পাতা:প্রবাসী (ত্রয়স্ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৬৬৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

হলন্তন গঞ্জি )מע" * BBBB BBBB BBBS BBB gD BBBBS BBBS BB BBBBB BBBB BB S কি শ্বের স্বকুমারের ছেলে হৰে ।” মুলুক যে এই জংলী রাজাকে ভয় করতে হবে ? আমি আমি এই সকল সংবাদ শুনিয়া আনন্দ প্রকাশ করিলাম। ইতিমধ্যে নিস্তারিণী আসিয়া উপস্থিত হইলেন। তিনি বিবাহের কথা শুনিয়া বলিলেন, “ভগবান রক্ষা করলেন । ব্যাপার যেরূপ ঘোরালো হয়ে উঠেছিল, আমিত মনে করেছিলাম, আপনার আর উদ্ধারের উপায় নাই। আমি ত রাজা সাহেবকে জানি, তিনি যে কত মেয়ের সর্বনাশ করেছেন, তার ঠিক ঠিকানা নাই ( এ কথা চুপে চুপে বলিলেন )—আমি আপনাকে সাবধান করেছিলাম, আপনি তার বাহ্যিক চাকচিক্যে ভুলে আমার কথায় কর্ণপাত করেন নাই। এখনও খুব সাবধান হয়ে থাকতে হবে। বিবাহের আয়োজন খুব গোপনে গোপনে ক’রতে হবে। আমার বাড়িতেই বিয়ে হবে ।” পরে কিশোরকে বলিলেন, “আপনি অবশ্য এ দুই দিন বুগলবাবুর বাড়িতেই থাকবেন। তাকেও বলবেন, একথা যেন জানাজানি না হয়। পরে বিয়ের একটু আগে আপনি আপনার কয়েকটি বন্ধুকে নিয়ে আমার বাড়িতে আসবেন। একবার বিয়েট হয়ে গেলে রক্ষা ।” আমি বলিলাম, বৃদ্ধ পণ্ডিত মশামুকে কিন্তু বলতে হবে।” নিস্তারিণী বলিলেন, “তা অবশু বলা যাবে। আপনার পরম হিতৈষী " পর দিন সন্ধ্যাবেলা দাদা আসিয়া পৌছিল। কিন্তু প্রমীলা আসে নাই, তাহার বর্তমান অবস্থায় রেলে চড়া নিষিদ্ধ, তাহাৰে বাপের বাড়ি রাখিয়া আসিয়াছে । ব্যাপার শুনিয়া অত্যন্ত খুলী হইল এবং এত দিন পরে আমার সঙ্গে প্রাণ খুলিয়া আলাপ করিল। দাদা বলিল, “নীরী, মার আশীৰ্ব্বাদে তোর আর কোন বিপদ হবে না।” মায়ের কথা মনে পড়াতে আমি কাদিয়া ফেলিলাম এবং হাত যোড় করিয়া মায়ের উদ্দেশে প্রণাম করিয়া মনে মনে বলিলাম—“ম, তোমার অবাধ্য হইয়া তোমার মনে কত কষ্ট দিয়াছি। এবার তুমি আমাদের প্রাণ খুলে यांनॆ#ॉन कब्र ।” - - দাদা জাম্বার বলিল, “শোনো কিশোর, এ ত জানদের তিনি করতে চেষ্টা দাদা সমস্ত । কালই সকালে রাজার সঙ্গে দেখা করে তাকে জানিয়ে আসব।” পর দিন সকালে হাই স্কুলের হেড মাষ্টার সন্তোষ বাবুকে সঙ্গে করিয়া দাদা রাজা সাহেবের সঙ্গে সাক্ষাৎ করিতে গেল। দাদা ফিরিয়া আসিয়া বলিল, আমি যখন রাজা সাহেবকে বলিলাম, ‘আমার ভগিনী একটি যুবকের সহিত পূৰ্ব্বে আমার স্বৰ্গীয়া মাতা ঠাকুরাণীর দ্বারা বাগদত্ত, হইয়া আছে, এবং সেই যুবক এখানে আসিয়াছে, জামি আজই তাঁহাদের বিবাহ দিব। —রাজা সাহেব ক্ষণকাল কি চিস্তা করিয়া, গভীর দীর্ঘনিঃশ্বাস ত্যাগ করিয়া বলিলেন, ‘I am really glad to hear this, I must congr* tulate the young man on his good luck’ ( আমি ইহা শুনিয়া বাস্তবিকই স্বর্থী হইলাম। জাৰি সেই যুবকের সৌভাগ্যের জন্য তাহাকে অভিনন্দন করিতেছি ।) আপনার আজই শুভকাৰ্য্য সম্পাদন করুন। আমার স্বজি কোন সাহায্যের প্রয়োজন হয় তবে বলবেন, আমি সব রকমে সাহায্য করতে প্রস্তুত আছি । আমাকে বিয়ে দেখার নিমন্ত্রণ করবেন না ? দাদা বলিলেন, “আমাদের কি সে সৌভাগ্য হবে, যে, আপনার ন্যায় একজন রাজাকে নিমন্ত্রণ করতে পারি?” রাজা বলিলেন, “আমি নিশ্চয়ই যাব। “আমি সেই ব্রেসলেট রাজাকে ফিরিয়ে দিয়ে এসেছি। আমি দাঙ্গার এই সকল কথা শুনিয়া স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলিলাম। রাজা আসিবেন শুনিয়া বিবাহসভার আয়োজন ভাল রকমই করিতে হইল। আমাদের স্কুল কম্পাউণ্ডে রাজবাড়ির সামিয়ান খাটান হইল ও রংবেরঙের শতরী পাত হইল। হাই স্কুলের শিক্ষকগণ বরযাত্রী হুইলেন। বৃদ্ধ পণ্ডিত মহাশয় বিবাহের পুরোহিত হইলেন। আমাদের বোর্ভিঙেই নিমন্ত্রিতদের জলযোগের ব্যবস্থা করা হইল। রাজা সাহেব বিবাহের সময় আসিলেন এবং তিনি সেই ব্রেসলেট আমাকে উপহার দিলেন। এবার আমি তাহ প্রসন্ন চিত্তে গ্রহণ করিয়া র্তাহাকে নমস্কার করিলাম। সেখানে ফুলশয্যা শেষ করিয়া আমি দাদা ও স্বামীর সহিত কলিকাতা বাজা করিলাম। এইরূপে আমার চাকরী