পাতা:প্রবাসী (ত্রয়স্ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৫৯২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Ꮘ8& * કવિ ! 需T ” SనOBO _ অজয় দুই করতলে মুখ ঢাকিয়া নিম্পেদ হইয়া বসিয়া আছে, এমন সময় বিমানের ছড়ির একটা প্রাস্ত ধরিয়া তাহাকে টানিয়া লইয়া রাহু আসিয়া ঘরে ঢুকিল । কছিল, “পার্কে ভলাটিয়ারদের প্যারেড ছিল, বিমানবাবুকে সেখান থেকে ধরে এনেছি ” * বীণা কহিল, “রান্ত কি সৰ্ব্বভূতে বিরাজ করিস্ ? সকলের সঙ্গে সব-জায়গায় তোর দেখা হচ্ছে ।" বিমান কহিল, “শুনলে রাহুলদার ? তোমার দিদি তোমাকে ভূত বলছেন।” রাহু বলিল, “সৰ্ব্বভূত মানে বুঝি ভূত ? সৰ্ব্ব মানে সকল, জার ভূত মনে পদার্থ।” বিমান কহিল, “তা তুমি একজন ভদ্রলোক, তোমাকে পদার্থ বলাটাও কম অপমান নয় ।” ইহার কিছু পরে বিমানকে রাখিয়া অজয় একাকী বীণাদের বাড়ী হইতে বাহির হইয়া আসিল । তারপর আর কি ? থাকিয়া থাকিয় যেমন করিয়া নিজেকে সে সম্পূর্ণ করিয়া হারাইয়া ফেলিত, নিজের কাছে নিজের ব্যক্তিত্বের তাহার কোনও অর্থ থাকিত না, তেমনই ভাবে বীণারও কোনও অর্থ তাহার কাছে আর রহিল না। বীণা বলিয়া কেহ যেন নাই, ঐ নামের কোনও মানুষ তাহার জীবনে কোনওদিন ছিলও না। সে যেন একটি মাধুর্যময় স্বপ্নের অবশেষ, দুরন্থতির একটি নামহীন আবেশম স্বরের ঝঙ্কার মাত্র। ভুলিয়া গেল তাহাকে কথা দিয়াছিল, তোমাকে আমি ভালবাসব। ভুলিয়া গেল বীণা বলিয়াছিল, অপেক্ষ করা ছাড়া আমার আর উপায় নেই, আমি অপেক্ষ করব বন্ধু। স্বপ্নে কাহাকে কি কথা দেওয়া হইয়াছে, তাহ কে কবে আবার মনে করিয়া রাখে ? তাহ ছাড়া, ভালবাসূব, এ প্রতিশ্রতিরই বা মূল্য কতটুকু? নিজের অন্তরের ষে-সম্পদ ব্যাকুল আগ্রহে বীণাকে সে নিবেদন করিয়া দিতে গিয়াছিল, ভালবাসা হহঁতে কম মূল্যবান বলিয় তাহাকে সে ত মনে করে না । সেই প্রত্যাখ্যাত নিবেদনের পাশে ভালবাসার নৈবেদ্য সাহিতে তাহার মন উঠে না। বীণাকে ভোলে, কিন্তু বীণার নিকট হইতে শোনা একটি কথা ক্রমাগত তাহার কানে বাজিতে থাকে। সবদিক্ রক্ষা করা যায় না, কোথাও কোথাও কিছু ছাড়তে হয় তা না : মানুষ দেবতা হয়ে যেত। ভাবে, হয়ত দেবত্বের লোভৰ্ব ছিল আমার জীবনে, কিন্তু তা হয় না। আমি মানুষ। ভঙ্গুর আমার জীবন, নশ্বর এই দেহ, ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র আমার দান করিবার এবং গ্রহণ করিবার ক্ষমতা । না দিলে আমার পাওয়া হয় না, ন পাইলে আমার দেওয়া হয় না। এই দুয়েতে সীমাবদ্ধ হইয়া থাকিয়াই আমার মনুষ্যত্ব। কেবল আহরণের মধ্যে সত্য নাই, কেবল ত্যাগের মধ্যেও নাই । এ দুয়ের একটি সহজ সমাধান কোথাও আছে । আমার জন্যও আছে, আমার দেশের দেশের জন্যও আছে । সেই সভ্যকে আবিষ্কার করা, হউক এখন হইতে আমার ব্রত, আমার অনন্তমনের তপস্তা । বীণা বলিয়া তাহার মনে যে একটি স্বপ্নময় জ্যোতির মূৰ্ত্তি, মন্ত্রদ্রষ্ট বলিয়া জোড়হাত কপালে ঠেকাইয়া তাহকে সে নমস্কার করে । বিমান দেশের সবসেরা সমস্ত বলিয়া একটি জিনিসকে ধরিয়া রাখিয়াছিল, তাহা দেশের মামুষের গুণকৰ্ম্ম-বিভাগের বেহিসাব। বলিত, এ দেশের সর্বত্র রামের কাজ শুাম করে, শুমের কাজ যন্থ, কারও কাজই তাই ঠিক মত করা হয় না। এ জাবনে কোনও কাজ তাহার করাই হইল না সেই দুঃখে । অসহযোগ-আন্দোলন পৰ্ব্ব একটু জমিয়া উঠিতেই স্বভদ্রের বন্ধুবান্ধবদের মধ্যে সে-ই প্রথম উৎসাহ করিয় তাহাতে যোগ দিল। কহিল, “বাবা, এতদিন পরে এমন একটা কাজ পেয়ে বেঁচে গেলাম যা অন্য কারুর ভাত না মেরেও আমি স্বচ্ছন্দে করতে পারি।” কহিল, "দেশের man powerকে জোয়ালে বেঁধে কা.জর অভাবে অকাজে লাগিয়ে দিতে পারার ফলও আখেরে ভালই হবে। এতদিন ধরে অব্যবস্থায় এর অপচয়ই ত কেবল হয়ে এসেছে।” সব চেয়ে বেশী সে অনুভব করিত ও বলিত, দেশের ক্ষাত্র-শক্তির অব্যবহার ও অপব্যবহারের কথা। তাই ডাক যখন আসিল, সে-ই প্রথমে সাড়া দিল। হুইলই বা অহিংস সামরিকত, ভাবিল, ইহারই মধ্যে দিয়া দেশের একটা বড় সমস্তার সমাধান হুইবে । বাহিরে সে শিল্পী, কিন্তু অস্তরে সে সৈনিক, অন্ততঃ নিজে সে তাই ভাবে। সে বলে, ইংরেজ