পাতা:প্রবাসী (ত্রয়স্ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৬৭৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

“মনস্তন (bS? चन ब्रांझननtब्र इणि शबग्न किङ, कांन ब्राहज शूज कब्रिहङ গিরা রামরায়ান একেবারে উন্মাদ হইয়া গিয়াছেন। রামেশ্বর কলসী লইয়া ছুটলেন কক্ষের মধ্যে ; কুলুজীর টানা খুলিয়া সঞ্চয়ের অবশেষ সমস্ত স্বযর্ণ-মুত্রা বোঝাই করিয়া টানিতে টানিতে বাহিরে লইয়া আসিলেন। চীৎকার করিয়া কহিলেন —ভাঙো দেউল, ভাঙে দেউল—। মুঠ মুঠি করিয়া স্বর্ণমূত্রা সকলের কোলে ঢালিয়া দিতে লাগিলেন, স্বর্ণ মুঠি নৃলি মুঠির মত ছড়াইতে লাগিলেন ; বলিতে লাগিলেন—ভাঙে, ভাঙে, ভাঙো - । তারপর নিজেই গাতি লইয়া উপরে উঠিলেন। ঝুপ ঝুপ শব্দে ইট-পাথর টুকুর টুকরা হইয়া পড়িতে লাগিল। মাসের পর মাস বাটালির আঘাতে পাষাণখণ্ডগুলি জীবন্ত প্রতিমার রূপ ধরিয়াছিল। বৃদ্ধ রতনদাস শিল্পীদের সর্দার। নিজে সে গতি ধরিতে পারিল না, প্রাঙ্গণের এক ধারে দাড়াইয়া চক্ষু মুছিতেছিল। উন্মাদ রামেশ্বর নামিয়া আসিয়া তাহাকে দেখিলেন। দেখিয়া মুখ হাসিতে ভরিয়া গেল। তাহার মুখের উপরে অতি সন্নিকটে মুখ জানিয়া রামেশ্বর বলিতে লাগিলেন–র্কাছ কেন ? চুল পেৰেছে বলে ? এস আমার সঙ্গে— কেহ কিছু বুৰিবার আগেষ্ট বিশাল তরঙ্গায়িত ঘোড়াদীঘির তলহীন ঘনকৃষ্ণ জলরাশির মধ্যে রামেশ্বর ঝাপ দিয়া পড়িলেন। হা-হা করিয়া আকুল চীৎকার উঠিল। শত শত লোক প্তাহাকে ধরিতে সঙ্গে সঙ্গে ঝাপাইয়া পড়িল । এখন বুদ্ধ-বিগ্রহের নিকাল নাই। সেকালের দুর্ভর্য कोकणानां८ब्रब्रां शब्रिड्रां गिबां८छ् ; इइ चव्हन निशक्ञि বাংলাদেশ। সেই অগ্নিবী তোপগুলিরও পরমগতি লাভ হইয়াছে। কামারের আগুনে পুড়িয়া কতক হইয়াছে কয়েদীর বেড়ি কিংবা রাস্তা তৈরির রোলার ; কতকগুলি নদীর পলিমাটিতে একেবারেই লুকাইয়া গিয়াছে। গ্রামে ঘুরিতে ঘুরিতে তবু কাচিং ধূলামাটি-মাখা -একটার হঠাৎ দেখা পাইয়া যাইতে পার হয়ত কোন অশ্বখতলায় বিলুপ্ত-বংশ প্রাচীন অতিকায় কঙ্কালের মত রোদ বৃটির মধ্যে পড়িয়া আছে, মহাকাল পাষাতে ঠেলিয়া রাখিয় গিছে, ইদানী রাখলের গরু ছাড়িয়া দিয়া তার উপরে বলিয়া বালী বাজায়। এমনি একটা কিয়াবাড়ির ঘাটের উপর পড়িা রহিমাছে, দেখিতে পাইবে। সেইটা থাকায় ডোঙা বাঁধার বড় সুবিধা হইয়াছে। কিন্তু, সাবধান। ফুটফুটে জ্যোৎস্ন দেখিয়া রাত্রে কোনদিন ঐ ঘাট হইতে ডোঙা খুলিয়া দিও না, সহস্র সহজ ফুটন্ত শাপলা তোমাকে দিগভ্রান্ত করিৰে। লগি ঠেলিতে ঠেলিতে হঠাৎ এক সময়ে পাষাণ-ৰূপে ধাক্কা খাইৰে তাকাইযা দেখিবে—একেবারে রায়রায়ানের দেউলের কাছে আসিয়া পড়িয়াছ। নিযুপ্ত রাত্রে দ্বীপের উপর তালগাছের ফাকে ফাকে তোছা হইয়া পড়া জ্যোৎস্না...হঠাৎ বাতাস উঠিয়া নলবন বাজিয়া উঠিবে ; মনে হইবে, নির্জন ধ্বংসাবশেষ । দেউলে রায়রামান হাহাকার করিয়া বেড়াইতেছেন। হ্রস্ত হইয়া ষেদিকে ডোঙা ঘুরাইবে, দেখিতে পাইবে সেৰালের প্রস্তরীভূত অসংখ্য অঙ্গর, ময়ুর ও পদ্মফুল । অল্প অল্প মাথা তুলিয়া তাহারা তাকাই থাকিবে, আলোর মত পথ ভুলাইয়া সমস্ত রাত্রি তোমাকে খুৱাইয়া লইয়া বেড়াইবে— ফিরিবার পথ খুজিয়া পাইবে না।