পাতা:প্রবাসী (ত্রয়স্ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৬৭৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

موجوه হইল । পুরীর সামান্ত কর্মচারীট পৰ্যন্ত যুৰিয়াছে, ब्रांच्चब्रांबांन थडिश्निांब्र खछ अशेौब्र इहेब ऐंटैिब्रांcछन । জীবনলাল মহিলাদের পৌছাইয়া দিতে গিয়াছিল, ফিরিতে রাত হইল। তারপর গভীর রাত্রে আগের দিনের মত আবার গুপ্ত পরামর্শ। চাকলাদারের সসৈন্তে ফিরিয়া যাইতে রাজী হইয়াছেন ; কিন্তু ভূষণার মধ্যে রামেশ্বরকে এই নৃতন গড় গড়িতে দেওয়া হইবে না। জীবনলালের পরামর্শ, ইসলামাবাদের দিকে গিয়া ফিরিঙ্গীদের শরণ লওয়া। সেখানে জায়গীরের বিলিব্যবস্থা করিতে বেগ পাইতে হয় না। বাদশাহের নিকট হইতে একটি নূতন ফর্শ্বান জানিবার অপেক্ষ মাত্র। কিন্তু রামেশ্বর স্বাক্ষ নাড়িলেন। আর তাহার নূতন করিয়া ভাগ্য খুঁজিবার উৎসাহ নাই । একদিন রামেশ্বর ফিজাবাড়িতে ফৌজদারের সঙ্গে পরামর্শ করিতে গেলেন। তারপর অনেক দিন ধরিয়া এই রকম পরামর্শ চলিল। জীবনলাল ইতিমধ্যে ইসলামাবাদের দিকে চলিয়া গিয়াছে। গড়ের সমস্ত কাজকৰ্ম্ম বন্ধ ; অৰ্ধসমাপ্ত পরিখা ও নগর শ্মশানের মত খা-খ করিতেছে । পালীর বিল ইদানীং মজিয়া গিয়াছে চৈত্র-বৈশাখে প্রায় । শুকাইয়া আসে। তখন দিগন্তব্যাপ্ত নিবিড়কৃষ্ণ অবিচ্ছিন্ন জলধারা ক্রোশের পর ক্রোশ তরঙ্গিত হইত। বড় শুকনার সময়ে গোটা বিশ-পচিশ চর মাত্র সীমাহার বারিসমূত্রের মাঝখানে অসহায়ের মত মাথা উচু করিয়া থাকিত। বিলের কিনারা দিয়া কিল্লাবাড়ি যাইবার পথ। মাসাবধি পরে কুণ্ডলের পিঠে চড়িয়া একদিন রামেশ্বর ফিরিয়া আসিতেছিলেন। ফৌজদার শেষ পৰ্যন্ত কোন স্থবিধাই করিতে পারিলেন না। ফিরিবার পথে বিলের প্রাস্তে আসিয়া বিদ্যুৎ চমকের মত একটি সঙ্কল্প হঠাৎ রামেশ্বরের মনে ‘জাগিয়া উঠিল । রামনগরবাসী এবং চাকলাদার মহলে রাষ্ট্র হইয়া গেল, পরাজিত অবমানিত রায়রায়ান মনোকষ্টে বিবাণী হইতে বসিয়াছেন, দিবারাত্রি অন্তঃপুরের মধ্যে শুামকুন্দরের উপাসনায় তিনি মাতিয়া থাকেন । তারপর অনেক দিন পরে সহস্র প্রজা সমবেত হইয়াছে। জীবনলালও সেইদিন Յ: :-15-ի : ` ఏ98ం. ফিরিয়াছেন। সে চুপি চুপি বলিল—এ সবে কাজ নেই প্রভূ, ইসলামাবাদ চলুন— পটুগীজদের সঙ্গে সর্ত হইয়া গিয়াছে ; ইসলামাবাদে রাজ্ঞাপত্তন করিতে আর গোল নাই । সেখান হইতে রাজ্য ক্রমশঃ বিস্তৃত হইয়া একদিন ভূষণাকেও গ্রাস করিবে,— জীবনলাল সেই স্বপ্নে মাতোয়ারা । কিন্তু রামেশ্বর রাজী নহেন। নিরক্স সৰ্ব্বস্বহার হইয়া পথে পথে ঘুরিতে হইয়াছে, বিনিদ্র কত রাত্রি অজানা প্রাস্তরের মধ্যে অশ্বগৃষ্ঠে কাটিমাছে, দিন মাস বৎসরগুলি দেহের উপর পদাঙ্ক আঁকিয়া রাখিয়া দ্রুত পলাইয়া গিয়াছে। জীবনের শেষপ্রান্তে আসিয়া নুতন করিয়া তিনি আর সংগ্রামে মাতিবেন না। হাসিয়া বলিলেন–জীবনলাল, ইসলামাবাদে তুমি রাজ্য কর। আমি ফৰ্ম্মান এনে দেব। জীবনলাল জিব কাটিয়া বলিল-প্রভু, আমার কাজ রাজ্য গড়া – রাজত্ব করা নয় । : 1: —তবে মধুকরকে নিয়ে যাও। সে দেশ অরাজক, মগ আর ফিরিদী ডাকাতদের মধ্যে আমি তিলা বিশ্রাম পাব না। আমি পাকৃপীর বিলের মধ্যে দেউল গড়ে শেষ কট দিন শাস্তিতে থাকব। - কাছাকাছি পাঁচ-সাতটা স্বদীর্ঘ চর, তাদের মাঝে অল্প অল্প জল-কাদা। কুণ্ডলের পিঠের উপর বল্লম উচু করিয়া রায়রায়ান। প্রথম যৌবনের দুৰ্দ্ধৰ্ব বিক্রম বুকের মধ্যে আবার নাচিয়া উঠিয়াছে। তীক্ষ দৃষ্টিতে একবার সামনের দিকে তাকাইয়া রায়রায়ান মাটিতে বল্লম ছুড়িম্বা মারিলেন। অমনি সারবন্দী হাজার কোদাল পড়িল—ঝপ পাস। সেই হাজার হাত হইল দীঘির উত্তরসীমা । বল্লম তুলিয়া লইয়া রায়রায়ান তীরবেগে কুণ্ডলকে ছুটাইলেন। কুগুল উড়িয়া চলিল। একদমে আধ ক্রোশ গিয়া একলহমা ঘোড়া থামিল । রামরায়ান বল্লম পুতিয়া রাখিয়া রামনগরে ফিরিয়া আসিলেন। হাজার হাজার কোদাল দিনের পর দিন পড়িতে লাগিল । অবশেষে পোতা বল্লমের গোড়ায় জাসিয়া জীবি কাটা শেষ হইল। মাটির সূপে আকাশতেী পাহাড় হইছে ।