পাতা:প্রবাসী (ত্রয়স্ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৬২৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ՓԵՀ সমিতির কর্মী ও সত্যের প্রতিনিধিদের খুব যত্ব করিয়াছিলেন : " ইহার আগেকার বারে অধিবেশন হইয়াছিল এলাহাবাদে । এলাহাবাদ বড় শহয়, হিন্দুদের তীর্থস্থান এবং এখানে বাঙালী আছেন কয়েক হাজার। সেই জন্ত এখানে সম্মেলনের সময় লোকসমাগম প্রচুর হইয়াছিল। গোরখপুরে তাহ হইবার কথা নয়। কিন্তু বাহির হইতে আগত প্রতিনিধির । সংখ্যা এলাহাবাদ অপেক্ষ গোরখপুরে কিছু বেশী বই কম হয় নাই এবং স্থানীয় প্রশস্ত কলেজ হলে কখনও শ্রোতার কমৃতি হয় নাই। কাশী, প্রমাগ, কানপুর, লক্ষ্মেী দিল্লী, মীরাট, মথুরা, আকোল, বরেলী, মজঃফরপুর, আগ্রা, বৈতালপুর, জয়পুর, কলিকাতা, বৰ্দ্ধমান, ফরিদপুর, জলপাইগুড়ি, কাসগঞ্জ ও বলরামপুর হইতে প্রতিনিধি আসিয়াছিলেন। সেন্ট এণ্ডজ কলেজ-হলে অধিবেশনের স্থান এবং তাহার ছাত্রাবাস পুরুষ-প্রতিনিধিদের বাসস্থান নির্দিষ্ট হইয়াছিল। তজস্ত কলেজের কর্তৃপক্ষ ধন্যবাদার্হ। মহিলপ্রতিনিধিদিগের থাকিবার জন্য রাজা ইন্দ্ৰজিত প্রতাপনারায়ণ শাহী সাহেবের সৌজন্তে তাহার টাকোহী হাউস নামক অট্টালিকা পাওয়া গিয়াছিল। তজ্জন্ত তিনি ধন্যবাদার্হ। সম্মেলনে ফেসব বস্তৃতা হইয়াছিল, যে-সব অভিভাষণ এবং প্রবন্ধ ও কবিতা পঠিত হইয়াছিল, তাহ আগের আগের বারের ঐরূপ জিনিষপত্রগুলির চেয়ে নিকৃষ্ট হয় নাই। আমরা প্রবাসীর আগামী সংখ্যায় সম্মেলনের বিস্তৃততর বৃত্তান্ত দিব, যথাসময়ে সমুদয় তথ্য ও উপকরণ না পাওয়ায় এবারে দিতে পারিলাম না । এক দেশের লোক জগু দেশে যায় সাধারণতঃ ও প্রধানতঃ ক্ষুধার তাড়নায়, জয়চেষ্টায়। ভারতবর্ষের এক প্রদেশ হইতে অন্ত প্রদেশে লোক যায় প্রধানতঃ সেই কারণে। সেইজন্ত, অনেক "খ" বাঙালী বঙ্গের বাহিরে গিয়াছে, এবং তাহা অপেক্ষ সংখ্যায় অনেকগুণ বেশী ভূখা অবাঙালী বঙ্গে জালিয়াছে। কিন্তু বাঙালীরা বঙ্গের বাহিরে ফেযেখানে গিয়াছে, সেখানে সবাই কেবলমাত্র রোজগারেই মন দেয় নাই। অনেকে নিজ নিজ নিবাস-নগরের ও নিবাস-প্রদেশের হিতকর সাৰ্ব্বজনিক কাজ করিষ্কাছে, এবং সাহিত্য প্রভৃতির চর্চার-ভাৱ ৰঙ্গের কৃষ্টির সহিত