পাতা:প্রবাসী (ত্রয়স্ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৬৮৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কাজেই লেগে আছেন দেখতে পাই। এর বাবার খুড়তুত ভাই, বাবাই ঠাকুরদাদার একমাত্র ছেলে ছিলেন । বাৰা কোনো কালেই এ গায়ে বাস করেন নি, জমিজম যা ছিল তাও এখন আর নেই, বাবা বেঁচে থাকৃতে একদিন জ্যাঠীমশায়কে বলতে শুনেছিলাম যে, সব নাকি রোডসেন নীলামে বিক্রী হয়ে গেছে। সে-সব কি ব্যাপার যত বুঝি আর না বুঝি, এটুকু আজকাল বুঝেচি ষে এখানে আমাদের দাবি কিছু নেই, এবং জ্যাঠামশায়দের দয়ায় তাদের সংসারে মাখা ওঁজে আমরা আছি । জ্যাঠাইমাকে আমার নতুন নতুন ভারি ভাল লাগতে, কিন্তু এতদিন আমরা এ বাড়িতে এসেচি, একদিনের জন্তেও আমাদের ওপর তিনি ভাল ব্যবহার করেন নি—আমাকে ও দাদাকে তো নখে ফেলে কাটেন এমুনি অবস্থা। অনবরত জ্যাঠাইমার কাছ থেকে গালমন্দ অপমান থেমে খেয়ে আমারও মন বিরূপ হয়ে উঠেচে । আজকাল আমি তো জ্যাঠাইমাকে এড়িয়ে চলি, সীতাও তাই, দাদা ভালমন্দ কিছু তেমন বোঝে না, ও নবায়ের দিন বাটি হাতে জ্যাঠাইমায়ের কাছে নবান্ন চাইতে গিয়ে বকুনি খেয়ে ফিরে আসবে, পুকুরের ঘাটে নাকি জ্যাঠাইমা নেমে উঠে আসছিলেন, ও সে-সময় ঝাপিয়ে জলে পড়ার দরুণ জল ছিটিয়ে তার গায়ে লাগে, সেজন্তে মার খাবে, বাসি কাপড়ে জ্যাঠাইমার ঘরে ঢুকে এই সে-দিনও মার খেতে খেতে বেঁচে গিয়েচে । কেন বাপু বাওয়া ? কিন্তু না গেলেই যে বিপদের হাত থেকে পরিত্রাণ পাওয়া যায় তা নয়, এক সংসারে থাকৃতে গেলে ছোয়াছুয়ি ঠেকাঠেকি না হয়ে তো পারে না, অথচ হ’লেই আর রক্ষে নেই। জ্যাঠাইমাদের রোয়াকে বসে আমি আর ভুবন খেলচি— এমন সময় জ্যাঠাইম ওপরের দালান থেকে বিষ্ট বাল, উব, কাতু—ওদের ডাক দিলেন। ডাকৃলেন কেন আমি তা জানি, খাবার খাওয়ার জন্তে—আমি জার ভূবন যে সেখানে আছি, তা দেখেও দেখলেন না। আমি ভুবনকে বসতে বলে মায়ের কাছ থেকে বড় এক বাট মুড়ি নিয়ে এসে দু-জনে «W : است . - . - م. شمس ، - _ - weis. гъ“ : খেতে লগলমকা ফিরে এলে বললাম—ভাই, একটি জল নিয়ে আৰু না খাবো? খাবার খাওয়া সেরে আমরা আবার খেলা করচি, এমন সময়ে জ্যাঠাইমা সেখানে এলেন কাপড় তুলতে। রোম্রাকের ধারে আমাদের মুড়ির বাটটার দিকে চেয়ে বললেন—এ বাটতে হাত ধুয়েচে কে ? এ ঠিক জিতুর কাজ, নইলে আমন মেলেচ্ছে। এ বাড়ির মধ্যে তো আর কেউ নেই ? 弱 কি ক’রে ফেলেচি না জেনে ভয়ে ভয়ে বললাম-কি হয়েচে জ্যাঠাইম । জ্যাঠাইমা মার-মুখী হয়ে বললেন— কি হয়েচে দেখতে পাচ্ছে না ? স্কুকুরবেলা কাপড়খান এ টো করে বসে আছে ? মেজকাকীমার এক পিসী না মাসী এ বাড়িতে থাকে, বুড়ী ভারি ঝগড়াটে আর জ্যাঠাইমার খোসামুদে। বয়েস পঞ্চাশ-যাট হবে, কালো, একহার, দড়িপাকানো গড়ন— সীতা আর আমি আড়ালে বলি—তাড়ক রাকুলী। নান কাকীমাদের কাছে । ওকে দু-চক্ষে আমরা দেখতে পারিনে জ্যাঠাইমার গলার স্বর গুনে রান্নাঘরের উঠোন থেৰে বুড়ী ছুটে এল। কি হয়েচে বেীমা, কি হয়েচে জ্যাঠাইমা বললেন—সন্দেবেলা আহিক ক’রবো ব’লে কাপড়খানা কেচে আপ্‌নায় দিয়ে রেখেচি মাসী—আর বুড়ো ধাড়ি ছোড়া করেচে. কি, এখেনে মুড়ি খেয়ে সেই বাটতেই জল দিয়ে হাত ধুয়েচে, আর এই রোয়াকে ধারেই কাপড়—তুমি কি বলতে চাও কাপড়ে লাগেনি জলের ছিটে ? বুড়ী অবাৰু হবার ভাণ করে বললে—ওম সে কি কথা । লাগেনি আবার, একশো বার লেগেচে । - আমি ভাবলাম, বারে । এতে হয়েচে কি ? জল যদি লেগেই থাকে, দু-চার ফোটা লেগেচে বইতে নয় ? জ্যাঠাইমাৰে বললাম—জল তো ওতে লাগেনি জ্যাঠাইম, আর যদিও একটু লেগে থাকে, এখনও রোদ রমেচে এক্ষুনি শুকিয়ে যাবে’খন। বুকী বললে-শোন কথা। ও ছোড়ার জ্ঞান-কাও একেবারেই নেই-একেবারে মেলেচ্ছে- ওর মাও তাই খি ফুয়ানি তো শেখেনি কোনোদিন— । -