ্বক কার্য্যে প্রবৃত্ত হইবেন এবং কৃষি, শিল্প, সমবায়—এই বিভাগত্রয়ে ঘনিষ্ঠ যোগ সাধন করিয়া গঠনকার্য্যের সর্ববিধ উন্নতি সাধনের ব্যবস্থা করিবেন। সঙ্গে সঙ্গে আমরা বলি, সমবায়-নীতির স্বরূপ যেন আমরা বিস্তৃত না হই । যে কাজ যাহার সে কাজ সে করিলে যত ভাল হয়, স্থত অল্প বয়ে সম্পন্ন হয়, তত অপরের দ্বারা করাইয়া লইলে হয় না-হুইতে পারে না। স্বাবলম্বনের সহিত আত্মসম্মানের সম্বন্ধ অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ। আমরা যথাসম্ভব স্বাবলম্বী হইয়া কাজ করিলে সে কাজ সমাজে যেরূপ বদ্ধমূল হইবে, অন্য উপায়ে তাহা হইবে না। . বাংলা সরকারের চেষ্টা প্রশংসনীয় এবং উদ্যম আদরণীয়। সে উদ্যম সফল ও সে চেষ্ট জয়যুক্ত হউক। কিন্তু সেই চেষ্টা ও উদ্যম যদি বাংলার লোককে সমবায় নীতিতে কাৰ্যে প্রবৃত্ত করাইতে পারে, স্বাবলম্বী হইতে বদ্ধপরিকর করে, তবে তাহাতে যত উপকার হইবে, তত আর কিছুতেই হইবে না। শৃঙ্খল শ্ৰীমুখীরকুমার চৌধুরী ૨૨ জীবনের সর্ববর দুঃখভোগের সঙ্গে বিরোধ স্বরু করিবে বলিয়া প্রস্তুত হইয়াছিল, কিন্তু এই কয়দিন অজয়ের জীবনে এত বেদন৷ যতটা কেবল তাহার জীবনেই সম্ভব । দুঃখ ভোগ করিবার ক্ষমতায় নিজেকেও নিজে সে অতিক্রম করিয়া গেল। অসুস্থতার গ্লানি, সেই সঙ্গে সে যে অস্বস্থ এই চিন্তার দুঃসহতর গ্লানি। প্রেম লইয়া বেদন, এত করিয়াও নিজের জীবনে প্রেমের প্রদীপ যে সে জালাইতে পারিল না সেই পরাজয়ের গভীরতর বেনা। বুৰিতে পারিল না, যথাসৰ্ব্বস্ব দিয়া ভালবাসিয়াও প্রতিদানে কিছুই যে সে পাইল না সেই দীনতা তাহার বড়, না প্রতিদানে দিবার মত কোনও সম্পদ নিজের মধ্যে সে ষে খুজিয়া পাইল না সেই দারিদ্র্যই তাহার অধিকতর লজ্জাকর । এতদিন কেবল ঐন্দ্রিলাকে ভাবিয়াই বেদন পাইত, হাস্যময়ী বীণার চিন্তায় তাহার বেদনাতুর মনের আশ্রয় ছিল, এবারে বীণা ঐজিলা উভয়ের চিন্তাই তাহার কাছে সমান বেদনাময় হইয়া উঠিল। ইন্দ্রিমের সমস্ত দ্বার জুড়িয়া যখন জরতাপের অগ্নিশিখা দাউ-দাউ করিয়া জলিতেছে, তখন তাহার মধ্যে অনন্তচিত্ত হইয়া বসিয়া অগ্নিপরিবৃত তাপসের মত অজয় বহুদিন পর আবার একবার তাহার অস্তরের অনিৰ্ব্বচনীয়তার সঙ্গে, অপরিমেয়তার সঙ্গে পরিচয় করিতে চেষ্টা করিল। ভাবিতে চেষ্টা করিল, এই দুঃখমুখ লাভক্ষতি, এসমস্তের হিসাব নিরুপান্নতার হিসাব । তাহার জীবনের এই-সমস্ত ক্ষুদ্র সমস্যার একটি সহজ সমাধান কোনও একটি বৃহৎ উপলব্ধির মধ্যে নিশ্চয় কোথাও আছে, আশান্বিত চিত্তে এই চিন্তাকে প্রাণপণে সে ধরিয়া রহিল। নগরোপাস্তের নিভৃত প্রাস্তরে আসন্ন সন্ধ্যার ঘনায়মান অন্ধকারের মধ্যে দাড়াইয়া নিজের যে অতলম্পর্শ রহস্যরূপের সন্ধান সে একদিন পাইয়াছিল, অপরিচয়ের কাল অবগুণ্ঠন সরাইয়া সেই রহস্তের চোখে চোখে চাহিবার সাহস সেদিন তাহার হয় নাই। সেদিনও প্রাণপণ করিয়াই তাহাকে মনের কাছ হইতে সে দূরে ঠেলিয়া দিয়াছিল এবং জীবনব্যাপী তুচ্ছতাকে নিবিড় कब्रिह जफ़ाहेब क्रय ठांशंब्र क्षी गन्यू4 कब्रिछाई फूनिब