পাতা:প্রবাসী (ত্রয়স্ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৬১০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

(ఆ8 SOBరి চেষ্টা জড়িা-বলিদ্বীপের ধর্মের বিশিষ্ট লক্ষণ এবং সেখানে বুদ্ধকে শিবের কনিষ্ঠ ভ্রাতা বলিয়া বিবেচনা করা হয়। ভারতবর্ষে শিব এবং বুদ্ধের সম্পর্ক এতদুরে আসিয়া পৌঁছায় নাই, যদিও ক্ষেমেজের ( ১১শ শতাব্দী) সময়েই বুদ্ধ হিন্দুদেবতাগণের মধ্যে আসন কায়েমী করিয়া লইয়াছিলেন। এক্ষণে মূল বিষয়ের আলোচনা কর ষাকৃ। দ্বীপময় ভারতে বৌদ্ধধর্থ এক সময়ে খুব বিস্তার লাভ করিলেও স্থানীয় বৌদ্ধসাহিত্য একপ্রকার নগণ্য বলিলেই হয়। যাহা আছে তাহাতেও আবার শৈবমত ও সাংখ্য দর্শনের বিশিষ্ট ছাপ রহিয়া গিয়াছে। বেশীর ভাগ সাহিত্যই শৈব-সাহিত্য। নাম করিবার মত মাত্র তিনখানা বৌদ্ধ কাব্য আছে, যথা— সঙ্গ হাঙ্গ কমহাধানিকন, কুঞ্জরকর্ণ এবং নাগরকৃতাগম। স্বতসোম কাব্যটি জর্জ বৌদ্ধ, অৰ্দ্ধ শৈব মতবাদে পূর্ণ; ইহার সঙ্গে জিনাৰ্থ প্রকৃতি নামক নীতিশাস্ত্র এবং বুদ্ধবেদের নাম করিলেই আমাদের তালিকা প্রায় শেষ হইয়া যায়। প্রথমে সঙ্গ হঙ্গ কমহাধানিকনের আলোচনা করা যাক । ইহার ৮নং পাতায়ঃ নিম্নলিখিত সংস্কৃত শ্লোকটি আছে— "এহি বৎস মহাযানম মন্ত্রাবাৰ্য্যনয়ম বিধমূ দশল্পিব্যামি তে সম্যক, ভাজনে স ত্বম মহানয়ে” কবি নিজেই বলিতেছেন যে, এই পুস্তক বজাচার্যগণের স্ববিধার জন্ত রচিত হইয়াছে। যাহারা ‘মণ্ডলে আছেন এবং যাহারা বিশ্বাসী, তাহারাই এ পুস্তক পাঠ করিতে পরিবেন। অতীতে যাহারা বুদ্ধ ছিলেন এবং ভবিষ্যতে র্যাহারা হইবেন, তাহারা এই বজ্রযান নীতিতে বিশ্বাসী হইয়াই পৃথিবীতে সৰ্ব্বজ্ঞ বলিয়া পরিগণিত হন। জাভার জয়োদশ শতাব্দীতে বৌদ্ধ তান্ত্রিক মতবাদের যে পূর্ণবিকাশ ঘটিছিল, বর্তমান পুস্তকে তাহার কথঞ্চিৎ আভাস পাওয়া যায়। তুম্পাং-এ আবিষ্কৃত অনেক তান্ত্রিক দেবতা আমাৰ্গম প্রদর্শনীতে দেখান হইছিল। নাগরক্তাগম পুস্তকের বিভিন্নস্থলে । e৭, ৬• সর্গ শুভূতি) কবধেরণ অর্থাৎ তান্ত্রিক বজ্ৰযানের পন্থাবলী লোকের সাক্ষং মিলে। বৌদ্ধদের শতবাদও স্থানে স্থানে আবিষ্কৃত লন্টার পুথির ৩৪ পৃষ্ঠায় দেখিতে পাই – • मूल गेब्र%ङ्गि। সাহেব বলেন,— “বাৰৰ সৰ্ব্ববঙ্গুণি শক্ষিস্থিতনিচ তানি শূন্ত স্বভাৰণি প্রজ্ঞাপারমিত স্বতঃ।” এখানে যেমন প্রজ্ঞাপারমিতাকে শূন্ত স্বভাব বলিয়া বর্ণনা করা হইয়াছে,* নাগরকৃত গমের প্রারম্ভিক যুক্তিও কতকটা এই ধরণের ঃ– বুদ্ধ=খ=আকাশ=পূম্ভ এবং শিব=আকাশ=খ=শুন্ত .. बूक=निव=थूछ দর্শনশাস্ত্রের এই সৰ্ব্ব শূন্তং-বাদ বেদান্তেরও লক্ষণ বটে। ছন্দোগ্য-উপনিষদো পাইতেছি “সং যঃ আকাশম্ ব্রহ্মেতি উপাস্তে।" এখানেও ব্রহ্মা ও আকাশকে একই পর্যামে উন্নমিত করা হুইয়াছে। শৈবসিদ্ধান্তের নিষ্কলং-এর কথাও এই প্রসঙ্গে উল্লেখযোগ্য । আলোচ্য গ্রন্থে বুদ্ধের শ্রেণীবিভাগও লক্ষ্য করিবার বিষয়। অনাগতযুদ্ধের মধ্যে মৈত্রেয়, এবং সমস্তভত্রের নাম দেওয়া হইয়াছে, অতীতবুদ্ধের মধ্যে বিপষ্ঠী, বিশ্বভূ, ক্রকুচ্ছন্দ, কনকমুনি এবং কাগুপের নাম স্রষ্টব্য। বর্তমান বুদ্ধ হইতেছেন শাক্যমুনি। অনাগতযুদ্ধের মধ্যে মৈত্রেয় মাচুর্যৗবুদ্ধের পর্যায়ে পড়েন, সমস্তভদ্র ধ্যানীবোধিসত্বের পর্যায়ে। তিব্বতী বৌদ্ধর শেষোক্ত জনকে স্বৰ্গীয় বৈরোচনের সস্তান বলিয়া গ্রহণ করিয়া থাকে। শাক্যমুনি মামূৰীবুদ্ধের মধ্যে চতুর্থ এবং তাহার ধ্যানীবুদ্ধের নাম অমিতাভ, বোধিসত্ত্বের নাম অবলোকিতেশ্বর } - ২৭ পৃষ্ঠায় যে ছয়টি পারমিতার নাম করা হইছে, তা দান, শীল, ক্ষান্তি, বীৰ্য্য, ধ্যান এবং প্রজ্ঞ। চতুষ্পারমিতার মধ্যে মৈত্রী, করুণ, মুদিত এবং উপেক্ষার উল্লেখ করা হইয়াছে। এই চারিটি পারমিত লোচন, মামী, পাণ্ডুরবাসিনী এবং তারার সংস্পৃষ্ট খলিয়া বর্ণনা করা হইয়াছে। বগা বাহুল্য, ইহারা বজ্ৰপাণি রত্নপাণি, পদ্মপাণি বা জরলোকিতেশ্বর এবং বিশ্বপাণির শক্তি বলির পরিগণিত হইয়াছেন। সমাজত্রের শক্তির নাম বাধিী। ওয়াজেল —: Bijdragen T. L. VK., 1907-8, p. 395ff. - † Chhandogya Upanisad, 7-12-2. . . . . . , . t Waddel, Lamaism, p. 181f.