পাতা:প্রবাসী (ত্রয়স্ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৬৩৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

($షి ছুটি শৰ লইয় গঠিত, অর্থ অভিধানে ভ্রষ্টব্য ; শব ছুটির আলাদা আলাদা অর্থ ধরিলে বিষম ভ্রম হইবে। ব্রিটিশ গবন্মেণ্ট যাহাদিগকে উপাধি বখশিশ দেন, তাহারা গবন্মেন্টের উদ্দেশ্য সিদ্ধ করিয়াছেন বলিয়াই পুরস্কৃত হন। রাইট অনারেবল অর্থাৎ ঠিক-মাননীয় আগা খান মুসলমান সম্প্রদায়ের স্বার্থ ও প্রাধান্য পুরাপুরি রক্ষা করিবার জন্য তথাকথিত গোলটেবিল বৈঠকে ও জয়েণ্ট পালেমেণ্টারী কমিটির সমক্ষে চেষ্টা করিয়াছিলেন। তিনি পুরস্কৃত হওয়ায় অনুমান হয়, গবন্মেণ্ট এরূপ চেষ্টার অনুমোদন করেন। রাইট অনারেবল অর্থাৎ ঠিক্ৰমাননীয় সার তেজ বাহাদুর সাপ্র উল্লিখিত উভয়ত্র মুসলমান প্রতিনিধিদের অভিযান হইতে হিন্দুদের ন্যাযা অধিকার, প্রভাব ও স্বার্থ রক্ষার জন্য কোন চেষ্টা করেন নাই, বরং মুখে না বলিলেও, কাৰ্য্যতঃ কতকটা মহাত্মা গান্ধীর মুসলমানদিগের দাবিতে আত্মসমপণ নীতির অনুসরণ করিয়াছিলেন । তিনিও ঠিকৃ-মাননীয় আগ থানের সমান সন্মান পাওয়ায় মনে হইতেছে, তাহার কৰ্ম্মনীতিও গরন্মেন্টের অনুমোদিত । একখানি কাগজে দেখিলাম, দিল্লীর গুজব এই, যে, উভয় ঠিক-মাননীয় নেতাকে বিলাতী লর্ড বানাইবার কথা কর্তৃপক্ষের কল্পনায় উঠিয়া থাকিলেও, এই কারণে র্তাহারা লর্ড হইতে পারিলেন না, যে, হিন্দু ও মুসলমান আইন অনুসারে একাধিক জীৱিত স্ত্রী থাকিতে পারে, অর্থাৎ বহুবিবাহ সিদ্ধ, খ্ৰীষ্টীয় ব্রিটিশ বিধিতে তাহা সিদ্ধ নহে। লর্ড করা হয় খ্ৰীষ্টীয় ও ব্রিটিশ রীতি অতুসারে । স্তর তেজ বাহাদুর সাপ্রার সাধারণ আইনের জ্ঞান যেরূপ বিস্তৃত ও গভীর, নানা দেশের কন্সটিটিউশুনের ( অর্থাৎ মূল রাষ্ট্রীয় বিধির ) এবং কন্সটিটিউশ্যন্যাল আইনের জ্ঞানও তেমনি বিস্তুত ও গভীর। তিনি তথাকথিত গোলটেবিল বৈঠকে অনেক তর্কবিতর্ক করিয়াছিলেন যাহার উত্তর দিবার ক্ষমতা ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদীদের ছিল না। হোয়াইট পেপারের সমালোচনাও তিনি এরূপ করিয়াছেন, যে, তাহার জবাব নাই। ৫ গ্রেহালয়ঃ SనO80 ব্রিটিশ গবন্মের্ণট অবশ্য র্তাহার তর্কযুক্তি মানিবেন না । তথাপি, যেহেতু তিনি সহযোগী, অসহযোগী নহেন, এইজন্য গবন্মের্ণ র্তাহাকে ঠিক-মাননীয় করিয়া হাতে রাখিলেন। বেঠিক্‌-মাননীয়ের দারুণ শীতে, আশা করি, গাত্রদাহ অতুভব করিবেন না । জাপান-ভারতীয় বস্ত্ৰ-কাপাস চুক্তি ভারতবর্সের গরিব লোকেরা পয়সার অভাবে যথেষ্ট কাপড় ব্যবহার করিতে পারে না। কিন্তু বৰ্ত্তমানে ধমীদরিদ্র যত কাপড় ব্যবহার করে, তাহার কতক দেশে প্রস্তুত হয়, কতক বাহির হইতে, প্রধানত: জাপান ও বিলাত হইতে, আসে ; ভারতবর্ষের চরক, হাতের তঁাত, এবং স্বতা ও কাপড়ের মিলে ভারতীয়দের আবশ্যক অনুযায়ী সমুদয় কাপড় তৈরি হয় না। অথচ কাপাস এদেশে যত জন্মে ও জন্মিস্তে পারে, ভাহা হইতে এদেশেই স্বতা ও কাপড় তৈরি হইলে দেশের বস্ত্রের চাহিদা মিটাইতে পারা যায়। সুতরাং চরকা, হাতের তাত ও মিল যথেষ্ট বুদ্ধি এবং তদ্দ্বারা ভারতীয় কার্পাস পূরামাত্রায় ব্যবহার করিয়া ভারতের আবশ্যক সব বস্ত্র ঘোগান ভারতের একমাত্র আত্মসম্মানসূচক ও স্বাবলম্বনব্যঞ্জক বন্ধসমস্তার সমাধান । কিন্তু আমরা এখন আমাদের সব কাপাস ব্যবহার করিতে পারি না, সব কাপড়ও যোগাইতে পারি না। আবার জাপানী কাপড়ের ভারতে আমদানী বন্ধ করিলে তাহার। আমাদের তুল কিনিবে না, যা এখন কেনে। এ অবস্থায় জাপান ভারতের কত তুলা কিনিবে ও কত কাপড় ভারতে পাঠাইতে পারিবে সে-বিষয়ে চুক্তি হওয়া ভালই হইয়াছে । বিলাতী বন্ধনিৰ্ম্মাতার কেবল স্তোকবাক্য বা গায়ের জোরে কাজ সারিতে চায়। তাহারা যদি ভারতে কাপড় বেচিতে চায়, তাহা হইলে তাহাদিগকেও ভারতীয় তুল কিনিতে বাধ্য.করা উচিত।