পাতা:প্রবাসী (ত্রয়স্ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৫৯৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মাঘ डेश्ष्ब्रजौ उक्लार्थ थिचो Go", আরোহণ ইত্যাদি । কিন্তু আমাদের ধনী জমিদার বা ব্যবসাদারের মধ্যে এর এ টিও দেখা যায় না। উদ্দেগুবিছ ন জড়ভরত হইয়া উহার প্রকৃত পশুর ছায়ই জীবনযাত্রা নিৰ্ব্বাহ করিয়া থাকেন। ৬• বৎসর বা ততোধিক পূর্বে এই কলিকাতা শহরে দেখা যাইত যে, রাজপথে বা গড়ের মাঠে ধনর সস্তানগণ প্রাতঃকালে বা সন্ধ্যার পূৰ্ব্বে অশ্বারোঙ্গণে ভ্রমণ করিঙেন । অনেকে আবার শকারপ্রিয়ও ছিলেন। এখনও অনেক জ মদারের গৃহে ব্যাঘ্র ও অস্তান্ত বন্যপশুর চৰ্ম্ম দৃষ্ট হইয়া থাকে ! এস্থলে মহারাজা সুৰ্য্যকাস্তের বিষয় বলা যাইতে পারে। তিনি এ-বিষয়ে অগ্রণী ছলেন, তাহার সম্বন্ধে "বংশপরিচয়" নামক গ্রন্থ হইতে কিছু উদ্ধত করিতেছি—“তিনি বসন্তের প্রারম্ভে পৰ্ব্বতের উপত্যকাপ্র দশে শিবির সন্নি বশ করিতেন এবং কখনও থেদা ক কুয়া হস্তী ধরিতেন, কখনও হিংস্র বাস্ত্র ভল্লুক প্রভৃতি আরণ্য পশুর অনুসরণ ক রয়া বিপুল আনন্দ অনুভব করতেন । তাহার শতাধিক শিক্ষিত শিকারী হস্তী ছিল। ঐ সকল হস্তীর প্রতি তাহার এতাদৃশ যত্ব ছিল যে তিনি স্বয়ং উহাদিগকে লালনপালন ও পর্যাবেক্ষণ ক িতেন । মুগয়া ব্যাপারে তাহার অনন্তসাধারণ দক্ষতা ইউরোপের প্রসিদ্ধ শিকারীগণেরও বিস্ময় উৎপাদন করিয়া ছল গোবরডাঙ্গার জমিদারদিগেরও শিকারের জন্য সবিশেষ খ্যাতি আছে । বৰ্ত্তমান সময়ে দেখা যায় যে, রেড রোড, প্রিন্সেপ ঘাট, ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল হল, ইডেনগার্ডেন প্রভৃতি স্থানে র্যাহারা প্রাতঃকালে ও সন্ধ্যার সময় বিশুদ্ধ সমরণ পেবন করিতে পাসেন, তাহাদের মধ্যে শতকরা ৯৫ জন অবাঙ্গালী । ইহাতে বোঝা যায় যে ধনী বাঙ্গালী সন্তানগণ কি প্রকার অলসপ্রকৃতি হইয়া উঠিয়াছেন, এবং সেই কারণে ঠংহাদের স্বাস্থ্য ও আয়ুক্ষয় হইতেছে, অনেকেই ৩-৪ বৎসর পার না হইতে হইতেই বাত, ডায়া বটস্ ও হৃদরোগগ্ৰস্ত হইয়া পড়েন । তিন বৎসর অতীত হইল বি শষ্ট শ্রমিক-নেতা ও ভারত-বন্ধু মিঃ ব্রেল ফোর্ড ভারত ভ্রমণ করিয়া তদেশীয় জমিদার এবং ভারতবর্ষের জমিদারদিগের তুলনা করিতে গিয়া প্রসঙ্গচ্ছলে বলিয়াছিলেন যে যদিও ইংরেজ জমিদারব র্গর প্রতি তার বড়-একটা শ্রদ্ধা নাই, তথাপি মুক্তকণ্ঠে ইহা স্বীকার্ষ্য যে ইংলণ্ডর ভূম্যধিকারিগণ কু মৃ ও গো-পালনের উন্নতিকল্পে অজস্র এর্থব্যয় ও শক্তিলামর্থের নিয়োগ করিয়া থাকেন। কৃ.