পাতা:প্রবাসী (ত্রয়স্ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৬৯৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ఏనDBO ভাক্তার বলেন, রোগ জিনিষটা দেহের অধিকার সম্বন্ধে দীর্ঘকালের দলিল দাখিল করলেও সে বাহিরের আগম্ভক, স্বাস্থ্যতত্ত্বই দেহের অন্তর্নিহিত চিরন্তন সভ্য। রামমোহন রায় তেমনি করেই বলেছিলেন আমাদের অজ্ঞানকে আমাদের অন্ধতাকে কালের গণনায় সনাতন বলি, কিন্তু সত্যের দিক থেকে তাই আমাদের অনাত্মীয় আগন্তুক। তিনি দেখিয়েছিলেন আমাদের দেশের অন্তরাত্মার মধ্যেই কোথায় আছে বিশুদ্ধ জ্ঞানের চিরপুরাতন চিরনূতন প্রতিষ্ঠা; মনের স্বাস্থ্যকে আত্মার শক্তিকে প্রবল করবার জন্তে, উজ্জল করবার জন্তে ভারতের একান্ত আপন যে সাধন-সম্পদের ভাণ্ডার তারই দ্বার তিনি খুলে দিয়েছিলেন, সেদিনকার জনতা তাকে শত্রু বলে ঘোষণা করেছিল। জাজও কি রামমোহনকে আমরা শত্রু বলে অসন্মান করতে পারি? যার গৌরবে দেশ বিশ্বের কাছে আপন গৌরবের পরিচয় দিতে পারে এমন লোক কি আমাদের অনেক আছে ? দেশের যথার্থ মহাপুরুষের নামে গৌরব করার অর্থই দেশের ভবিষ্যতের জন্তে আশা করা। সে গৌরব প্রাদেশিক হলে সাময়িক হ'লে তার উপরে নির্ভর করা চলে না। সে গৌরব এমন হওয়া চাই সমস্ত পৃথিবী যার সমর্থন করে। রামমোহনের চিত্ত, র্তার হৃদয় স্থানিক ও ক্ষণিক পরিধিতে বদ্ধ ছিল না। খদি থাকত তবে দেশের সাধারণ লোকে অনায়াসে তাকে সমাদর করতে পারত। কারণ যে মানদণ্ড আমাদের নিত্য ব্যবহারের দ্বারা স্থপরিচিত তা বিশেষ দেশকালের, তা সৰ্ব্বদেশ ও চিরন্তন কালের নয়। কিন্তু সেই পরিমাপের দ্বারা পরিমিত গৌরবের জোরে দেশ মাথা তুলতে পারবে না, সৰ্ব্বদেশ কালের সৰ্ব্বলোকের কাছে তাকে আত্মপ্রকাশ করাতে পারবে না। তার মহত্বকে নিম্নভূমিবৰ্ত্তী জনতার জাদর্শকে অনেক উপরে ছাড়িয়ে উঠতে হবে । তাতে ক'রে বর্তমানকালের সাম্প্রতিক রুচিবিশ্বাস ও আচার তাকে নিষ্ঠুর ভাবে আঘাত করতে পারে, কিন্তু তার চেয়ে বড় আঘাত চিরন্তন আদর্শের আঘাত। ডিনাগাচার্থের স্থলন্তের আঘাত উপস্থিতের আঘাত, সেই ऐनश्ऊि मृहूé निरज३ गला क्षएनात्रूष, किरु छब्रउँौब्र रच ইজিতের আঘাত শাশ্বত কালের। সে আঘাতে ধারা বিলুপ্ত इंग्रह छानब्र गमनाभविक लाक्षनित्र अब्रवद्र यशशप्नब्र মহাকাশে ক্ষীণতম স্পন্নও রাখেনি। ক্ষণিক জনারের তুফানে যাদের নাম তলিয়ে যায় ৪ রামমোহন রায় তো সেই শ্রেণীর লোক নন। বিশ্বতি বা ' উপেক্ষার কুহেলিকা তার স্মৃতিকে কিছুকালের জন্ত আচ্ছন্ন রাখলেও লে আবরণ কেটে যাবেই। দেশে আজ নবজাগরণের হাওয়া যখন দিয়েছে, সরে যাচ্চে বাম্পের অন্তরাল, তখন সৰ্ব্বপ্রথমেই দেখা যাবে রামমোহনের মহোচ্চ মূৰ্ত্তি। নব যুগের উদ্বোধনের বাণী দেশের মধ্যে তিনিই তো প্রথম এনেছিলেন, সেই বাণী এই দেশেরই পুরাতন মস্ত্রের মধ্যে প্রচ্ছন্ন ছিল ; সেই মন্ত্রে তিনি বলেছিলেন, “জপাৰ্বণু, হে সজ, তোমার আবরণ অপাবৃত করে। ভারতের এই বাণী কেবল স্বদেশের জন্যে নয়, সকল দেশের সকল কালের জন্যে । এই কারণেই ভারতবর্ষের সত্য মিনি প্রকাশ করবেন র্তার প্রকাশের ক্ষেত্ৰ সৰ্ব্বজনীন। রামমোহন রাম সেই সৰ্ব্বকালের মানুষ। আমরা গৰ্ব্ব করতে পারি স্থানিক ও ও সাময়িক ক্ষুদ্র মাপের বড়লোককে নিয়ে, কিন্তু যাদের নিয়ে গৌরব করতে পারি তারা “পূৰ্ব্বাপরে তোম্বনিধী বগাঙ্ক স্থিত পৃথিবা ইব মানদণ্ডঃ।” তাদের মহিমা পূৰ্ব্ব এবং পশ্চিম সমুদ্রকে স্পর্শ করে আছে। ভারতবর্ষে রামমোহন রায়ের র্যারা পূৰ্ব্ববৰ্ত্তী ছিলেন তাদের মধ্যে অন্যতম কবীর নিজেকে বলেছিলেন ভারতপধিক । ভারতকে তিনি দেখতে পেয়েছিলেন মহাপথরূপে। এই পথে ইতিহাসের আদিকাল থেকে চলমান মানবের ধারা প্রবাহিত। এই পথে স্মরণাতীত কালে এসেছিল যারা, তাদের চিহ্ন ভূগর্ভে। এই পথে এসেছিল হোমারি বহন করে জার্ধ্যজাতি। এই পথে একদা এসেছিল মুক্তিতত্বের আশায় চীন দেশ থেকে তীর্থযাত্রী। আবার কেউ এসেছে সাম্রাজ্যের লোভে, কেউ এল অর্থকামনায় । সবাই পেয়েছে আতিথ্য। এ ভারতে পথের সাধন, পৃথিবীর সকল দেশের সঙ্গে যাওয়া আসার নেওয়া দেওয়ার সন্ধ, এখানে সকলের সঙ্গে মেলবার সমস্ত সমাধান করতে হবে। এই সমস্তার সমাধান যতক্ষণ না হয়েছে ততক্ষণ আমাদের দুঃখের অন্ত নেই। এই মিলনের সত্য সমস্ত মানুষের চরম সত্য, এই সত্যকে আমাদের ইতিহাসে অীভূত করতে হবে। রামমােহন রায় ভারতের এই পথের চৌমাখায় এসে দাড়িয়েছিলেন, ভারতের वा गर्सथ* पान उहे निश । ॐब रुनग्न ख्णि अझच्द्र