পাতা:প্রবাসী (ত্রয়স্ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৬৬১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

够》● “বখা গ্ৰীণাং তথা রাজ্ঞাং সাধুৰেন্থজনোজন ।” “যেমন স্ত্রীলোকদিগের তেমনই রাজাদিগের চরিত্রের সাধুতায় । লোকে সহজেই ছুনাম রটনা করে ।” “এখানে স্ত্রী ও রাজা দুই-ই একত্রে মিলিত, কাজেই দুৰ্জন লোকেরও নানা কথা বলার খুব স্ববিধা হয়েছে। আমি ব্ৰাহ্মণ পণ্ডিত মানুষ, আমার তফাৎ থাকাই ভাল।” এই বন্ধিয়া আমাকে কোন কথা বলার অবসর না দিয়া তিনি উঠিয়া পড়িলেন। আমারও মনে রাগ ও অভিমান হইল, আমি কিছু না বলিয়া তাহাকে প্রণাম করিলাম, তিনি বাহির হুইয়া গেলেন। অন্ত দিনের মত সেদিনও সন্ধ্যাবেলায় রাজা সাহেব গাড়ী লইয়া আসিলেন এবং আমাকে খবর দিলেন। আমার শরীর অস্বস্থ বলিয়া আমি আর সেদিন বাহির হইলাম না। বাস্তবিক সেদিন আমার শরীর না হউক মন বড়ই খারাপ হইয়াছিল। কিন্তু আমি বাহির না হইলে কি হয়, রাজা নিজেই গাড়ী হইতে নামিয়া আসিলেন এবং আমার বসিবার ঘরে বসিলেন। আমাকে বাধ্য হইয়া সেখানে আসিতে হইল। আমাকে দেখিয়া তিনি বলিলেন, “আজ আপনার হয়েছে কি ?” আমি বলিলাম, "শরীরটা বড় ভাল বোধ হচ্ছে না।” “এক কাপ চ খান, শরীর ভাল বোধ হবে’খন।" এই বলিয়া তিনি তাহার খানসামাকে ডাকিলেন, সে চায়ের দ্রব্যাদি লইয়া হাজির হইল। আমি এবার বুঝিলাম আমি ছাড়িতে চাহিলেও “কমলী ছোড় তা নেহি ।”—আমি অগত্যা ঠাকুরকে চায়ের জল গরম করিয়া জানিতে বলিলাম। তখন রাজা সাহেব আমার কৌতুক উৎপাদন করিবার জন্য দেশ-বিদেশের নানা গল্প জুড়িয়া দিলেন, কিন্তু তাহ শুনিবার মত ধৈর্য্য আমার ছিল না। আমি কেবল ‘ই’, ‘ই’ দিয়া সারিলাম। চাম্বের জল আসিলে আমি চ প্রস্তুত করিয়া তাহাকে এক কাপ দিলাম ও আমি এক কাপ খাইলাম। আমার ভাব বুঝিয় রাজা সাহেব আজ আর বেশীক্ষণ না বসিয়া “গুড নাইট” বলিয়া বিদায় গ্রহণ করিলেন, আমি হাফ ছাড়িয়া বাচিলাম । নিস্তাৰিণী আজ আসিলেন না। বোধ হয় পণ্ডিত মহাশয়ের মত তিনিও আমার সঙ্গে নন-কো-অপারেশন করিলেন। সকলে আমাকে একঘর্যে ক্ষরিত। ভবানীপুর খুলের লেই হেডমিষ্ট্রেস আমাকে যেরূপ কৰ্ম্মত্যাগ করিতে বাখ করিয়াছিল, যদি নিস্তারিণীর লে ক্ষমতা থাকিস্ত, তবে তিনিও নিশ্চয়ই আমাকে বরখাস্ত করিতেন। কিন্তু আমি ত মনে মনে জানি আমি তখনও যেরূপ নিষ্পাপ নিষ্কলঙ্ক ছিলাম, এখনও সেইরূপ আছি । - ইহার পরের দিন যথার্থ একটা ক্রাইসিস (সঙ্কট জালিয়া উপস্থিত হইল, এবং তাহার দ্বারা আমার জীবনের গতি সম্পূর্ণ রূপে পরিবর্তিত হইল। -- রাজা সাহেব গাড়ী লইয়া আসিবেন সেই ভয়ে জামি রৈকালে পাচটার সময় বোর্ডিঙের মেয়েদের লইয়া বড় রাস্তার বেড়াইতে বাহির হইলাম। আমার ধারণ ছিল, আমাকে বাসায় না পাইম রাজা সাহেব নিজেই বেড়াইতে যাইবেন এবং . সেদিনের মত আমাকে তাহার সঙ্গ হইতে নিষ্কৃতি দিবেন। আমি মেয়েদের লইয়া রাস্তায় প্রায় এক মাইল বেড়াইয়া সন্ধার সময় বোর্ডিঙে ফিরিয়া আসিলাম। কিন্তু ও হরি, কমলী ছোড় তা নেহি-আমি আসিয়া দেখি রাজা সাহেব আসিয়া আমার বসিবার ঘরে হাত পা ছড়াইয় ঈজি চেন্নারে বসিয়া আছেন। আমাকে দেখিয়া বলিলেন, “ও, ইউ লুক্‌ সিম্প্ল চামিং ইন দিস পিন্ধ শাড়ী এও ব্লাউস (এই ফিক লাল রঙের সাড়ী ও ব্লাউলে আপনাকে চমৎকার দেখাইতেছে )। আমি আপনার ঘরে আজ অনধিকারপ্রবেশ করেছি, আর আগেই ঠাকুরকে চা খাওয়ার বন্দোবস্ত করতে অর্ডার দিয়েছি। আপনি ব্যস্ত হবেন না, এদিকে এগিয়ে বস্কন " আমি কোন কথা না বলিয়া দূরে একটা চৌকীতে বসিলাম। তিনি আবার বলিলেন, “কতদূর গিয়েছিলেন ? মধ্যে মধ্যে মেয়েদের নিয়ে রাস্তায় বেড়ানো মন নয়, এতে তাদেরও ‘ওপন এয়ার এক্সারসাইজ’ ( খোল বাতাসে अषच। 5ांजनी ) इश्च । এই সময় ঠাকুর কের্টুলিতে গরম জল আনিল,— চাম্বের অক্ষান্ত সরঞ্জাম রাজা সাহেবই সঙ্গে করিয়া আনিয়াছিলেন আমি চা প্রস্তুত করিয়া তাহাকে খাইতে দিলাম, তিনি চা খাইতে খাইতে নানা কথা বলিলেন। কিন্তু আমি দুই-একটা ই, হ-ছাড়া জার কিছুই বলিলাম না। - - চা খাওয়া শেষ করিয়া রাজা সাহেব আমাকে বলিলেন