পাতা:প্রবাসী (ত্রয়স্ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৬৯৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রামমোহন রায় রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর আমাদের প্রাণ বিদ্রোহী। চারদিকে জড়দানব তার প্রকাও শক্তি ও অসংখ্য বাহু বিস্তার করে বসে আছে। ক্ষুদ্র প্রাণ প্রতি মুহূৰ্ত্তে নানাদিক থেকে তাকে নিরস্ত করে তবে আত্মপ্রকাশ করে। এই জড় তার চারিদিকে ক্লাস্তির প্রাচীর তুলে তুলে তার প্রয়াসের পরিধিকে কেবলি সঙ্কীর্ণ করে আনতে চায় । বারম্বার এই প্রাচীরকে ভেঙে ভেঙে তবে প্রাণ আপন অধিকার রক্ষা করতে পারে। তাই আমাদের হৃৎপিণ্ড দিনে রাত্রে এক মুহূৰ্ত্ত ছুটি নিতে পারে না, গুরুভার বস্তুপুঞ্জের নিক্রিয়তার বিরুদ্ধে তার আক্রমণ ক্ষান্ত হ'লেই মৃত্যু। প্রাণের এই নিত্য সচেষ্টভাতেই যেমন প্রাণের আত্মপ্রকাশ, মনেরও তাই। তার অনন্ত জিজ্ঞাস । চারদিকে সত্যের রহস্ত মূক হয়ে আছে। আপন শক্তিতে উত্তর আদায় করতে হয়। অল্প অনবধান হ’লেই ভূল উত্তর পাই। সেই ভুল উত্তরগুলিকে নিশ্চেষ্ট নিঃসংশয়ে স্বীকার করে নিলেই মনের সাংঘাতিক পরাভব । জিজ্ঞাপার শৈথিল্যেই মনের জড়তা । যেমন জীবনীশক্তির নিরুদামেই অস্বাস্থ্য, তাতেই যত রোগের উৎপত্তি, বিনাশের আয়োজন, তেমনি মননশক্তির অবসাদ ঘটলেই মানুষের জ্ঞানের রাজ্যে যত রকমের বিকার প্রবেশ করে। সত্য মিথ্যা ভালমন্দ সমস্ত কিছুকেই বিনাপ্রশ্নে অলস উীরু মন যখন মেনে নিতে থাকে তখনই মনুষ্যত্বের সকল প্রকার দুৰ্গতি । জড়ের মধ্যে যে আচল মুঢ়তা, মানুষের মন দ্বখনি তার সঙ্গে আপোষে সদ্ধি করে তখন থেকে জগতে মাজৰ মনমরা হয়ে থাকে, জড় রাজার খাজনা ད་ནི་འ་ निध्च झरच्च श्रृं८फ़ । আমাদের দেশে একদিন মনের স্বরাজ গিয়েছে ধ্বংস হয়ে। পঙ্গু মনের ছিল না আত্মকর্তৃত্ব, প্রশ্ন করবার শক্তি ও ভাল সে গরিয়েছিল। সে বা গুনেছে তাই মেনেছে, ৰে বুলি ভার কানে দেওয়া হয়েছে সেই বুলিই সে জাউড়িয়েছে। যখন কোনো উৎপাত এসে পড়েছে স্বৰে, তখন তাকে বিধিলিপি বলে নিয়েছে মেনে । নিজের বুদ্ধি খাটিয়ে নূতন প্রণালীতে বুৰ্ত্তমানকালীন সংসার-সমস্তার সমাধান করা তার অধিকার-বহিভূর্ত বলে স্বীকার করার দ্বারা আত্মাবমাননায় তার সঙ্কোচ ছিল না। মনের আত্মপ্রকাশের ধারা সেদিন এদেশে অবরুদ্ধ হয়ে গিয়েছিল। দেশ তখন সামনের কালের দিকে চলেনি পিছনের কালকেই ক্রমাগত প্রদক্ষিণ করেছে—চিন্তাশক্তি যেটুকু বাকি ছিল সে অনুসন্ধান করতে নয়, অমুসরণ করবার জন্তেই । । - স্বপ্তি যখন আবিষ্ট করে তখনি চুরি যাবার সময় । অন্তরের মধ্যে যখন অসাড়ত, বাইরের বিপদ তখনি প্রবল। চিত্তের মধ্যে যার স্বাধীনতা নেই বাইরের দিক থেকে সে কখনই স্বাধীন হতে পারে না। অন্তরের দিকে সবকিছুকে যে অবিসম্বাদে মেনে নেয়, বাইরে অস্কায় প্রভূত্বকেও নামানবার শক্তি তার থাকে না,—যে-বুদ্ধি অসত্যকে ঠেকায় মনে, সেই বুদ্ধিই অমঙ্গলকে ঠেকায় বহিঃসংসারে—নিজীব, মন অন্তরে বাহিরে কোনো আক্রমণকেই ঠেকাতে পারে না। তাই সেদিনকার ভারতের ইতিহাসে বারেবারে দেখা গেল ভারতবর্ষ তার মর্যাস্তিক পরাভবকে মেনে নিলে আর সেই गटन ८धान निरन व न-शनवाब “यन शजाब शबाब्र बिनिष। এই যে তার বাইরের দুর্দশার বোঝা পুীভূত হয়ে উঠল। এ তার অন্তরের অবুদ্ধির বোঝারই সামিল। যখন আমাদের আর্থিক, মানসিক, আধ্যাত্মিক শক্তি ক্ষীণতম, যখন আমাদের দৃষ্টিশক্তি মোহাবৃত্ত, স্বষ্টিশক্তি আড়ষ্ট, বর্তমান যুগের কোনো প্রশ্নের নূতন উত্তর দেবার মতো বাণী যখন আমাদের ছিল না, আপন চিত্তমৈন্ত সদ্ধে লজ করবার মতে চেতনাও যখন ঘূর্বল, সেই দুৰ্গতির দিনেই রামমোহন রায়ের এদেশে আবির্ভাব। প্রবল শক্তিতে তিনি আঘাত করেছিলেন সেই ছয়বস্থার মূলে, বা মাছবের পরম সম্পন্ন স্বাধীনৰুদ্ধিকে অবিশ্বাস করেছে। কিন্তু তখন আমরা সেই দুরবস্থার কারণৰেই পূজা করতে অভ্যস্ত, তাই, cननिन चांबब्रांe ॐizक श्रृंब यtण न७ फेनाङ क्रब्रहि ।