পাতা:প্রবাসী (ত্রয়স্ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৬৯১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

করে হেসেই খুন। “ত্ত্বি ছি, এ ছোড়াও পাগল ওর वाप्लब्र गउ-रि श्-ि७८नछा बस्नेय, ३ि श्—िकि बाण গুনেচে একবাক্ষ--* - : জ্যোঠাইমা বললেন, “ষা এখান থেকে এই মুড়ির বাটি তুলে ধুয়ে নিয়ে জায় পুকুর থেকে, এই গাডুর জল দিয়ে ধুয়ে দে। আমার কাপড়খানাও কেচে নিয়ে জায় অমনি, তোর সঙ্গে কে এখন সন্দে অবধি তকো করে ? তবে বলে দিচ্চি, হিদুর ঘরে হিন্ধুর মত ব্যাভার না করলে এ বাড়িতে জায়গা হবে না। পষ্ট কথায় কষ্ট নেই, কই আমাদের বুলু, ভূণ্টি, হাৰু কি সতীশ তো কখনও এমন করে না, যা বলি তখুনি তাই তো শোনে, কই এক দিনের জন্তেও তো – ” মালীমা বললেন, “ওম বুল হাবু সতীশের কথা বলে না, তারা আমার বেঁচে থাক, সোনার চাদ ছেলে মেয়ে সব । তাঁরা িইকুয়ানির যা জানে ওর মা তা জানে না তো ও ! সে দিন সতীশকে বলচি, সতু দাদাভাই, তেলের ভাড়টা বাইরের উঠোনে নিমু কলুকে দিয়ে এসে তো ? তো বলচে, আমার বিছানার কাপড় মাসীমা, আমি তো ভাড় ছোব না। আমি মনে মনে ভাবলাম যে, দ্যাথো শিক্ষের গুণ দ্যাখো— কেমন ঘরে মানুষ তারা আহা বেঁচে থাকৃ—সব বেঁচে থাকৃ— মনে মনে সতীশকে প্রশংসা করতে চেষ্টা করলাম। সতীশ যে স্বীকার করেচে তার কাপড় বাসি, এটা অবিপ্তি প্রশংসার যোগ্য। কিন্তু বাসি কাপড়ে কিছু ছোয় যে খারাপ কাজ, এ বিশ্বাস যার নেই, তাকেই বা দোষ দেওয়া যায় কি ক'রে, এ আমি বুঝতে পারিনে। যেমন, এখনই আমার মনে একটা প্রশ্ন এসেচে যে, নিমু কলু কি কাচ, ধোয়, শুদ্ধ গরদের জোড় পরে তেল বেচতে এসেছিল ? সতীশের ভেবে দেখবার ক্ষমতা ও বুদ্ধির চেয়ে যদি কারুর বুদ্ধি ও বুঝবার শক্তি বেশী থাকে, তার জন্তে তাকে কি নরকে পচে মরতে হবে ? তিন বছর এখনও হয়নি, আমরা এ গামে এসেছি। তার আগে ছিলাম কার্লিঙের কাছে একটা চ-বাগানে, বাবা সেখানে চাকরি করতেন। সেখানেই আৰিও সীতা জয়েছি, ۹-۹ इGि-यवॆीन (কেবল দাদা নয়, দাদা জন্মেচে হকুমান নগরে, বাবা তখন সেখানে রেলে কাজ করতেন) সেখানে আমরা বড় হয়েচি, এখানে আলবার আগে এত বড় সমতলভূমি কখনো দেখিনি। আমরা জানতাম চা-ঝোপ, ওক, আর পাইনের বন, ধুর গাছের বন, পাহাড়ী ডালিয়ার বন, ঝর্ণ, কনকনে শীত, দূরে বরফে ঢাকা বড় বড় পাহাড়-পৰ্ব্বতের চুড়া, মেঘ, কুয়াল, বৃষ্টি। এখানে প্রায়ই মাঝে মাঝে চা-বাগানের কথা, আমাদের নেপালী চাকর থাপার কথা, উস্প্লাঙের ডাক-রানার খড়গ লিং আমাদের বাংলোতে মাঝে মাঝে ভাত খেতে আগতো তার কথা, মিস্ নর্টনের কথা, পচাং বাগানের মালীমার কথা, আমাদের বাগানের নীচে সেই অদ্ভুত রাস্তাটার কথা, মনে হয় । সেই সব দিনই আমাদের স্বখে কেটেচে। দুঃখের স্বরু হয়েচে যে-দিন বাংলা দেশে পা দিয়েচি । এই জন্তে এই তিন বছরেও বাংলা দেশকে ভাল লাগলে না—মন ছুটে যায় আবার সেই সব জায়গায়, চা-বাগান, সেওলী-বোলা বড় বড় ভকের বনে, উস্প্লাঙের মিশন-হাউসের মাঠে-যেখানে আমি, সীতা, দাদা কতদিন সকালে ফুল তুলতে যেতাম, বড়দিনের সময় ছবির কার্ড জানতে যেতাম, কেমন মিষ্টি কথা বলতে, ভালবাসতে মিস মর্টন, । ভাবতে বসলে এক-একটা দিনের কথা এমন চমৎকার মনে আসে ! . - 붕 응 শীতের সকাল । - বাড়ির বার হয়েই দেখি চারিধারে বনে জঙ্গলে পাহাড়ের ঢালুর গায়ে পাইন গাছের ফাকে বেশ রোদ। আমি উঠতাষ খুব সকালেই, সীতা ও দাদা তখনও লেপের তলায়, চী না পেলে এই হাড়কাপানো শীতে উঠতে কেউ রাজী নয়। শীতও পড়েচে দস্তুরমত। আমাদের বাগানের দক্ষিণে কিছু দূরে যে বড় চা-বাগানটা নতুন হয়েছে,যার বাংলোগুলোর লাল টালির ঢালু ছাদ আমাদের এখান থেকে দেখা যায় পাইন গাছের ফাকে, আজ তাদের লোকজনের চায়ের চারাগাছ খড়ের পালুট দিয়ে ঢেকে দিচ্চে, বোধ হয় বরফ পড়বার ভয়ে। আকাশ পরিষ্কার, স্থনীল, কোনোদিকে এতটুকু কুয়াস নেই ; বরফ পড়বার দিন বটে। * একটু পরে সীতা উঠল। সে রোগ, ফল, ছিপছিপে ।