পাতা:প্রবাসী (ত্রয়স্ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৬১৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ফোর্ড কি শুধু টাকায় বড় ? ঐশরৎ ঘোষ, এম-এ যান্ত্রিক সভ্যতা বহুবার অভিশপ্ত হয়েছে। কিন্তু তবুও সে মরছে না। বরং দিন দিন পৃথিবীকে সে আষ্টে-পৃষ্ঠে বঁধেছে । আকাশ ভেদ করে উৎকট গর্জন করতে করতে ব্যোমযান আজ গৌরীশঙ্করশৃঙ্গেরও ছবি তুলে নিয়ে আসছে। ইথার বেচারকে তরঙ্গায়িত হয়ে এক মহাদেশের কথা আর এক মহাদেশে পৌছে দিতে হয়। অতবড় ভীমকায় বিরাট সমূদ্র । তারও বুকের ভিতর দিয়ে মানুষ চালিয়ে দিল টেলিগ্রাফের তার, যুদ্ধের সময় চালায় সবমেরিন, আর সব সময় উপর দিয়ে যে বাস্পপোতগুলি চলছে, তাদের উপদ্রবের ত কথাই নেই। যন্ত্র মানুষকে শক্তি দিয়েছে, প্রকৃতির উপর আধিপত্য দিয়েছে, এ বিষয় কারও সন্দেহ নেই। তবু মনীষীর। একে ভাল চোখে দেখেন না, তার কারণ মানুষ এর অপব্যবহার স্বর করে দিয়েছে। কল কারখানাকে আশ্রয় করেই আরম্ভ হয়েছে ধনিক ও শ্রমিকের বিবাদ। বিজ্ঞানের সৰ আবিষ্কারের ফলেই আধুনিক যুদ্ধ হয়ে উঠেছে উৎকট রকমের সাংঘাতিক । বহু জাতি—ষার অশিক্ষা ও অজ্ঞানতার অন্ধকারে নিজেদের জীবন অসভ্য বা অৰ্দ্ধসভ্য ভাবে কাটিয়ে দিচ্ছে, যন্ত্রবলে বলীয়ান তথাকথিত সভ্য জাতিদের অভিধানে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। রেড ইণ্ডিয়ানদের মত ঢের জাতি আজ পৃথিবীর বুক থেকে একেবারেই লুপ্ত হয়ে য়েতে ৰসেছে । বস্ত্ৰ সভাই যে এত ক্ষতি করেছে, তার কারণ কিন্তু যন্ত্রশক্তি ততটা নম্ন স্বল্পষ্ট হচ্ছে মানুষের লোভ। ব্যক্তিগত ভাবে সর জাতির ভিজয় এমন ঢের মানুষ জন্মাচ্ছেন যারা নিলেভি, আধ্যাত্মিক জীবনে যার ঢের উন্নত, কিন্তু সমষ্টির উপৰে তাদের প্রভাৰ বড়ই কম। আজ উন্নতিশীল चच्चित्रे अzअकब्र पनि धकई भाइरदद्र भूर्डि निtब आप्नब প্রকৃতির ছবি তৈরি করা যায়, রেখা বাবে তার প্রত্যেকে इबह ७क 1 :णछाछ पनिé उांप्नब्र cनरु, किरू ठां८मब्र উদরের পরিধি বিসদৃশ রূপে বৃহৎ । মুখে এতেকের ভোগের বিলোলতী—এক চক্ষু তাদের প্রতিবেশীর অস্ত্র-ভাণ্ডারের দিকে, আর এক চক্ষু ছৰ্ব্বল জাতিদের খনিজ ও স্বভাব-সম্পদের । দিকে। মুখে তাদের বাইবেল, অঙ্গর মান। স্বজনীতি তাদের এত কলুষিত ধে, শয়তান কৰে যে পাঙ্গলক্ষী ধেক্ষে তার দপ্তর সরিয়ে এনে মন্ত্ৰীসভায় স্থাপিত করে নিয়েছে এ তাদের খেয়ালেই আসেনি। ... - লোভ মানুষের বড় রিপুর একটি। অন্ত: রিপুর মত তাই লোভও তার শিকারের সদবুদ্ধিকে আচ্ছন্ন করে তাকে দিয়ে সমাজের অহিতকর কাজ করিয়ে নিতে পারে। যেহেতু ব্যবসায় লোভমুলক সেই জন্ত এযুগের যান্ত্রিকেরা বা ব্যবসায়ীর যে-সব প্রতিষ্ঠানের স্বষ্টি করছেন তা থেকে বিধবাম্প উঠে ধরিত্রীকে ভারাক্রান্ত করে তুলছে। এবং এমন কোনও মানুষ অথবা প্রতিষ্ঠান আজ পাওয়া শক্ত হয়ে উঠেছে যার ভেতর গৃং তার চেয়ে সেবা বড় হয়ে উঠেছে। এমন মানুষ দুলৰ্ভ যিনি যে-সব রন্ধ দিয়া যান্ত্রিকতার ভিতর অকল্যাণ প্রবেশ করে তাদের সযত্বে রুদ্ধ করে যন্ত্রশক্তি দিয়ে শুধু বিপুলভাবে, আরও নিপুণভাবে জনসাধারণের মঙ্গল ও সুবিধার পথ স্বগষ করে দিয়ে যাচ্ছেন। যদি ভাগ্যক্রমে এমন কোনও যান্ত্রিকের উদয় হয় যিনি তার যন্ত্ৰ-শক্তির সাহায্যে শুধু নিজের জমানেটাকার অঙ্কের ডানদিকে শূন্ত না বাড়িয়ে দেশবাসীর সভাকার কোনও অভাব মোচনের চেষ্টা করেন, তার নিযুক্ত শ্রমিকদের স্বর্থ-স্বাচ্ছন্দ্যের জন্ত যথাসাধ্য যত্ন করে থাকেন এবং অস্বাস্থ্য দ্বক্ষরিত্ৰত প্রভৃতিকে কারখানার চতুস্পার্থ থেকে সময়ে দূরীভূত করে থাকেন, ধার সমস্ত প্রচেষ্টার মূল কথা হয়ে ওঠে জনসেবা, আমরা বিপুল এক স্তির নিঃশ্বাস ফেলে যাচি। মনে মনে বলি,—হে শক্তিমান, ৰি মানুষের কোনও শক্তি ষে মন্তব্যকে পরাভূত করতে ।