যোগ রক্ষার চেষ্টা করিয়াছে। SనOBO তাহার যে-কেবল বঙ্গের বাঙালীদের স্বস্ট সাহিত্যের চর্চাই করিয়াছে, তাহা নহে ; কেহ কেহ সাহিত্যভাণ্ডার: পুষ্টও করিয়াছে। বিজ্ঞানের জ্ঞাগুীরে, ললিতকলার ক্ষেত্রে, সংবাদপত্রের মধ্য দিয়া প্রৰাগী কোন কোন বাঙালীর দান সামান্ত নহে। প্রবাসী বাঙালীদের মধ্যে দর্শন, প্রত্নতত্ত্ব, ইতিহাদ, নৃতত্ত্ব, শিক্ষাদান-বিদ্যা, অর্থনীতি, কৃষিবিদ্যা, পণ্যশিল্প প্রভৃতিরও চর্চা আছে। প্রবাসী বাঙালীরা কেবল গ্রহণ করিতেছে না, বঙ্গদেশকে ও ভারতবর্ষকে কিছু দিতেছেও । প্রবাসী বঙ্গসাহিত্য সম্মেলনের কোন অধিবেশনে যোগ দিলে এই সব কথার যাথার্থ্য বুঝিতে পারা যায়। ভারতবর্ষের সকল প্রদেশের সকল জাতির সংমিশ্রণ ও একীভবন যদি কখনও ঘটে, তখন প্রবাসী বঙ্গসাহিত্য সম্মেলনের মত স্বতন্ত্র প্রতিষ্ঠান ও অনুষ্ঠানের প্রয়োজন থাকিবে না। কিন্তু আপাততঃ দীর্ঘকালের জন্ত ইহার প্রয়োজন আছে। বঙ্গের বাঙালী ও বঙ্গের বাহিরের বাঙালীদের মধ্যে যোগ রক্ষা ও সংহতি বৃদ্ধি দ্বারা কেবল যে বাঙালীদেরই লাভ, তাহা নহে ; তাহারা যে ভারতীয় মহাজাতির একটি অঙ্গ, তাহারও লাভ আছে । এ-পর্য্যন্ত প্রবাসী বঙ্গসাহিত্য সম্মেলনের অধিবেশন বঙ্গের বাহিরেই হইয়াছে। যখন যে প্রদেশে অধিবেশন হুইয়াছে, প্রধানতঃ সেই প্রদেশের বাঙালীরাই তাহাতে যোগ দিয়াছে ৷ বঙ্গের বাহিরের অন্তান্ত প্রদেশের লোক তাহাতে অল্প আসিয়াছে, এবং বঙ্গের অধিবাসী বাঙ্গালী আরও অল্প আসিয়াছে। এই জন্য বঙ্গের বাহিরের সব প্রদেশের বাঙালীদের ও বঙ্গের বাঙালীদের মধ্যে ইহার দ্বারা সাহিত্য ও কৃষ্টিগত যোগ এখনও ঘনিষ্ঠতর হয় নাই। এই নিমিত্ত কথা উঠিয়াছে, যে, আগামী বারের অধিবেশন কলিকাতায় হওয়া উচিত। তাহাতে ব্ৰহ্মদেশ-সংবলিত সমগ্র ভারতবর্ষের বাঙালীদের প্রতিনিধিস্থানীয় বাঙালীদের উপস্থিতি যাহাতে হয়, তাহার চেষ্টা করিত্বে হইবে। আমরা এই প্রস্তাব সমীচীন মনে করি। এরূপ অধিবেশন হুইলে, আমরা আশা করিব, স্থে, তাহাতে প্রবাসী বাঙালীদের মধ্যে র্যাহারা সাহিত্য, বিজ্ঞান, দর্শন, ললিতকলা, ইতিহাস, প্রত্নতত্ব, নৃতত্ত্ব, শিক্ষাবিজ্ঞান, সাংবাদিকী প্রভৃতির চর্চা ও সেবা করেন, তাহারা বজের অধিবাসী রাঙালীজিগকে