পাতা:প্রবাসী (ত্রয়স্ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৬৬০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৬১২ কিন্তু জন্তে ইহা বুধিৰে কি ? রাজা পাশ্চাত্য দেশে শিক্ষালাভ করিয়াছেন, তিনি একজন কালচার্ড লোৰ, তিনি পাশ্চাত্য দেশে অনেক নারীর সঙ্গে মিশিয়াছেন, সেজন্য নারীর সন্মান রক্ষা করিয়া কিরূপে চলিতে হয়, তাহা বিলক্ষণ জানেন। কিন্তু তিনি আমার প্রতি যতটা মনোযোগ দিতেছেন, তাহা কি উচিত ? তাহার স্থায় পদস্থ ব্যক্তির পক্ষে ইহা কি স্বাভাবিক ? चमि क्रूि ऊँीशब्र गनब्र शबश८ब्र निडांड यछिडूङ इहेब পড়িয়াছি । তাহার প্রভাবের মধ্যে এতটা ধরা দেওয়া কি আমার পক্ষে সঙ্গত হইতেছে ? তিনি আমার প্রতি যেন আকৃষ্ট হইয়া পড়িয়াছেন। প্রথম দর্শনেই আমার রূপে যেন মুগ্ধ হইয় পড়িলেন। তাহার তখনকার সেই চোখের দৃষ্টিটা এখনও আমার মনে অতি হইয়া আছে। ইহা কি লালসার দৃষ্টি, না সৌন্দর্ঘ্যের প্রতি একজন রূপদক্ষের র্যাপ্রিসিয়েশুন ও অ্যাডমিরেগুন(সৌন্দর্ধ্যান্থস্থতি ও প্রশংসা ) ? তাহার কথাবার্তা ত বেশ স্বসংস্থত, তাহাতে লালসার কোন চিহ্ন নাই। স্বতরাং আমার ভয়ের কারণ কি ? একথা ঠিক, তিনি আমার সঙ্গ পছন্দ করেন—শঙ্করও ত আমার সঙ্গমুখ উপভোগ করিবার জন্ত ব্যাকুল হইয়াছিল। রাজা সাহেবও কি সেইরূপ ? তা আমার বোধ হয় না। র্তাহার স্ত্রী স্বশিক্ষিতা নহেন, তাহার স্থায় এনলাইটেও (‘আলোকপ্রাপ্ত ) স্বামীর অনুপযুক্ত। সেই জন্ত তিনি এন্‌লাইটেও স্ত্রীলোকের সঙ্গ খোজেন। কিন্তু তাহাকে আমার সঙ্গে মিশিতে দেওয়া আমার পক্ষে ভাল কি মন্দ ? আমি জীবনের যে আদর্শ গ্রহণ করিয়াছি, তাহার পক্ষে ভাল না মন্দ ? আমি সেই আদর্শ অক্ষুণ্ণ রাখিতে পারিব কি ? আমার অভিজ্ঞতা যতই বাড়িতেছে, ততই আদর্শ বইতে আমি যেন অল্পে অল্পে দূরে সরিয়া যাইতেছি। বিবাহ সম্বন্ধে কিশোরের সঙ্গে আমার যে তর্ক হইয়াছিল, তাহার সেই কাট-কাটা কথাগুলি এখনও আমার মনে খোচা দেয়। তার পরে পণ্ডিত-মহাশয় বিবাহ সম্বন্ধে ষে লেকৃচার দিয়াছিলেন, তাহার বাৰ এখনও আমার মনে আছে। কিশোর এখন কোথায় আছে, কি করিতেছে, কে জানে। কিশোর কিন্তু আমাকে যথার্থই ভালবালে। কিশোর চোখের জল লুকাইতে লুকাইতে আমার নিকট হইতে বিদায় হইয়াছিল, সে সময় জামার চোখেও জল আসিয়াছিল। আমার মনে কি তবে তাহার ভালবাসার ছোৱাচ লাগিয়াছে ? কিশোরের আন্তরিকতা किरू चांमॉब्र वज्रहे छाल लॉजिब्राझिल । क्रिलांब्र uकट्ठे वैछि সোনার মাছৰ। কিন্তু এসব কথা আমি ভাবিতেছি কেন ? আমার কি তবে আদর্শ আগ করিয়া বিবাহ করার ইচ্ছা করা চলে না ? আমি কি তবে চিরদিন আমার আদর্শের জন্ত কঠোর তাপসৰ্বত্তি অবলম্বন করিয়া থাকিব ? নিস্তারিণী তাহার স্বামীর সঙ্গে কিরূপ স্বশ্বের সংসার বাধিয়াছিলেন, তাহাদের মধ্যে যথার্থ প্রেম জন্সিয়াছিল বলিয়া মনে হয়। সেই প্রেম স্মরণ করিম এখনও তিনি চোখের জল ফেলেন। শুনিয়াছি এই প্রেমের দ্বারাই যথার্থ নারীত্বের বিকাশ হয় । আবার রাণীর কথায় সেদিন বুঝিলাম, মা হইবার জন্ত তাহার হৃদয় হাহাকার করিতেছে। এই মাতৃৰ নারীর একটা আকাঙ্ক্ষার বস্তু। যে নারীর সন্তান হয় নাই, তাহার জীবন যেন অসম্পূর্ণ থাকিয়া যায়। আর যাহাদের বিবাহ হয় নাই, তাহাদের ত কথাই নাই। ষে নারী বিবাহ করে নাই, তাহার জীবনে প্রেমের সরসতা থাকে না, আবার মাতৃত্বের কোমলতাও জন্মে না । তাহার জীবন যেন শুষ্ক মরুভূমি। কিশোর বলিয়াছিল, আমার মন মতবাদের কণ্টক দ্বারা আবৃত, সেজন্ত প্রেমের ফুল ফুটিতে পারিতেছে না। ফুলের কুঁড়ি হয়েছে কি –কিন্তু আমি যে সকল মতবাদ গ্রহণ করিয়াছি, তাহা নারী-প্রগতির জন্ত একান্ত আবশুক। আমি কি তবে নারী-প্রগতির সার্থকতার জন্ত আমার নারীজীবন বিফল করিব ? কলিকাতায় নারী-প্রগতি সমিতি আমরা যাহা করিয়াছিলাম, তাহার অবস্থা শোচনীয়. অরণা বলিমাছিল। ইহার মধ্যেই অনেক মেম্বর খসিয়া পড়িয়াছে। আমার ক্ষুদ্র সামর্থ দ্বারা নারী-প্রগতি কতটা অগ্রসর হইবে ?—এইরূপ নানাপ্রকার চিন্তা করিতে করিতে আমি ঘুমাইয়া পড়িলাম। > a রাত্রি প্রভাত হইলে, পণ্ডিত মহাশয় যথাসময়ে পড়াইতে আসিলেন। র্তাহার মুখ ভার ভার বোধ হইল। অন্ত কোন কৰা না বলিয়া তিনি বইতে লইয়া পড়াইতে আরম্ভ করিলেন এবং এক ঘণ্টা পড়াইয়া বলিলেন, “ম, আমার আর তোমাকে পড়ান স্বৰিখা হবে না। আমি কাল থেকে জাৱ আগৰ না। छि अर्का कथा बाण पाक्रि-उदङ्कछि कणराइन,