পাতা:প্রবাসী (ত্রয়স্ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৬০৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দ্বীপময় ভারতের বৌদ্ধসাহিত্য ও মহাযান ধৰ্ম্মমত স্ত্রীহিমাংশুভূষণ সরকার বর্তমান প্রবন্ধে আমরা দ্বীপময় ভারত বুঝিতে কেবলমাত্র জাভা ও বলিদ্বীপকে বুঝিব এবং বৌদ্ধসাহিত্য’ বলিতে বৌদ্ধ লেখকদের রচনা না বুঝিয়া বৌদ্ধভাবমূলক সাহিত্যকেই বৰ্ত্তমান আলোচনায় গ্রহণ করিব । স্মরণ রাখা উচিত যে, কলসন অনুশাসনের সময় হইতে (আনুমানিক ৭৭৮ খৃঃ অঃ ) ১৪৭৮ খৃষ্টাব্দ পর্যন্ত কবি-সাহিত্যের যে অপূৰ্ব্ব বিকাশ ঘটিয়াছিল, তাহাতে বৌদ্ধ লেখকদের দানও সামান্ত ছিল না। অনেক বৌদ্ধ লেখক হিন্দুশাস্ত্রীয় উপাদান অবলম্বন করিয়া কাব্য লিথিয়া যশস্বী হইয়াছেন। চতুর্দশ শতাব্দীর শেষভাগে কেদিরি-রাজ জয়বর্ষের রাজত্বকালে বৌদ্ধ লেখক পু তত্তলার অৰ্জ্জুর্মবিজয় কাব্য রচনা করেন, মজপহিতের শেষ হিন্দুরাজ ভ্র বিজয়ের পিতা ভ্র হঙ্গ বেকস্ ইঙ্গ স্বকের রাজত্বকালে পুপমুলুহ নামক জনৈক বৌদ্ধ পণ্ডিত হরিবংশ রচনা করেন। প্রবাদ আছে যে, ভারতযুদ্ধ নামক কাব্য, যাহাকে ফ্রিডরিখ সাহেব দ্বীপময় ভারতের ইলিয়ড বলিয়া বর্ণনা করিয়াছেন,* তাহার শেষাংশ ম্পূ পকুলুহ রচনা করেন। ভোমকাব্যের লেখক পু প্রদ ও বৌদ্ধ ছিলেন। এরূপ আরও বৌদ্ধ পণ্ডিত হিন্দুশাস্ত্রের উপাদান অবলম্বন করিয়া কাব্য লিখিয়া বিখ্যাত হইয়াছেন। ভারতবর্ষে ব্রাহ্মণ্য এবং বৌদ্ধ ধৰ্ম্মে যতটা প্রভেদ ছিল, দ্বীপময় ভারতে তাহাও ছিল না। ইহার প্রধান কারণ হইতেছে, শিববুদ্ধ নামক বিশিষ্ট ধর্মমতের উদ্ভব। ফাছিয়ান যখন পঞ্চম শতাব্দীর গোড়ার দিকে ভারতবর্ষ ত্যাগ করিয়া চীনে ফিরিতেছিলেন, তখন দক্ষিণ-পূৰ্ব্ব সমুদ্রের বামুখে পড়িয়া তাহাকে ফেপোতি নামক স্বানে উপনীত ইণ্ডে হইছিল। চীন পণ্ডিত উক্ত ভৌগলিক সংজ্ঞায় কোন স্থান নির্দেশ করিতেছেন বলা শক্ত ; উহা জাভাও श्रेन्च स्थाब, श्याज श्ख्याe चनख्व ऋश्। डिनि गफ

  • *ുജmdelieren van het Bat Genoot. , 6., de 2:e్య : :fi:fil',

করিয়াছিলেন যে, এখানে ব্রাহ্মণ এবং নাস্তিকের সম্মান প্রাপ্ত. হয় ; কিন্তু বুদ্ধদেবের ধর্শ্বসম্বন্ধীয় কোন কথা এখানকার লোকেরা জানে না। জাভাতে অষ্টম শতাব্দীর দিকে মহাযান বৌদ্ধধর্শ্ব বিশেষভাবে প্রচারিত হয় এবং কতকগুলি কারণের জন্য আমার মনে হয় যে, উহা বঙ্গদেশ হইতেই , সেখানে প্রবেশলাভ করিয়াছিল। এই সময়েই ভাষা ও ধর্শের সমন্বয় সাধিত হয় ; ভাষার সমন্বন্ধ হইতে কবিসাহিত্যের উদ্ভব, ধর্মের সমন্বয় হইতে শিবৰুদ্ধ-বাদের উদ্ভব। প্রথমটির নমুনা সৰ্ব্বাগে পাওয়া যায় কলসন অনুশাসনে ; দ্বিতীয়টির প্রমাণ মিলে সাহিত্যে ও সমসাময়িক শিলালেখ প্রভৃতিতে। আমরা বৌদ্ধসাহিত্য লইয়া আলোচনা করিতেছি বলিয়া গোড়াতেই শিববুদ্ধ-বাদের সম্বন্ধে একটু মুখবন্ধ করিয়া লইতে চাই, প্রসিদ্ধ নাগরকৃতাগম নামক ঐতিহাসিক কাব্যের ( ১৩৬৫ খৃঃ অঃ ) অনেক স্থলেই শিববুদ্ধ এবং শিববুদ্ধালয়ের উল্লেখ আছে। পররতন নামক ইতিহাসেও স্থানে স্থানে নৃপতিদের শিববুদ্ধত্ব প্রাপ্ত হইবার সংবাদ দেওয়া আছে। ঐরলঙ্ঘের সিম্পং শিলালেখে লিখিত হইয়াছে, “শৈব সোগত ঋষি”—উহার তারিখ ৯৫৬ শকাবা । পূৰ্ব্বোক্ত নরপতির কলিকাতাস্থিত শিলালেখে উক্ত হুইয়াছে, “সৌগত মহেশ্বর মহাত্রাক্ষণ” ( ম৬৫ শকাব্দ ) । ১২৭৩ শকান্ধের সিংহসারি শিলালেখে নিম্নলিখিত বাক্যার্জ গেখে পড়ে, “মহাত্ৰাহ্মাণ শেব সোগত” । বস্তুত: নাগরকৃতাগম নামক প্রসিদ্ধ গ্রন্থের একস্থলে স্পষ্টই উল্লিখিত হইয়াছে, “শিব সর্বশ্রেষ্ঠ দেবতা; ভগবান বুদ্ধ তাহা ইত্তে ভিন্ন ননে, উহার জন্ম হইলেও এক। কেননা পৃথিবীর निझाम षङबांटतब्र ८कन इन नांदे ” ‘णनं श्च কমহাযানিকন নামক ৰৌদ্ধগ্রন্থে লেখা আছে, “বুদ্ধ তুঙ্গল লবন শিব” অর্থাৎ বুদ্ধ এবং শিৰ অভিন্ন। এই জন্তই পূৰ্ব্বে বলিয়াছি যে, শিব এবং বুদ্ধকে এক করির দেখিরার