পাতা:প্রবাসী (ত্রয়স্ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৬৭৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

লিংদরজা, ছৰ্গার হইতে চারিটি রাস্তা লেজ সিংদরজা ফুড়িয়া পরিখার সেতুর উপর পৌছিবে। গভীর রাত্রি পৰ্যন্ত ভাবিয়া ভাবিয়া জীবনলাল মতলব খাড়া করেন ; দিনের কাজকর্মের শেষে প্রসন্নচোখে তাকাইয়৷ তাকাইয়া দেখেন, স্বন্দর স্ববৃহৎ রাজধানী আকাশের নীচে ধীরে ধীরে মাথা তুলিয়া উঠিতেছে । নগরে ফিরিস্থা ক'দিন অল্পকিছু বিশ্রাম লইয়া রায়রায়ানও এই-সব কাজের মধ্যে একেবারে ডুবিয়া গেছেন। খুব ভোরবেলা ঘড়াং করিয়া দরজা খুলিবার মুখে এক একদিন একটু আধটু তাহার গলার আওআজ পাওয়া যায়। বন্দিনীদের পাঠাইয়া দিবার তখনও কোন উপায় হয় নাই। মধুকর র্তাহাদের তদারক করে, সমস্ত দিন সেপ্রায় এই-সব লইয়া থাকে; তারপর গভীর রাত্রে সকলে শুইয়া পড়িলে অনেকক্ষণ অবধি নির্জন অলিন্দে বসিয়া আপনার মনে বঁাশী বাজায় । সে সময়ে ঘুম-ভাঙা শয্যায় রামেশ্বরেরও এক একদিন মনে হয় তাহার বড় যত্নে বড় কঠিন শ্রমে গড় নগরীর উপর মধুকরের বাণী নিযুপ্ত রাত্রে মাঠের দিগন্ত হইতে স্বপ্নকুহকিনীদের ডাকিয়া জানিতেছে। একদিন নির্জনে রামেশ্বর হঠাৎ আসিয়া মঞ্জরীর সামনে দাড়াইলেন। —শোন— সপ্রশ্নদৃষ্টিতে মঞ্জরী চাহিল। এক মুহূৰ্ত্ত থামিয়া রামেশ্বর বলিতে লাগিলেন—সেদিন আমার সম্বন্ধে তুমি মিথ্যা অভিযোগ করছিলে। ও সব শক্ৰদের রটনা। এ কয়দিনে মঞ্জরী অনেক বুঝিয়াছে, চোখের জল একেবারে মুছিয়া ফেলিয়াছে। কৌতুক-চঞ্চল চোখ দুটি নাচাইয়া সে চলিয়া যাইতেছিল। বাধা দিয়া রামেশ্বর বলিয়া উঠিলেন—বিশ্বাস করলে কি-না, বলে যাও— মঞ্জরী কহিল—এ সাফাই-এর দরকার কি রায়রামান, আমি ত আপনার বিচারক নই— क्षिण क्षिण ध्रेिश्व। भवनिनौ इणिश्व। ऎेण । श्नकचः। চাপিয়াছিল, আর পারিল না। কুৰ হই রামের বলিলে—তোমাকে আজই নিী به حسسه 3 স্বায়রায়াজের জেউল eهون . পাঠাতে পারি—জান ? আর তার অর্থ কি, তা-ও বোধ হয় বোঝাতে হবে না— - .*. —পারেন তা ? বলিয়া চোখে মুখে হাসির দীপ্তি তুলিঙ্গ তাহাকে নিতান্ত অগ্রাহ করিয়া প্ৰগলভ তরুণী চলিয়৷ গেল । ইহার পর প্রায়ই দেখা হইতে লাগিল। দেখিলেই মঞ্জরী হাসিয়া পলাইত। একদিন রামেশ্বর তাহার হাত ধরিয়া ফেলিলেন। তখনই ছাড়িয়া দিয়া বলিলেন—জোর করবার শক্তি আছে মঞ্জরী, কিন্তু মন তা চাম্ব না। বলিতে বলিতে গলার স্বর ভারী হইয় উঠিল—এ যেন সে লোক নয়—সজলকণ্ঠে রামেশ্বর বলিলেন—আমার জীবনের খবর তুমি জান না ...কিন্তু আর এই যুদ্ধবিগ্রহ ভাল লাগে না, এখন শাভিতে একটুখানি মাথা গুজে থাকতে চাই— - মঞ্জরী শাস্তভাবে শুনিতে লাগিল, পলাইবার চেষ্টা করিল না। রায়রায়ান বিশ বছরের কাহিনী বলিয়া চলিলেন। সমস্ত বলিয়া গভীর নিঃশ্বাস ফেলিয়া চুপ করিলেন। ধীরে ধীরে মঞ্জরী চলিয়া গেল । বিকালবেলা মঞ্জরী একখানা আয়না পাঠাইয়া দিল । সেই সঙ্গে ছোট্ট একটু চিঠি— তারপরে যে বিশ বৎসর কেটে গেছে, রায়রারান । যুদ্ধ-বিগ্রহে ব্যস্ত ছিলেন, সম্ভবতঃ জায়লার চেহারা দেখবার কুরস হয়নি। তাই একটা আয়না পাঠিয়ে দিলাম। চিঠি পড়িয়া রামেশ্বর অনেকক্ষণ গুম হইয়া রছিলেন। ভ্ৰকুট-ভীষণ মুখে শুধু বলিলেন–আচ্ছা! ভরতগড়ের রাণীর কানে পৌছিল, তার দুরন্ত মেয়ে রামুরায়ানের সঙ্গে একটা কাও করিয়া বলিয়াছে। এবারে রায়রায়নের প্রতিহিংসা । ইহা যে কি বস্তু, রামেশ্বর অল্পদিন দেশে আসিয়াছেন তৰু চাকৃলাদারের ঘরের শিশুটি অবধি তাহা বুঝিয়া ফেলিয়াছে। সকলের আহার-নিদ্রা বন্ধ হইল। কিন্তু যাহাকে লইয়া এতবড় ব্যাপার, সে দিন-রাত দিব্য হাসিয়া থেলিয়া বেড়াইতে লাগিল । ছিড়িয়া ছিড়িয়া সেই চিঠি শতকুটি করিয়া ফেলিয়াও রায়রায়ানের রাগ মিটে না । তারপর এক সময়ে সত্যসত্যই তিনি