য ও গোজাতির উন্নতির জগু গভর্ণমেণ্টের দিকে তাহারা তাকাইয়া থাকেন ম৷ ৷ কিন্তু ভারতবর্থের জমিদারবর্গ এ-বিষয়ে একেবারেই উদাসীন । , আমাদের ধনাঢ্য জমিদারগণের জীবন কোন খেয়ালের পরিপোষক নয় বলিয়া তাহারা যে কি প্রকারে মহামূল্য সময়ের স্যবহার করিতে হয় তাহা জানেন না । ইউরোপের ইতিহাস পর্য্যালোচনা করিলে দেখা যায়, এই প্রকার ধনবহুল ব্যক্তিগণের মধ্যে অনেকে বিজ্ঞান বা সাহিত্যচর্চা করিয়াছেন বা তাহার উন্নতিকল্পে বহু অর্থব্যয় করিয়াছেন। বিখ্যাত বৈজ্ঞানিক হেনর ক্যা ভণ্ডিশ একজন HŘzjętą wifears trottg:N (IDuke of Devonshire) fr | তিনি নিজ পরীক্ষাগারে বিজ্ঞানচর্চায় অধকাংশ সময়ই নিমগ্ন থাকিতেন। তাহার বাহ্যিক কোন আড়ম্বর ছিল না, চালচলনও সাদাসিধা ছিল। একদিন যখন তিনি গবেষণায় নিরত আছেন এমন সময় জনৈক ব্যাঙ্কের ম্যানেজার তাহার দরজায় করাঘাত করিলেন। ক্যাভেণ্ডিশ বাহিরে আসিলে সে ব্যক্তি র্তাহাকে অনুনয় সহকারে বলিলেন—মহাশয় আপনার প্রায় এক কোটি টাকা বিনাযুদে ব্যাঙ্কে মজুত আছে ; যদি অনুমতি দেন তবে স্বদে থাটাইতে পারি। তিনি উাখার প্রতি এমন ভ্ৰকুটি-কুটল কোপদৃষ্টি নিক্ষেপ করিলেন যে, বেচার তৎক্ষণাৎ সেস্থান পরিত্যাগ করিল। কিছুকাল পরে জার এক ব্যক্তি ঐ বিষয়ে তাহাকে স্মরণ করাইয়া দিতে আসার তিনি তাহাকে বলিনে—দেখ পুনরায় যদি আমাকে এরকম ভাবে বিরক্ত করিসূ তাহা হইলে সমস্ত টাকাই ব্যাঙ্ক হইতে উঠাইয়া লইব । এই ঘটনা হইতে এইটুকু বোঝা যায় যে অর্থের উপর তাহার কিছুমাত্র লালসা ছিল না । তিনি অকৃতদার ছিলেন এবং বিজ্ঞান-চৰ্চ্চাই ছিল র্তার জীবন-যাত্রার সম্বল। নব্য রসায়ন-শাস্ত্রের স্বষ্টিকৰ্ত্ত লাবোসিয়ার (Lavoisier) fS"so ছিলেন, কিন্তু তিনি অবসর সময় নিজবারেপরীক্ষাগার নিৰ্ম্মাণ করিয়ী রসায়ন-চর্চায় আত্মনিয়োগ করিয়া মানবজীবনের প্রকৃত দার্থকতা উপলব্ধি করিয়াছিলেন । এইরূপ ভুরি ভুরি, উদাহরণ দেওয়া যাইতে পারে ••• ( ভারতবর্ষ পৌষ ১৩৪০ ) ইংরেজী উচ্চারণ শিক্ষা শ্ৰীফকিরদাস বন্দ্যোপাধ্যায় মাতৃভাষায় আমরা যে-ভাবে উচ্চারণ শিখি তাহাই কোনও ভাষার উচ্চারণ-কৌশল আয়ত্ত করিবার প্রক্লষ্ট উপায় । অন্তে কথা বঞ্চিবে আমি কিছুকাল মুখ বুজিয়া শুনিয়া লইব । শুনিতে শুনিতে কান যখন কোনটা ঠিক কোনটা ভুল শহর পার্থক্য বিচারে কথঞ্চিৎ সমর্থ হুইবে তখন একটু একটু কথা বলিব। কান বলিবে ঠিক হইল না, বাড়ির পাচ জনে সেই ৰখাই অন্যরূপে বলিবে, অথবা বলিবে ইহা নয় উহা । এইরূপে কান ও ভাইবন্ধুর নির্দেশমত জিহাদির পুনঃ পুনঃ প্রয়াল ও তাহার ফলে যথাযথ উচ্চারণ সম্পাদন হইবে । উচ্চারণকৌশল প্রধানত: কৰ্ম্মজ. জ্ঞানজ নহে। উচ্চারণ শিখিতে হইলে উচ্চারণ করিতে হইবে ও ভাল উচ্চারণ শিক্ষা করিতে হইলে প্রথম হুইতে ভাল উচ্চারণ করিতে হইবে। ইহা অভ্যাসের ব্যাপার । মাতৃভাষায় উচ্চারণ-রীতি সহজে ও অল্প সময়ের মধ্যেই আয়ত্ত হয় । তাঃার কারণ এথানে শিখিবার স্বাভাবিক পন্থাগুলি বৰ্ত্তমান। বিদেশীয় ভাষা শিখিতে গেলে প্রধান অন্ধবিধt: