পাতা:প্রবাসী (ত্রয়স্ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৫৮৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২ মাম ', বীণা বলিল, “তুমি জানো না, জানবার তোমার কথা नबN फुर्ब नाथ अड नं ८ ज्यू अर्दै गश्ण कप्त्व झलन মাকুষ একসঙ্গে ঘর করতে বেরতে পারে।” তাহার একটি হাতকে নিজের দুই হাতের মুঠায় চাপিয়া ধরিয়া অজয় কহিল, “কেন ?" হাতটিকে আস্তে ছাড়াইয়া লইয়া বীণা কহিল, “এইজন্যে যে আঞ্জ তোমার ভাল লাগছে, কাল আর ভাল না লাগতে পারে। দুজন কাছাকাছি থাকার কত যে বিড়ম্বন তা ত তুমি জানো না ? কেবল আমাকে নয়, পৃথিবীর কোনও মানুষকেই, কোনও কিছুকেই এরপর একদিন ভাল না লাগতে পারে। কি তখন বাকী থাকবে যা নিয়ে সেই চরম দুৰ্গতিকে, ভুলবে ?” অজয় কহিল, “যদি ভালবেসে বিয়ে করতে চাইতাম, কি বাকী থাকৃত ?” বীণা কহিল, “ভালবাসাটাই বাকী থাকত। সে কখনে মরে না, তার বালাই নিয়ে মানুষ নিজে মরে যায়, সে মরে না। তার পরীক্ষাই ত ঐখানে ৷” অজমের গলার স্বরে হঠাৎ কেমন অস্বাভাবিক জোর আসিয়া লাগিল, বলিল, “কিন্তু মরুতে আমি চাই না, আমি বঁাচতে চাই । তোমার কাছে এই প্রার্থনাও আমার যে তুমি আমাকে বাচতে দেবে ।” বীণার দুই চোখ ছাপাইয় এতক্ষণে ঝর ঝর করিয়া কয়েক ফোটা জল ঝরিয়া পড়িল, বেদনার কোনও বিকৃতির চিহ্ন তাহার মুখে নাই, বড় করুণ একটু হাসি মুখে আনিয়া বলিল, “মরতে তুমি ভয় পাও বন্ধু ?” অজয় গলার স্বরে জোর দিয়াই কহিল, “হঁ্য, ভয় পাই। একথা আজ আমি স্বীকারই করব, ভয় পাই। কিন্তু তুমি আমার বন্ধু, তোমার কাছে এই মিনতি আমার, আমাকে তুমি ভুল বুঝে না। ভয় পেতে সত্যিই আমার লজ্জা নেই। এদেশে মহাসমারোহে মৃত্যুর সাধনা বহু যুগ ধরে ত চলেছে, এইবার চলতে হবে বাঁচবার তপস্যা । এই সত্যকেই আমার জীবনে আমি রূপ দিতে চাই, আমার সে সাধনায় তুমি হও আমার মন্ত্রসার্থী।” বীণা কছিল, “কি লাভ হবে, বাঁচবার মত ক’রে যদি স্বাচতে না পার ?” शृचण இ0:) অজয় কছিল, “বেঁচে থাকতে পারাটাই কি একটা লাভ নয় ?” বীণা কহিল, “আজ মনে হচ্ছে, হাত নয়।” অজয় কহিল, “মরে যাওয়ার চেয়ে বেশী লাভ নয় ?” বীণা কহিল, “কি হিসেবে লাভ ? দেশবিদেশের বড় বড় কথা আমি কখনো ভাবি না তা ত জানোই, কিন্তু সেইদিকৃ দিয়েও যদি দেখ, পৃথিবীর অন্য দেশগুলি আমাদের চেয়ে বেশী কোনদিকে কি লাভ করেছে ? তারা বেঁচে আছে, তুমি কি চাও ভারতবর্ষ সেইরকম করে বেঁচে থাকুক ? মানুষকে মানুষ বলে সে মান্য করবে না, ভালবাসবে না, শাণিত হয়ে থাকবে তার নখর, লোলুপ হয়ে থাকবে তার রসন, প্রেমহীন, দেবতাহীন সেই জীবনকে কি দেশের জন্তে তুমি কামনা কর " অজয় বলিল, “নখদন্তহীন আহত মৃগদেহ হয়ে থাকাটাই কি হবে আমাদের চূড়ান্ত লক্ষ্য ? কাউকে হিংসা করছি না সত্য, কিন্তু ভালই কি বাসছি ? নিৰ্ব্বিচারে সকলকে ভয় করছি, সেইটেই কি মনুষ্যত্বের পরাকাষ্ঠা ?” বীণা বলিল, “তাe নয়। বঁচিবার মত করে বেঁচে থাকবার সাধন করতে হবে । সেই সাধনা তোমার হোক । সে-পথে ভালবাসাকে বর্জন করলে চলবে না, তাতে বোঝা যতই দুৰ্ব্বহ হোক। সেই হবে তোমার সব-চেয়ে বড় পাথেয়।” অজয় হঠাৎ নিৰ্ব্বাক্ হইয়া গেল। বীণার শেষ কথার -জবাব চট করিয়া তাহার মুখে জোগাইল না। যখন কথা কহিল, তাহার গলায় পূৰ্ব্বেকার সেই জোর আর অবশিষ্ট নাই, কেবল দুই হাত একসঙ্গে মুষ্টিবদ্ধ করিয়া নতমস্তকে বলিল, “আমি তোমাকে কথা দিচ্ছি, তোমাকে আমি ভালবাসব।” বীণা উঠিয়া পড়িল, তাহার ঠোঁটের এক কোণে আবার অত্যন্ত করুণ একটি হাসির রেখা, কহিল, “লোভ হচ্ছে, কিন্তু তবু বলছি, পারবে না, সে পারা যায় না।” অজয় ছুটিয়া গিয়া তাহার দ্বার-রোধ করিয়া দাড়াইল, কাতর মিনতি কণ্ঠে ভরিক্ষা কহিল, “যদি পারি ?” আবার নীরবতা, আবার কয়েক বিন্দু অশ্রুজল, তারপর বীণা কহিল, “যদি পার, সেদিন আবার এসো। আমি অপেক্ষাই করব। অপেক্ষা করা ছাড়া আমার আর উপায় কি বল ?” বীণার পথ ছাড়িয়া দাড়াইয়া অজয় কহিল, “কিন্তু তুমি