পাতা:প্রবাসী (ত্রয়স্ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৬৩৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বিবিধ প্রসঙ্গ—মোগা খাম্ ও ভেজ বাহাদুর সাঞ্জর উপাধি (3ు প্রচলিত। কিন্তু ঐ দুই প্রদেশে তথাকার প্রচলিত কোন · ভাষাভাষীকে ডোমিসাইলের অর্থাৎ স্থায়ী-অধিবাসিত্বের সার্টিফিকেট লইতে বলা হয় না । সরকারী বিহারী-উড়িষ্যাপ্রদেশে, আদিম মুণ্ড প্রভৃতিদের ভাষা বাদে, হিন্দী, ওড়িয়া ও বাংলা প্রচলিত ; অর্থাৎ তথাকার হিন্দীভাষীর ও ওড়িয়ুভাষীরা যেমন ঐ প্রদেশের কোন-না-কোন অঞ্চলে আবহমান কাল বাস করিয়া আসিতেছে, বাঙালীরাও সেইরূপ তথাকার কোন কোন অঞ্চলে আবহমান কাল বাস করিয়া আসিতেছে। তাহারাও এই অর্থে ‘নেটিভ' বিহারী। সুতরাং তাহাদিগকে ডোমিসাইলের সার্টিফিকেট লষ্টতে বলা অধোঁক্তিক । লাটসাহেব তাহাদিগকে হিন্দীভাণী বিহারীদের সহিত এক হক্টতে বলিতেছেন, কিন্তু সরকারী ব্যবস্থা তাহাদিগকে পুথক্ করিয়া রাখিয়াছে। পাটনার মেডিক্যাল কলেজে বৎসরে আটটির বেশী বাঙালী লইবার নিয়ম নাই কেন ? এঞ্জিনীয়ারিং কলেজেও ঐ প্রকারের নিয়ম আছে কেন ? যত জন শিক্ষার্থী হয়, সকলকে লইবার যদি স্থান না থাকে, তাহা হইলে যোগ্যতা অনুসারে যোগ্যতম নির্দিষ্টসংখ্যক ছাত্রকে লওয়াই ন্যাঘা ও যুক্তিসঙ্গত। তাহা না করিয়া কেবল কয়েক জন বাঙালী ছাত্র লওয়া হয়, এবং তাহার পর যোগ্যতর বাঙালী থাকিতেও অযোগ্যতর অবাঙালী এবং পাটনা ভিন্ন অন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রও লওয়া হয় । যদি সরকারী নজরে বিহারী ও বাঙালী এক, তাহ হইলে বিহারী ও বাঙালী শিক্ষার্থীদের মোট তালিক হইতে যোগ্যতমদিগকেই ভৰ্ত্তি করা উচিত। বিহারী সংবাদপত্র “সার্চলাইট” বলিতেছেন, মেডিক্যাল কলেজে চল্লিশের মধ্যে সাত জন অর্থাৎ শতকরা সতের জনের উপর বাঙালী লওয়া হইয়াছে, যদিও বাঙালীরা প্রদেশের অধিবাসী-সমষ্টির শতকরা তের জন । কিন্তু, আমরা বলি, “শতকর’র” কথা উঠে কেন ? বিহারী ও বাঙালী যদি এক, তাহা হইলে যোগ্যতম চল্লিশ জন গ্রহণ কর, তাহারা সবাই বিহারী হইলেও কেহ আপত্তি করিবে না। আর যদি শতকরার কথা তুলিতেই হয়, তাহা হইলে যাহারা পাটনা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয় তাহদের, এবং যাহারা মেডিক্যাল ও এঞ্জিনীয়ারিং কলেজে শিক্ষার্থী চাহিয়াছিলেন । হয় তাহদের শতকরা কত জন বাঙালী তাঁহাই বিবেচনা করা উচিত। - - - “বেহার হেরাল্ড" দেখাইয়াছেন, শাসন, বিচার, পুলিস ও চিকিৎসা বিভাগের প্রাদেশিক শ্রেণীর চাকরিগুলিতে ( Provincial Servicos-a ) www zoxfl witol opófwg শতকরা ২০ জন বাঙালী নিযুক্ত করিবার দস্তুর ছিল। আজকাল কিন্তু কচিৎ এক আধ জন বাঙালী লওয়া হয়। হাইকোর্টের জজিয়তীতে ১৯২৯ সাল হইতে একজন বাঙালীও নিযুক্ত হয় নাই । - বিহারের বাঙালীরা কোন্সিলে কয়েকটি স্বতন্ত্র আসন লাটসাহেব তাহার বিরোধী । আমরাও তাহার সমর্থন করি না । কিন্তু ব্রিটিশ গবন্মেস্ট সকল অধিবাসীকে সমনাগরিক বলিয়া কাৰ্য্যতঃ স্বীকার করেন না । নানা শ্রেণী, ধৰ্ম্মসম্প্রদায় ও বৃত্তিভেদে আলাদা আলাদা আসনের ব্যবস্থা হইয়াছে। ১৯১৯ সালে বিহারের বাঙালীদিগকে আলাদা প্রতিনিধি দিবার নীতি সরকার মঞ্জুর করিয়াছিলেন, প্রাদেশিক ফ্র্যাঞ্চিল, কমিটিও তাহাতে রাজী ছিলেন, কিন্তু হোয়াইট পেপারে আরও কত ভাগাভাগি রক্ষিত হওয়া সত্ত্বেও বাঙালীদিগকে বিহারে আলাদা আসন দেওয়া হয় নাই । সংখ্যালঘিষ্ঠদের স্বার্থরক্ষার জন্য অভিপ্রেত লীগ অব নেশ্যন্সের সন্ধিগুলিতে সংথ্যালঘিষ্ঠ ভিন্নভাষাভাষীদের স্বাওন্ত্র্য স্বীকার করা হইয়াছে। স্বতরাং বিহারের বাঙালীদের বেলাতেই গবন্মেণ্ট গণতান্ত্রিকতার ও স্বাজাতিকতার পাও সাজিলে তাহ স্থশোভন হয় না। যাহা হউক, বিহারীভ্রাতার যদি সত্য সত্যই বাঙালীদিগকে সম-ভারতীয়, সম-প্রাদেশিক ও সম-নাগরিকের অধিকার ও ব্যবহার কার্য্যতঃ দিতে রাজী থাকেন, তাহা হইলে কেন্সিলে আলাদা আসন নাই বা রছিল ? আগা খান ও তেজ বাহাদুর সাপ্রর উপাধি নববর্ষের উপাধি বর্ষণের দুটি সমান বড় ফোটা আগা থান ও স্তর তেজ বাহাদুর সাপ্রর শিরে পড়িয়াছে। র্তাহারা উভয়েই ইংলণ্ডেশ্বরের গ্রিভি কৌন্সিলর হইয়াছেন এবং এখন হইতে তাহদের নামের আগে রাইট অনারেবল অর্থাৎ ঠিকৃ-মাননীয় লিখিতে হইবে । প্রিভি কৌন্সিলর পদবীটি