পাতা:প্রবাসী (ত্রয়স্ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৬৮২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Vseg ইহা ছাড়া দৈনিক কাজের পালা আছে । তদনুসারে খোঙ্গামোছা করিতে হয়, প্রত্যেকের পালায় বাড়ি পরিষ্কার রাখার জন্ত র্তাহারা দায়ী থাকিবেন। দুই জনকে পালাক্রমে তিন দিন সকাল ছয়ট হইত্তে সাতটা পৰ্যন্ত তরকারী কুটিতে হয় এবং অপর দুই জনকে পালাক্রমে ছয়ট হইতে আটটা পৰ্যন্ত রক্ষনের জোগাড় দিতে হয়। এইরূপ পরিবেশন, ক্লাস পাতা, ঘড়িতে চাবি দেওয়া, উনানে আগুন দেওয়া, ময়দা মাখা ও ক্ষটি সেকারও পালা নিয়ম আছে । রবিবার বস্ত্রাদি পরিষ্কার করিবার দিন । - এইরূপ নিয়মাধীনে থাকায় আশ্রমবাসিনীগণের নিয়মাকুবৰ্ত্তিতা ও সময়ের মূল্যজ্ঞান সম্বন্ধে যেমন বিশেষ ভাবে শিক্ষা হয়, অপর দিকে র্তাহাদের স্বাস্থ্যেরও উন্নতি হইতে থাকে। যে-সব বিধবা তাহাদের নিজের বাটতে থাকার সময় যথেষ্ট সবল ও কৰ্ম্মক্ষম ছিলেন না, আশ্রমে বাসকালে তাঁহাদের সেসম্বন্ধে যথেষ্ট উন্নতি দেখা গিয়াছে। মোটের উপর আশ্রমবাসিনীগণের মধ্যে পীড়া বা অন্ধস্থতা বিশেষ দেখা যায় না। তাছাদের সর্বদাই উৎসাহশীল এবং প্রফুল্ল চিত্ত দেখা যায়। আশ্রম-তত্ত্বাবধামিকা প্রযুক্ত শুামমোহিনী দেবী হিন্দুগৃহের বাগবিধবা। ইহার কৰ্ম্মতৎপরতা ও শৃঙ্খলা সম্বন্ধে জ্ঞান, আশ্রম পরিচালন ক্ষমতা এবং জননীর স্থায় স্নেহ-মমতা দেখিয়া আশ্চৰ্য্য হইতে হয়। এক দিকে নিয়ম সম্বন্ধে যেমন তিনি দৃঢ়ভাবে দৃষ্টি রাখেন, অপর দিকে প্রত্যেক আশ্রমবাসিনীর স্ববিধ, আরাম ও শিক্ষার উন্নতির দিকেও তাহার দৃষ্টি সমভাবেই আছে। যাহাতে ব্যয়ের সকুলান করিয়া অধিক ছাত্রী লওয়া যাইতে পারে সেজন্ত যতদূর সম্ভব মিতব্যয় ও স্বগৃঙ্খলায় কাধ্য নিৰ্ব্বাহ করিয়া তিনি নূতন ছাত্রী লইবার নানা ভাবে উপায় উদ্ভাবন করেন । ছাত্রীগণ সম্বন্ধে একটি বিশেষ নিয়ম এই ষ্ট্রে, তাহাদের প্রত্যেককেই হিন্দুবিধবার উপযোগী বস্ত্রাদি পরিতে হইবে এবং তাহাদের অঙ্গে কোন আভরণ থাকিবে না। ধর্মশিক্ষা সম্বন্ধেও মাঝে মাঝে ক্লাস বসে। তাহাতে উপনিষদ প্রভৃতি ধৰ্মগ্রন্থ হইতে আলোচনা অথবা কোন মহৎ চরিত্র সম্বন্ধে আলোচনা হয়। স্বাস্থ্য