পাতা:প্রবাসী (ত্রয়স্ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৬৩১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পণে পুস্থিলীতে অশোকের স্তস্থ । প্রবাসীর সম্পাদক । শ্ৰীযুক্ত রা.মশ্বর চট্টোপাধ্যায় গৃহীত ফোটে হইতে । বিবিধ अगल-ग्रचिनोत्र অশোকস্তম্ভ দর্শন পুস্বনীর সাধারণ দৃষ্ঠ । বাঁধারে দূরে যে স্তু পট তৈরি হইতেছে, তাহার সম্মুপেই অশোকের সেই স্তম্ভটি । ডান ধারে গাছের একটু আড়ালে মায়াদেবীর মন্দির দেখা যাইতেছে । ইহার qurq লুম্বনীর মায়াদেবীর মন্দিরের ভিতর মায়াদেবীর মূৰ্ত্তি। শ্ৰীযুক্ত রামেশ্বর চট্টোপাধ্যায় গুষ্ঠাত ফোটে হইতে । ভিতর মায়াদেবীর মূৰ্ত্তি আছে । ফোটোগ্রাফ শ্ৰীযুক্ত রামেশ্বর চট্টোপাধ্যায় কর্তৃক গৃহীত। সময় রওনা হইয়া ১টার পর নৌতনওয়া পৌছি । তাহার পর রাত্রির অবশিষ্ট অংশ রেলগাড়ীতে ও ষ্টেশ্যনে কাটান হয় । ৯্যোৎস্ন। থাকায় কোন অসুবিধা হয় নাই । শেষরাত্রে চ। প্রস্তুত হয় এবং কিছু জলযোগ হয় । তাহার পর ১লা জাহ্নুয়ারী একখানা মোটর বাস ভাড়া করিয়া যাই । ষ্টেশানে একদল লুম্বিনী-যাত্রী সিংহলী বৌদ্ধের সহিত পরিচয় হয়। নেীতনওয়া হইতে ৫ মাইল পরে নেপাল-রাজ্য আরম্ভ। রাস্ত কাচ, কিন্তু বিশেষ খারাপ বা বিপজ্জনক নয় । যাইতে কোন ক্লেশ অনুভব করি নাই। সঙ্গের বালকবালিকার খুব স্মৃত্তিতে গিন্নাছিল। আট-নয়টি সেতু পার হইতে হয়। সেগুলি কাঠের তৈরি, উপরে মাটী বিছান । লুম্বিনী পৌছিতে ঘণ্ট-দুই লাগে। পূৰ্ব্বেই বলিয়াছি, লুম্বিনীর স্তম্ভটিই প্রাচীনতম। তম্ভিয়, সেখানে একটি মন্দির আছে, তাহা পুরাতন হইলেও অপেক্ষাকৃত নূতন । তাহা বুদ্ধদেবের মাতার নামে মায়াদেবীর মন্দির বলিয়া পরিচিত। তাহার ভিতর প্রস্তরফলকে মায়াদেবীর মৃত্তি আছে। তাহা প্রাচীন, কিন্তু কত প্রাচীন বলিতে পারি না। মায়াদেবী একটি শালগাছের ডাল ধরিয়া দাড়াইয়া আছেন, পাশে তাহার ভগিনী, এবং পাদদেশে শিশু বুদ্ধ। অন্য দু’একটি মূৰ্ত্তিও একই ফলকে আছে। কোন মূর্তিরই নাক চোখ কান ঠিক্‌ বুঝা যায় না। মন্দিরের ভিতর যথেষ্ট আলোক ন-থাকায় সহজে ভাল ফেটােগ্রাফ তোলা যায় না। লুম্বিনীতে খনন ও অন্যান্য কাজ চলিতেছে । শ্রীযুক্ত গোকুলচাদ নামক একজন পঞ্জাবী এঞ্জিনীয়ারের অধীনে চারি শত মজুর খাটিতেছে। স্তম্ভটির ও মন্দিরের কিছু দূরে দুই পাশে উচ্চ মৃত্তিকারাশি একত্র করিম তাহার উপর ইটের উচু স্তম্ভ নিৰ্ম্মাণ করা হইতেছে। এখানে যে-সব গোট বা টুকরা ইট-পাথর পড়িয়া আছে বা খুড়িয়া পাওয়া যাইতেছে, রক্ষী নেপালী সৈনিকরা তাহার একটিও কাহাকেও লইয়া আসিতে দেয় না । যেগুলার সঙ্গে যেখানে-সেখানে প্রাপ্তব্য ইট-পাথরের টুকরার কোনও পার্থক্য নাই, তাহাও আনিতে দেয় না । নিকটে দর্শক ও যাত্রীদের জন্য একটি পাকা বিশ্রামগৃহ আছে। রুন্মিন দেঈতে খনন করিয়া ফেসব মূৰ্ত্তি, মূৰ্ত্তির অংশ, খোদিত প্রস্তরঞ্জি পাওয়া গিয়াছে, তাহা একটি গৃহে রক্ষিত আছে। আমরা পুস্বিনী দেখিয়া ফিরিয়া আসিয়৷ নৌভনওয়া ষ্টেশ্যনে রেলগাড়ীতে উঠিয়া বসিবার পর একটি