পাতা:প্রবাসী (ত্রয়স্ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৬৭৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

دهانه দেশ-দেশান্তর বইতে বড় বড় পাথরের টাই জাসিয়া জমিতে লাগিল। দিনরাত্রি সেই পাথর মাটিতে বসানো হইতেছে, পাথরের উপর পাথর বসাইয়া স্ক্রত এক অতি বিচিত্ৰ দেউল ब्रठिष्ठ श्८ङरछ । कङ रळख, कङ ठूफ़, कङ भनांश्ब्र কারুকার্ষ্য তাহার উপর । সমস্ত জীবনের সঞ্চিত স্বর্ণভাণ্ডার উজাড় করিয়া রামেশ্বর পাক্সীর বিলের মধ্যে ঢালিতে লাগিলেন। T --—আকাশ আলো ক’রে দাড়িয়েছে, চমৎকার । চমৎকার ! লোকে বলে, রায়রাহ্মানের সাধনপীঠ । —কোন দেবতার প্রতিষ্ঠা হবে ? কেহ বলিতে পারে না । ক্ষান্তবর্ষণ মেঘান্ধকার ভাদ্র-অষ্টমীর সন্ধ্যাকালে রামেশ্বর যাত্রা করিলেন। মঞ্জরী ভুলে নাই—মন্দিরের লৌহ-সম্বদ্ধ স্বৰূঢ় বেষ্টনীর বাহিরে কৃষ্ণচূড়ার তলে আঁচল ঝাপিয়া সে প্রতীক্ষা করিতেছিল, মুহূৰ্ত্তে ঘোড়ায় চড়িয়া রামরায়ানের পৃষ্ঠ-লগ্ন হইল। রক্ষীরা সচকিত হইয়া দেখিল, দস্থ কন্যাকে লইয়া পলাইতেছে। কড়কড় করিয়া মেঘ ডাকিয়া মুষলধারে জল লামিল। কুণ্ডল তীরবেগে ছুটিল । কুণ্ডলের কে অনুসরণ করিয়া পারিবে ? দেখিতে দেখিতে ঘোড়া নিখোজ হইয়া গেল। রামনগরে যখন পৌছিল তখন শেষরাত্রি । পিঠের উত্তরীয় খুলিয়া রামেশ্বর কুমারীর দেহবল্পর ধীরে ধীরে বাহুতে ধরিয়া তুলিলেন। পদ্মের পাপড়ার মত চক্ষু দুটি মুদিয়া মঞ্জরী ক্লাস্তিতে এলাইয়া রহিছাছে ; মেবভাঙা ক্ষীণ জ্যোংস্ক আসিয়া পড়িয়াছে তার ঘুমন্ত মুখের উপর। গভীর স্নেহে মুহূৰ্ত্তকাল রামেশ্বর সেই মুখের দিকে চাহিলেন, তারপর অতি সন্তপণে তাহাকে স্বকোমল উষ্ণ শষ্যার উপর শোয়াইম্বা দিলেন । মধুকরের ডাক পড়িল । আনন্দের প্লাবন রামেশ্বরের র ভরিয়া ছাপাইয়া বাহিয়ে আসিতেছে, পরাজয়ের সমস্ত গ্লানি এতক্ষণে নিঃশেষে ভাগিয়া গিয়াছে। রামেশ্বর বলিলেন-মঞ্জরী রইলেন। দিনের বেলায় নয়—কাল সদ্ধার পর আঁধারে মাধারে বজরায় করে ওঁকে পৌঁছে দিও। ध्ञांयिcनफेरणब्र मब्रजाग्न थउँौचग कद्रय মধুকর বলিল—এখনই যাচ্ছেন কেন ? আপনি বড় ङ्गास्त्र, हूिक्ण थिाम कक्रन । রামেশ্বর কহিলেন—অবসর কোথা ভাই ? এখনও মন্দিরের চুড়ায় সোনার কলসী বসানো হয় নি, কত কাজ বাকী—। কাল দেবীর প্রতিষ্ঠা হবে ; এর মধ্যে প্রস্তত হতে হবে ত? _ হাসিয়া তখনই তিনি রওনা হইয়া গেলেন। দীঘির জল কাকচক্ষুর মত টলমল করিতেছে ; সকালের সোনার আলোয় দেউল জলের উপর ছায় ফেলিক্ষ দাড়াইয়া আছে। পরিতৃপ্তির নিঃশ্বাস ফেলিয়া রায়রায়ান অসমাপ্ত কাজটুকু সমাধা করিতে লাগিয়া গেলেন। ‘লোকঙ্গন আর বেশী নাই, অনেকেই বিদায় হুইয়া গিয়াছে। দেউল"র্ষে সোনার কলসী বসানো হইল, সারচন্দনে সমস্ত প্রকোষ্ঠ অনুলিপ্ত করা হইল, সহস্ৰ স্মৃতের দীপ সাজান হইল—রান্ত্রে জালান হইবে, ডিঙার পর ডিঙা ভরিয়া আলিতে লাগিল পাকৃণী বিলের সমস্ত পদ্মফুল। —এত ফুল ? রায়রামানের পূজায় লাগিবে। রাত্রির দুই প্রহর অতীত হইয়াছে। রায়রায়ানের গুপ্ত পূজা, সেজন্ত সন্ধ্যার আগেই সমস্ত লোক দেউল হইতে বিদায় করিয়া দেওয়া হইয়াছে, আর কেহ নাই। লোকালয় হইতে বহু দূরে প্রকাও বিলের নিঃশৰ পাষাণপুরীর মাথায় অনন্ত তারকাশ্রেণী। কক্ষের দীপাবলী একের পর এক নিবিয়া আসিতেছে, স্থ-ছ করিয়া নৈশ-বাতাসে বিলের জল ছল-ছল করিয়া উঠিতেছে, রামেশ্বর ছুটিয়া জলের প্রাস্তে গিয়া দাড়ান ; বুঝি বজয়া আসিয়া ভিড়িল । আবার মেঘ জমিমা তারা ঢাকিয়৷ অন্ধকার নিবিড় হইয়া আসিতেছে। সহসা রামেশ্বরের মনে হইল, মরিয়া প্রেত হইয়া তিনি যেন নির্জন দ্বীপভূমিতে ঘুরিয়া বেড়াইতেছেন-কণ্ঠে ধ্বনি নাই, পদতলে মৃত্তিকা নাই, অন্ধকার ছাড়া দৃষ্টি করিবার বন্ধও কিছু নাই, প্রবল প্রবাহশীল অনন্ত বায়ুমণ্ডলে তিনি হাহাকার করিয়া বেড়াইতেছেন।