সত্ত্বেও আলোকচিত্রের সাহায্যে বস্তৃতা এবং সাধারণ ভাবে উপদেশ দান করা হয় । v6 ન 1t it ; SQBO আশ্রমের নানা বিভাগের তত্ত্বাবধায়িকা ও শিক্ষত্ৰিীগণের প্রত্যেকেরই ছাত্রীদের প্রতি বিশেষ আন্তরিকতা দেখা যায়। একান্নবৰ্ত্তী পরিবার প্রথা লোপ হওয়ায় ভদ্র পরিবারের বিধবাগণ অনেক স্থলে একেবারে নিরাশ্রয়া হইয়াছেন। র্যাহাদের আত্মীয়স্বজন আছেন তাহারাও দারিদ্র্যবশতঃ সব সময় ইহাদের সাহায্য বা ভার গ্রহণ করিতে পারেন না, স্বতরাং এ সময়ে এরূপ বিধবাশ্রমের ষে কত প্রয়োজন তাহ বলিয়৷ শেষ করা १ोंग्रे नीं । দশ বৎসর পূৰ্ব্বে নারীশিক্ষা সমিতির সম্পাদিক প্রদ্ধেয় ঐযুক্ত অবলা বস্থর পরিকল্পনায় সামান্ত ভাবে দুইটি মাত্র বিধবাকে লইয়া এই বিদ্যাসাগর বাণীভবনের কার্ধ্য আরম্ভ করা হয়, ক্রমশঃ ১৫, ২০, ৩০ ও ৫০টি বিধবার থাকিবার ব্যবস্থা হয়। গত ফাত্তন মাসে বাণীভবন বিধবাশ্রম ভাড়াটিয়া বাড়ি হইতে ইহার জন্ত নবনির্মিত গৃহে স্থানান্তরিত হইয়াছে এবং সম্প্রতি সেখানে বিভিন্ন জেলা হইতে আগত দুঃস্থ মধ্যবিত্ত গৃহস্থ-গৃহের বাষট্রিটি হিন্দু বিধবা বিনাব্যয়ে প্রতিপালিত ও শিক্ষাপ্রাপ্ত হইতেছেন। এই বিধবাশ্রম যখন প্রথম স্থাপিত হয়, তখন ইহার আর্থিক সঙ্গতি খুবই কম ছিল। যাহার এই আশ্রমের জন্ত অর্থসাহায্য করিয়াছেন তাহদের মধ্যে স্বৰ্গীয়া হরিমতি দত্তের নাম এইজন্ত বিশেষ ভাবে উল্লেখ করা উচিত, যে, তিনি হিন্দু গৃহের অন্তঃপুরবাসিনী মহিলা হইয়াও এই আশ্রমের প্রতিষ্ঠা সম্বন্ধে প্রয়োজনীয়তা যেভাবে উপলব্ধি করিয়াছিলেন তাহা বাস্তবিকই আশ্চর্যের বিষয়। তিনি বিধবাশ্রমের গৃহনিৰ্ম্মাণের জন্য এককালীন পচিশ হাজার টাকা দান করেন, ইহা ছাড়া নারীশিক্ষা-সমিতির জন্ত তিনি আরও দশ হাজার টাকা দান করেন। বলিতে গেলে আজ যে বিদ্যাসাগর বাণীভবনের নিজস্ব বাড়ি হইয়াছে, হরিমতি দত্তের দানই তাহার ভিত্তিস্বরূপ । বাণীভবনের কলিকাতায় নিজস্ব একটি গৃহ হইয়াছে বটে, কিন্তু যেভাবে গৃহ পরিকল্পনা হইয়াছে তাহাতে তাহার আংশিক কাৰ্য মাজের পরিসমাপ্তি বলা বইতে পারে, সম্পূর্ণ গৃহনিৰ্মাণ করিতে হইলে মোট এক লক্ষ ত্ৰিশ হাজার টাকার अन्तजन श्रव। रेट्रिक८क्वींब अख्5िन कब्रिक यक्षगe