পাতা:প্রবাসী (ত্রয়স্ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৬৩২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

む*やり SO8O বাঙালী যুবক আসিয়া বলিলেন, যে, তিনি লুম্বিনীর প্রত্নতাত্ত্বিক কৰ্ম্মচারী। তাহার নাম কে. ব্যানার্জি, বি-এ। তিনি বলিলেন, তিনি কিৎক্ষণ পূৰ্ব্বে নেপাল গবন্মেন্টের ভারপ্রাপ্ত কৰ্ম্মচারীর নিকট হইতে আদেশ পাইয়াছেন, যে, 'প্রবাসী'র সম্পাদক লুম্বিনী দেখিতে যাইতেছেন, যেন দেখাইবার বন্দোবস্ত করা হয়। তাহার পর তিনি এই বলিয়া মাফ চাহিলেন, যে, ঐ আদেশ বিলম্বে পাওয়ায় তিনি কিছু করিতে পারেন নাই। আমরা এ-বিষয়ের কিছুই জানিতাম না। র্তাহার সাহায্য পাইলে অনেক তথ্য জানিতে পারিতাম। তাহার স্বযোগ না-হওয়ায় দুখিত হইলাম। কিছু কিছু খবর অবশু এঞ্জিনীয়ার গোকুলচাদ মহাশয়ের সৌজন্তে পাইয়াছিলাম। একটা কথা লিখিতে ভুলিয়া গিয়াছি। লুম্বিনী যাইবার পথে নেপাল পৌছিবার পরেই এক জায়গায় আমাদের বাসটা থামিল। আমাদের সঙ্গে নেপাল যাইবার অনুমতিপত্র ছিল । একজন নেপালী কৰ্ম্মচারী আমাদের গাড়ীর প্রত্যেককে খুব তীক্ষ্ণদৃষ্টিতে দেখিল । পরে শুনিলাম তাহার কারণ, কোন ইংরেজ যাইতেছে কি-না দেখা । ইংরেজদিগকে ন-কি সহজে নেপাল ঢুকিতে দেওয়া হয় না। রাজপুত্র যেখানে জন্মগ্রহণ করিয়া জীবকুলের দুঃখমোচন ও পরিত্রাণের জন্য সর্বত্যাগী হইয়াছিলেন, সেখানে রাজপ্রাসাদ দেখিবার আশা করি নাই। কিন্তু, “উদিল যেখানে বুদ্ধ আত্মা মুক্ত করিতে মোক্ষ দ্বার, আজিও জুড়িয়া অৰ্দ্ধজগৎ ভক্তিপ্রণত চরণে র্যার,” সেই স্থানটি পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন ও স্বশৃঙ্খল ভাবে সযত্বে রক্ষিত দেখিবার আশা করা অসঙ্গত নহে । এই স্থানটি রক্ষা করার দিকে যখন নেপাল-নৃপতির দৃষ্টি পড়িয়াছে এবং অর্থব্যয়ও হইতেছে, তখন আশা হয় ইহা অবিলম্বে স্বরক্ষিতই হুইবে । খ্ৰীষ্টীয় বৎসরের প্রথম প্রভাতে বুদ্ধদেবের জন্মস্থান দেখিলাম। তাহার পুণ্য প্রভাব জীবনের বাকী নিগুলি অনুভব করিতে পারিলে ধন্য হইব । বুদ্ধের মহাপরিনির্বাণ-স্থান দর্শন গোরখপুর হইতে প্রায় ৩৪ মাইল দূরে বর্তমান কাশিয়া নামক স্থানে বুদ্ধদেবের মহাপরিনিৰ্ব্বণি শুপ অবস্থিত। ইহাই প্রাচীন কুলীনগর। এক দিন এলাহাবাদ হাইকোর্টের বিচারপতি স্যর লালগোপাল মুখোপাধ্যায় কাশী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক স্বরেন্দ্রনাথ ভট্টাচাৰ্য্য ও র্তাহার পুত্রকন্যা ও একটি আত্মীয়া এবং মধ্যভারতের ব্যবহারজীব শ্ৰীযুক্ত মিত্রের সঙ্গে স্তুপটি দেখিতে যাইবার হযোগ হইল। দুখানি মোটর গাড়ীতে যাওয়া গেল। রেলপথেও যাওয়া যায় । কথিত আছে, বুদ্ধদেব কুশীনগরে একটি শালবনে দুটি শালগাছের মধ্যে শয়ন করিয়া মহাপরিনিৰ্ব্বাণ প্রাপ্ত হন । বৰ্ত্তমানে কfশয়ার মহাপরিনিৰ্মাণ শুপ। ফোটোগ্রাফ স্ত্র,অজিত সেন কর্তৃক গৃহত । সেই স্থানের নিকট পরে একটি স্তুপ নিৰ্ম্মিত হয়। স্তুপটি যখন আবিষ্কৃত হয়, এবং খননকাৰ্য আরম্ভ হয়, তখন ইহা বেমেরামত অবস্থায় ছিল। তখনকার, ১৯ ৬ সালে তোলা, একটিমাত্র ফেটোগ্রাফ গোরখপুরের ঐযুক্ত রাধারমণ সেনের কাশিয়ার মহাপরিনির্বাণ গুপে মৃত্যুশয্যায় শাল্পত বুদ্ধদেবের মূৰ্ত্তি । ফোটোগ্রাফ অজিত সেন কর্তৃক গৃহীত । নিকট ছিল। তাহ বিবর্ণ হইয়া গিয়াছে। তাহার সৌজন্তে উহার প্রতিলিপি দিলাম। এখন ঘূপটি মেরামত হইয়াছে