পাতা:প্রবাসী (ত্রয়স্ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৬৯৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ফাগুন ? হয়ের প্রতীক-সেখানে হিন্দু মুসলমান খৃষ্টান সকলে মিলেছিল তাদের শ্রেষ্ঠ সত্তায়,—সেই মেলবার আসন ছিল ভারতের মহা ঐক্যতত্ত্ব, একমেবাদ্বিতীয়ং । আধুনিক যুগে মানবের ঐক্যবাণী যিনি বহন করে এনেছেন, তারই প্রেরণায় উৰুদ্ধ হয়ে ভারতের আধুনিক কবি ভারতপথের যে গান গেয়েছে তাই উদ্ধৃত করে রামমোহনের প্রশস্তি শেষ করি – হে মোর চিত্ত পুণ্যতীর্থে জাগো রে ধীরে এই ভারতের মহামানবের সাগরতীরে । 晏 警 晏 繁 হেথা একদিন বিরামবিহীন মহা ওঙ্কারধ্বনি, হৃদয়তন্ত্রে একের মস্ত্রে উঠেছিল রণরণি । তপস্যা বলে একের অনলে বহুরে আন্থতি দিয়া বিভেদ ভুলিল জাগায়ে তুলিল একটি বিরাট হিয়া । একটি গ্রাম্য চিত্রশাল WooD সেই সাধনায় সে আরাধনার যজ্ঞশালার খোলে জাজি দ্বার। হেথার সারে হবে মিলিবারে আনতশিরে এই ভারতের মহামানধের সাগরতীরে। এসে হে আৰ্য, এসে অনাৰ্য্য হিন্দু মুসলমান, এসো এসো আজ তুমি ইংরাজ, এসে এসো খৃষ্টান । এসে ব্রাহ্মণ শুচি করি মন ধরে হাত সবাকার, এসে হে পতিত হোক অপনীত সব অপমানভার । মার অভিষেকে এসে এসো ত্বর, মঙ্গল ঘট হয়নি যে ভরা, সবার পরশে পবিত্র করা তীর্থনীরে আজি ভারতের মহামানবের সাগরতীরে ॥*

  • রামমোহন-শতবার্ষিকীর শেষ বক্তৃত ।

একটি গ্রাম্য চিত্রশালা শ্রীরমেশ বসু পাল ও সেন রাজাদের সময়ে ধৰ্ম্ম, শিল্প প্রভৃতি নানা বিষয়ে বঙ্গদেশ প্রসিদ্ধি লাভ করিয়াছিল। ঐ যুগের লিখিত ধারাবাহিক ইতিহাস আবিষ্কৃত না হওয়ায় ইতস্ততঃ বিক্ষিপ্ত মালমশলা লইয়াই আমাদিগকে সন্তুষ্ট থাকিতে হয়। মামুযের অযত্নে ও প্রকৃতির প্রভাবে প্রাচীন কালের যে-সব স্মৃতিচিহ্ন নষ্ট হইয়া গিয়াছে, তাহার নামটুকুও জানিবার স্বত্র খুজিয়া বাহির করিতে হয়। আরও দুর্ভাগ্যের বিষয় এই যে, যে সব গ্রন্থে এই স্বত্র পাওয়া যাইবার সম্ভবনা তাহ বঙ্গদেশের সীমানার মধ্যে অস্তিত্ব রক্ষা করিতে পারে নাই—তাহার জন্ত নেপাল বা অঙ্গদেশে যাইতে হইয়াছে। একমাত্র সাত্বনার বিষয় এই যে, প্রাচীন মন্দির, মূৰ্ত্তি ও শিলা বা তাম্রলিপির অবশেষ এখনও একেবারে লুপ্ত হয় নাই। অধিকাংশ মন্দিরের চিহ্ন বহু খুঞ্জিয় বা খুড়িয়া বাহির করিতে হয়, আর কখনও কখনও আকস্মিক ভাবে মূৰ্ত্তি ও লিপিগুলি বাহির হইয়া পড়ে। বর্তমান যুগে মূৰ্ত্তি আবিষ্কৃত হইলে তাহা নানাকারণে স্থানান্তরিত হয় ; বড় বড় চিত্রশালা এবং সংগ্রহকারীদের জন্য এ গুলি সংগৃহীত হয়। গত শতাব্দীতে ՊԳ-տԵ এইরূপে একজায়গার মূৰ্ত্তি অন্য জায়গায় চলিয়া গিয়াছে, এখন তাহাদের আদিস্থানের নামটি পর্যন্তও জানিবার উপায় নাই । শিল্পের ধারা ও ইতিহাস বুঝিবার পক্ষে ইহা যে কত বাধা জন্মায় তাহা বলিবার নহে। t আর একটি কথাও ভাবিয়া দেখিবার যোগ্য। দেশের সাধারণ লোকেরা চিত্রশালায় যাইয়া অবাক হইয় মূৰ্ত্তি বা অন্য কিছু দেখে ; তাহারা ঐ গুলির সঙ্গে কোনরূপ আত্মীয়তা বোধ করিতে পারে ন—-ঐ গুলি যে তাহাঁদেরই পূৰ্ব্বপুরুষের কীৰ্ত্তি তাহ ভাবিতেও পারে না। এই জন্য দেশের নানা অংশে প্রাচীন ইতিহাসের হিসাবে কেন্দ্রস্থল বলিয়া গণ্য অঞ্চলগুলিতে স্থানীয় চিত্রশাল স্থাপিত হইলে সাধারণ লোকের শুধু বিস্মিত না হইয়া ঐ সব প্রত্নবস্তুর সহিত একটা বিশেষ যোগ বোধ করিবে। তাহারা শুধু পূজা করিয়াই ক্ষান্ত থাকিবে না, ক্রমশ: শিক্ষাবিস্তারের সঙ্গে যাহাতে প্রাচীন কালের ঐ সব অমূল্য সম্পদ কোনরূপে নষ্ট বা অপসারিত नीं श्छ, ७ॉश्ॉब्र छछ ज८कहे श्व। ७श्क्र* यानांखांद