পাতা:প্রবাসী (ত্রয়স্ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৬৩৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মাঘ এবং ব্রহ্মদেশীয় ভক্ত বৌদ্ধদিগের ব্যয়ে উহার বৃহৎ গুম্বজটি স্বর্ণমণ্ডিত হইয়াছে। এখনকার একটি ফোটোগ্রাফের প্রতিলিপিও দিলাম। স্তুপের মধ্যে মৃত্যুশয্যায় শান্বিত বুদ্ধদেবের বৃহৎ মূৰ্ত্তি আছে। মন্তক হইতে পদাঙ্গুলি পৰ্য্যস্ত ७श ०8 शज्र शत्र । श्रृंलग्नश्रु श्ड्रेट्राउ পাদদেশ পৰ্য্যস্ত বৌদ্ধ ভক্তেরা উহ। কিংখাপ বস্ত্রে আচ্ছাদন করিয়া রাখিয়াছে, মন্তক ও মুখমণ্ডল সোনার পাতে মুড়িয়া দিয়াছে। কেবল অৰ্দ্ধনিমীলিত চক্ষুদ্বয়ের রং হইতে বুঝ৷ যায়, যে, মূর্তিটি শ্বেত প্রস্তরের। বুদ্ধদেব পাশ ফিরিয়া শুইয়া আছেন, এইভাবে মূৰ্ছিটি নিৰ্ম্মিত হইয়াছে। স্তুপের দ্বার ও মূর্তিটির মাঝখানে ব্যবধান এত অল্প, যে, মূৰ্ত্তিটির দৈর্ঘ্যের দিকের ফোটোগ্রাফ তোলা কঠিন। আমরা যে ফোটোগ্রাফটির প্রতিলিপি দিলাম, তাহ মূৰ্ত্তিটির পায়ের দিক হইতে তোলা। স্তসূপের নিকটে পুরাকালে বিহার ছিল, তাহ খনন দ্বারা আবিষ্কৃত কক্ষ প্রাচৗরাদি হইতে বুঝা যায়। স্তুপের নিকট একটি ছোট মন্দিরে বুদ্ধদেবের একটি প্রাচীন উপবিষ্ট মূৰ্ত্তি আছে। তাহাও ভক্তের সোনায় মুড়িয়া দিয়াছে । s যিনি সৰ্ব্বত্যাগী হইয়াছিলেন, স্বর্ণমগুন দ্বারা তাহার প্রতি ভক্তি প্রদর্শিত হইতেছে ; গোরখপুরের অন্যান্য কিছু দ্রষ্টব্য গোরখপুর নগর ও জেলা ও তাহার নিকটবৰ্ত্তী অঞ্চল বিস্তর সাধুভক্তের স্মৃতি বিজড়িত। সব দেখিবার সময় হয় নাই। আর যাহা দেখিয়াছি, তাহার বর্ণনা শ্ৰীযুক্ত চারুচন্দ্র দাসের অভিভাষণ হইতে উদ্ধৃত করিতেছি । “বৌদ্ধধর্মের ভাঙাগড়ার ফলে হীনযান এবং মহাযান ও পরে মহাযানের যোগাচার শাখার স্বষ্টি হয়। সেই শাখার বিবর্তনে মহাপুরুষ গোরক্ষনাথ স্বীয় সম্প্রদায় প্রতিষ্ঠিত করেন । এই নগরের উপকণ্ঠে ণ্ঠাহার স্মৃতিমন্দির ७ ॐांशब्र नात्र श्रछझे ७ई मभtब्रब्र नांबकब्रन । dहे नाथ छ*नांप्रथांग्रेौ যোগাচারী সম্প্রদায় হইতে বঙ্গদেশের লাখ যোগীরা আগত বলিয়। অনেকে বিবিধ প্রসঙ্গ—কৰীরের সাধনার স্থান ও সমাধি দর্শন ወvጳ তামুমান করেন। গোরক্ষনাথের শিশুপরম্পরাগত vগম্ভীরনাথের বাংলা প্রদেশে অনেক শিল্প আছেন। উহার গোরক্ষনাথ মন্দিরের পর্থে গুর সমাধি মঙ্গির প্রতিষ্ঠিত করিয়াছেন ঃ - “প্রাচীন ধ্বংসাবশেষ, প্রস্তরমূৰ্ত্তি প্রভৃতি এতৎপ্রদেশের বহুস্থানে লক্ষিত হয়। কারুকার্ঘ্যে অপূৰ্ব্ববৈশিষ্ট্যহচক একটি প্রাচীন বিষ্ণুমূৰ্ত্তি স্থানীয় ১৯০৬ খ্ৰীষ্টাৰে কাশিয়ার (কুশীনগরের) মহাপরিনিৰ্ব্বাণ গুপ। ফোটোগ্রাফ রাধারমণ সেন কর্তৃক গৃহীত । পুষ্করিণী হইতে উদ্ধত হইয়া নগরের উত্তরভাগে একটি সুদৃষ্ঠ মন্দিরে প্রতিষ্ঠিত হইয়াছে।” এই সুন্দর প্রাচীন মুঞ্জিটি কৃষ্ণবর্ণ প্রস্তরের, ইহার কোথাও কোন অংশ বিন্দুমাত্রও ভগ্ন হয় নাই দেখিলাম। কবীরের সাধনার স্থান ও সমাধি দর্শন গোরখপুর জেলার মগ হর নামক গ্রামে ভক্ত কবীরের সাধনার স্থান ছিল । তাহার সমাধিও সেখানে অবস্থিত। কবীর তত্ত্ববায় ছিলেন । মগ হর গ্রামে এখনও অনেক তত্ত্ববায়কে বস্ত্রবয়ন-কার্য্যে ব্যাপৃত দেখিলাম। কথিত আছে, কবীরের মৃত্যুর পর মুসলমানেরা তাহার দেহ কবর দিতে এবং হিন্দুর দাহ করিতে চায়, কিন্তু যে-বস্ত্রে তাহার শরীর আচ্ছাদিত ছিল, তাহা উত্তোলন করিলে দেখা গেল, তথায় দেহ নাই, পুষ্পরাশি রহিয়াছে ! র্তাহার স্মারক সমাধি-মন্দির পাশাপাশি দুটি—একটি হিন্দুদের, অপরটি মুসলমানদের । হিন্দুদের মন্দিরটিতে কবীরের