পাতা:প্রবাসী (ত্রয়স্ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৫৯৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মাম 6थांबTशैङि @8> বিমান কহিল, “তোমার প্রিয়াদের গায়ের ষ্টীমার-স্টেশন থেকে অজয়কে পুলিশ ধরে নিয়ে গেছে।” * সুভদ্ৰ কহিল, “সে কি? হেতু ?” বিমান কহিল, “সেইটেই কেউ জানে না। কাছেই কোথায় ডাকাতি না কি হয়েছিল, সে এলাকায় অজয়ের তখন থাকবার কথা নয় । কেন এসেছিল, কার কাছে এসেছিল, তার কোনো সন্তোষজনক জবাব সে দিতে পারে নি।” স্বভদ্র কহিল, “প্রিয়দাদের গায়ে ? অজয় কি করতে গিয়েছিল সেখানে ?” বিমান কহিল, “ত যদি জানতাম তবে ত ওকে ক্ষা করবার উপায়ই হয়ে যেত। যা দেখছি, বেশ কিছুদিনের মত ঠেলবে ।” স্বভদ্র কহিল, " সে নিজে কি বলেছে ?” বিমান কহিল, “কিছুই নাকি প্রায় বলেনি। বলেছে, আমার কাজ ছিল, কিন্তু সেটা এমন একান্ত ভাবেই আমার স্বভত্ৰ কহিল, “মাথাটা ওর একেবারেই গেছে।" বিমান কহিল, “তা শুধু ওর কেন, আরো অনেকেরই গেছে, কিন্তু সেইটে প্রমাণ করাই সে সব-চেয়ে দুঃসাধ্য ব্যাপার এই দেশে ” বীণা ঐন্দ্রিলাকে চিঠিতে লিখিল, "এত দুঃখের মধ্যেও একটা এই সাস্তুন যে এতদিন পরে নিঃসংশয়ে বোঝা গেল, তোকে সে ভালবাসে।” ঐম্ভিলা জবাবে লিখিল, “কিন্তু একটা কথা একেবারেই নি:সংশয়ে বোঝা গেল না। তুমি যা বলছ তাই যদি সত্য হয় তবে সেকথাটা চাপা দেবার জন্যে কারাবাসের মত এত বড় দুঃখ বরণ করবার কি প্রয়োজন ছিল ? স্বতরাং হয়. তোমার সিদ্ধান্তে ভুল আছে, নয়ত সত্য যা তার সমস্তটাকেতুমি জানে না।” - ( সমাপ্ত ) নিজের কাজ যে তার কথা পৃথিবীর আর কাউকে বলা চলে না ।” গ্রাম্যগীতি শ্ৰীহেম চট্টোপাধ্যায় ওরে কোন গেরামের গাঙের বুকে কোন দেশেরি নাইম, আসবে রে ঝড় ভয় কি নাই ফেলল আকাশ ছাইম, বঁশের বঁাশী বাজায় বসি দূরের পানে চাইয়া। তবু তুই যে বলে আছিল দূরের পানে চাইলা । ওপারে এক হিজল গাছে ডাকে ঘুঘুপার্থী, ওই পাড়ে ওর মন গিয়েছে, ( সেও বুঝি ) তারই মত একা থাকে গো, আসল কে আজ ঘাটে, ও তার উদাস কেন আঁথি ! তার সাথে ওর পরাণ গেল শিমুল তলার মাঠে, গলুইর পরে রাইখ বাণী কি জানি গান গাইয়া, জোছনা ওরে কাদায় খনে কাদায় বালুচর, রইল বসে গো কেমন করেই জানি দূরের পানে চাই। চেয়েই থাকে কার পানে গো কেউ কি ভাবে পর! ঘাটের মাঝি ডাকে সবে (ওরে ) কি হ’ল তোর আজ, কার কাছে ওর মন যে বাধা গেল না রে পাইয়া,— দেখ না চেয়ে আকাশ পানে কালা মেঘের সাজ, দিন গেল হায় মিছামিছি দূরের পানে চাইয়া!