পাতা:প্রবাসী (ত্রয়স্ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৬৪৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ফাঙ্কতন জুগিয়া জাতি doo আকারে তাহারা মাত্রাজের সাধারণ তেলুগু দেশবাসীরই . অঙ্কুরুপ। তুলিয়ার হিন্দু, কারণ তাহারা হিন্দু দেবদেবীর পূজা করে, এবং তাহাদের সামাজিক সংস্কারে ব্রাহ্মণ ও বৈষ্ণবেরও স্থান আছে। ব্রাহ্মণ পুরোহিত শুধু বিবাহের সময়ে আসেন। দেবদেবীর পূজা হলিয়ার নিজেরাই করে, দেবপূজার জন্য কাহারও বংশগত অধিকার নাই, সে অধিকার গুরুশিষ্যপরম্পরায় চলিতে থাকে । কেবল গ্রামদেবীর পূজার জন্ত একটি বংশ স্থির করা আছে ; দেবী নাকি তাহাদেরই বংশে প্রথম আবিভূতি হন, সেই জন্যই তাহাদের এই অধিকার । দেবগণের মধ্যে নৃসিংহ ও মহাদেব প্রধান । ইহাদের বিশেষ কোনও অভ্যাচার উৎপীড়ন নাই, কিন্তু তাহদের অতুচরবর্গকে সন্তুষ্ট করিতেই তুলিয়ার প্রাণাস্ত হইয় থাকে। অল্পচরগণের নামও সংস্কৃতে নহে, তেলুগু ভাষায়, যথা - অস্কপলান্মা, এনাগী-শক্তি, দাইবুম্ সম্বারমৃ ইত্যাদি। ইহাদের থাই বড় বেশী। গ্রামে রোগ হৰ্চলে বুঝিতে হইবে জলি উঠান পূজা দেওয়া দরকার, বাড়িতে উৎপাত হইলেও তাই। তাহাদের পূজার জন্ত মুরগী, পৃষ্ঠার প্রভৃতি ঘটা করিয়া বলি দিতে হয় । একদিন এইরূপ একটি পূজা দেখিতে দিছিলাম। শুনিলাম, একজন গৃহস্থের বাড়িতে পূজা। তাছার বাড়িতে নাকি দু-একটি ছৰ্ঘটনার পর বুঝিতে পারা গেল, গৃহস্থের পিতার আত্মা শাস্ত হন নাই, তাহার জন্য . পূজা দেওয়া দরকার। গুণী লক্ষণ দেখিয়া বলিয়াছে যে, সেই আত্মা নরসিংহ প্রভৃতি দেবতার মধ্যে লীন না হইয়া এনেগী-শক্তির সহিত শীতকালে বড় টানা-জালে মাছ ধরা রহিয়াছেন। সেইজন্য এনেগী-শক্তির নিকট একটি মুরগী বলি দিতে হইবে এবং একটি মাটির বা কাঠের ঘোড়াও দিত্তে হইবে, যেন পিতার আত্ম তাহাতে আরোহণ করিতে পারেন। কুলিয়াটির বাড়িতে গিয়া দেখিলাম যে গুণী শাড়ী পৰিয়া ও বিকুনা বাধিয়া দেবীর রূপ ধারণ করিয়াছে এবং মুরগী, নৈবেদ্য, ঘোড়া প্রভৃতি লইয়৷ আরও জন-দশেক জুলিয় তাহাকে ঘিরিয়া আছে। ঘরের মধ্যে কিছুক্ষণ নাচিবার পর গুণী বাহিরে আসিয়৷ পথের উপর কাঠের তরোয়াল লইয়া নাচিতে লাগিল। জিজ্ঞাসা ‘. করিয়া শুনিলাম যে, যতক্ষণ-ন। গুণী আবিষ্ট হুইয়া গ্রামের প্রাষ্ণে এনেগী-শক্তির মন্দিরের দিকে যায় ততক্ষণ নাচ চলিতে থাকিবে । চারিদিকে নাচের তাড়নায় ধূলা উড়িতেছে, তাহার উপর দ্বিপ্রহরের রৌত্র। ইহার মধ্যে ঢাক, শানাই প্রভৃতির তীব্র আওয়াজ, তাহাতে সাধারণ লোকেরই মাথা ঘুরিয়া যাইবার কথা, গুণী