পাতা:প্রবাসী (ত্রয়স্ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৬৮৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ৰাগীভবনের আশ্রমবাসিনীগণের শুধু মালিক ভরণপোষণের জন্ত সম্প্রতি যে সাহায্য আছে তাহার উপর আরও মাসিক আড়াই শত টাকা সাহায্য প্রতিমাসে রীতিমত তোলা চাই ; ইহা ছাড়া বাণীভবনের জন্ত একটি স্থায়ী ধনভাওারেরও প্রয়োজন। স্বৰ্গীয়া হরিমতি দত্তের ন্যায় অনেক হিন্দুবিধবা আছেন যাহারা এই বিধবাশ্রমে ভগবানের নামে অর্থসাহায্য করিতে সমর্থ, তাহদের সহানুভূতি লাভ করিলে বাণীভবনের উন্নতি হুইবে এবং তাহারাও সংকার্যাজনিত আত্মপ্রসাদ নিশ্চয়ই লাভ করিবেন। ছাত্র ও ছাত্রীগণ যদি প্রত্যেকে তাহদের ग्रांनिक षब्रक श्रङ बागैौख्वप्नब्र जछ भक चांना कब्रिक्व ব্যয় করেন ইহাতে তাহদের কিছু ক্ষতি হইবে না, কিন্তু আশ্রমের প্রচুর লাভ হইবে। ইহা ছাড়া নানাবিধ অতিরিক্ত অপব্যয়ে বিবাহাদি উংসবে অনেক খরচ হয়, প্রতি উৎসবের সমৃদ্ধ যদি সকলেই সৰ্ব্বসাধারণের অতি প্রয়োজনীয় এই প্রতিষ্ঠানটিকে স্মরণ করেন তাহা হইলেও অনেক সাহায্য হয়। ভরসা করি, এই বিষয়ে প্রত্যেক চিন্তাশীল ব্যক্তি চিন্তুt করিবেন এবং অর্থের দ্বারা ও সদুপায় নিদ্ধারণের দ্বারা এই প্রতিষ্ঠানটির উন্নতির জন্য সাহায্য কৱিবেন। -- দৃষ্টি-প্রদীপ ঐবিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায় প্রথম পরিচ্ছেদ y জ্যাঠামশায়দের রান্নাঘরে খেতে বসেছিলাম আমি আর দাদা। ছোট কাকীমা ডাল দিয়ে গেলেন, একটু পরে কি একটা চচ্চড়িও নিয়ে এলেন। শুধু তাই দিয়ে খেয়ে আমরা দু-জনে ভাত প্রায় শেষ করে এনেচি, এমন সময় ছোটকাকীমা আবার এলেন। দাদা হঠাৎ জিগ্যেস করলে— কাকীম, আজ মাছ ছিল যে, মাছ কই ? আমি অবাক হয়ে দাদার মুখের দিকে চাইলাম, লজ্জা ও অস্বস্তিতে আমার মুখ রাঙা হয়ে উঠল। দাদা যেন কি ! এমন বোকা ছেলে যদি কখনো দেখে থাকি ! আমার অল্পমান ঠিৰই হ’ল, কাকীমা একটু অপ্রতিভের স্বরে বললেন-মাছ বা ছিল, আগেই উঠে গিয়েচে বাবা, ওই দিয়ে খেয়ে নাও। আর একটু ডাল নিয়ে আসবো? দাদার মুখ দেখে বুঝলাম দাম যেন হতাশ হয়েচে। মাছ খাবার আশা করেছিল, তাই না পেয়ে । মনটায় আমার কষ্ট হ’ল। স্বাদ দেখেও দেখে না, বুঝেও বোৰে না-দেখাচে এখানে আমরা কি অবস্থায় চোরের মত আছি, পরের বাড়ি, তাদের হাত তোলা ছু-মুঠো জাতে কটি ভাইবোন কোনোরকমে দিন কাটিয়ে যাচ্চি, এখানে আমাদের না আছে জোর, না আছে কোনো দাবি—তবুও দাদার চৈতন্ত হয় না, সে আশা করে বসে থাকে ষে এই বাড়ির অন্যান্ত ছেলেদের মত সেও যত্ব পাবে, খাবার সময় ভাগের ভাগ মাছ পাবে, বাট-ভরা দুধ পাবে, মিষ্টি পাবে। তা পায়ও না, না পেয়ে আবার হতাশ হয়ে পড়ে, আশাভঙ্গের দৃষ্টিতে এদিক-ওদিক চায়—এতে আমার ভারি কষ্ট হয়, অথচ দাম্বাকেও আসল অবস্থাটা খুলে বলতে পারিনে, তাতেও কষ্ট হয় । দাদা বাইরে এসে বললে—মাছ তো কম কেন হয়নি, তার ওপর আবার মাঠের পুকুর থেকে মাছ এসেছিল,— এতো মাছ সব হরু আর ভুটির খেয়ে ফেলেচে । বাবা রে, রাক্কোস সব এক একটি। এৰখানা মাছও খেতে পেলাম | || দাদাকে ভগবান এমন বোকা করে গড়েছিলেন কেন তাই ভাবি ৷ সীতা এসব বিষয়ে অত্যন্ত বুদ্ধিমতী । এই সেনিও তো দেখেচি গীত রাঙ্গারে খেতে বলেচে-লামনেই জ্যাঠাইমাও খেতে বসলেন। জ্যাঠাইমাকে ভুবনের মা এর