পাতা:প্রবাসী (ত্রয়স্ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৬৬৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Woo ఏనDBO আমি বলিলাম, “তিনি ঠিকই বলেছেন। এখনই তিনি জামাকে ঐ কেলেট উপহার দিয়ে তার রাজরাণী করবার প্রভাব করে গেলেন।” কিশোর বলিল, “তাত আমি নিজের কানেই শুনেছি। আমি আজ বৈকালে পাচটার সময় তোমার সঙ্গে দেখা করতে এসে গুনলাম তুমি মেয়েদের নিয়ে বেড়াতে গিয়েছ। আমি তোমার জন্ত এই ঘরে বসে অপেক্ষা করতে লাগলাম। পরে রাজাকে আসতে দেখে আমি পাশের ঐ ঘরটার মধ্যে গেলাম এবং দরজা বদ্ধ করে খড়খড়ি খুলে কি হয় দেখবার জগু চুপ করে বসেছিলাম। তোমার ঠাকুর আমাকে দেখেছিল, তাকে তোমার নিকট কিছু বলতে নিষেধ করেছিলাম। পরে তুমি বেড়িয়ে এলে, এবং রাজার সঙ্গে তোমার যে-সব কথাবার্তা হয়েছে, আমি সব গুনেছি।” আমি ৰলিলাম, “কিন্তু এখানে আসবার আগে হস্থত আমার অনেক নাম গুনেছিলে ?” কিশোর বলিল, “সেই সব কথা শুনেই আমার এরকম আড়ি পেতে থাকতে ইচ্ছা হ’ল। কিন্তু যে যা বলুক, জামি সে-সব কিছু বিশ্বাস করতে পারিনি। তবে একথা ঠিক, ছৰ্দাপ্ত ক্ষমতাশালী লোকদের অসাধারণ ক্ষমতা আছে, যাতে ক'রে তারা অসম্ভবকেও সম্ভব করতে পারে।” জামি বলিলাম, “আমিও ত সেই ভয়ে দাদার মত নেওয়ার ছলে সাত দিনের সময় নিয়েছিলুম, তাত তুমি নিজেই গুনেছ ” - কিশোর বলিল, “বাৰু সে ৰখা। টেলিগ্রাঙ্ক ফরম্ আছে ? আমি স্বকুমারকে আলবার জন্ত এখনই তার করে দিচ্ছি। আর তোমার এখানে বাংলা পাজি আছে ?” चामि ?ांकूब्रहरू छांकिब्र इटलद्र थांनिन-घब्र झहेरठ একখানা টেলিগ্রাফ ফরম্ ও বাংলা পঞ্জিকা জানিতে বলিলাম ও চাৰি তাহার হাতে দিলাম। ঠাকুর সেগুলি জানিয়া দিল এবং পাজি দেখিয়া কিশোর একটা টেলিগ্রাম লিখিয়া আমাকে দেখিতে দিল— “My marriage with Niharika day after tomorrow. Come sharp with Pramik. Kishor" ( আগামী পরও নীহারিকার সহিত আমার বিবাহ স্থির .হইছে। প্রমীলাকে লইয়া অবিলম্বে আসিবে। কিশোর। ) আমি এই টেলিগ্রাম দেখিয়া হানিলাম। তখন নারীপ্রগতির কথা একবারও যনে পড়িল না । s কিশোরকে বলিলাম—“তুমি রাজা সাহেবের র্গের মধ্যে বলে তার বিরুদ্ধে দুর্গ রচনা করতে যাচ্ছ । এবার তিনি धूद जल श्टक्न ” কিশোর হাসিয়া বলিল, “তুমি এত দিনে আমার সেই কথাটা হয়ত বুঝতে পেরেছ—স্বামীর সঙ্গই স্ত্রীর প্রধান দুর্গ। টেলিগ্রাফ আপিস হয়ত বন্ধ হয়ে যাবে, এখনই এটা পাঠিয়ে দাও।” ঠাকুর তখনই টাকা লইয়া টেলিগ্রাফ করিতে গেল। কিশোর বলিল, “আমি তবে এখন উঠি ? যুগলের সঙ্গে পরামর্শ করে এই এক দিনের মধ্যে সব বন্দোবস্ত করতে হবে।” আমি বলিলাম, "একটু ব’ল। তোমার কাছে ত এপৰ্য্যন্ত কোন খবর শোনা হয়নি। আর এখানকার একজন শিক্ষয়িত্ৰী নিস্তারিণী ঘোষ আছেন, তাকে ডেকে পাঠ ছ, তিনিও আমাদের অনেক বিষয়ে সাহায্য করবেন।” আমি একটি মেয়েকে ডাকিলাম, সে নিস্তারিণীকে ডাকিতে গেল। ইতিমধ্যে কিশোর বলিল, “সব খবর ভাল। আমার মেডিক্যাল কলেজে পড়ার বাধা দূর হয়েছে। দাদা যে জজ লাহেবের পেস্কার, কৃষ্ণনগর গিয়া দাদার পরামর্শে আমি তার সঙ্গে দেখা করে আমার মোকদ্দমার সব কথা তাকে বুঝিয়ে বললাম। তিনি বললেন, তুমি ত অতি উত্তম কাজ করেছিলে,—a most chivalrous deed for which you deserve a reward, (oftwa সম্মান রক্ষার জন্য তোমার বীরত্ব—এই জন্য তোমার পুরস্কার পাওয়া উচিত ) ৷ এ কাজের জন্তে তোমার পুরস্কার পাওয়া উচিত ছিল, তালা হয়ে তোমার জেল হ’ল, więto ovow one of of Let me see what I can do for you. (*f c(fxTA frg G-svfx করতে পারি কি-না দেখিতেছি) এই ৰলিয়া তিনি মেডিক্যাল কলেজের গ্রিন্সিপাল সাহেবের নিকট একটা চিঠি লিখে দিলেন। আমি সেই চিঠি নিয়ে কলকাতার গিয়ে তার সঙ্গে দেখা করলাম। তিনি পূৰ্ব্ব থেকেই জামকে ভালবাসতেন। সেই চিঠি পেয়ে জাম্বাৰে কলেজে