পাতা:প্রবাসী (ত্রয়স্ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৭০৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ফাগুন बशक्ज्ञन्त्रज्ञाश्रु स्नानाश क्ष्व चककार মহাল পরিদর্শনে যান নাই, শিকার অভাৰে বন্দুকে মরিচ ধরিবার জোগাড় হুইয়াছিল, বন্ধুদের গানের মজলিসও নীরব হইয়া আসিয়াছিল। কি ঘরে কি বাহিরে স্ত্রৈণ আখ্যাটি তিনি ভাল করিয়াই লাভ করিয়াছিলেন। সুজাতা যখন তখন অক্ষযোগ করিয়া কহিত, এ রকম সৰ্ব্বত্যাগী হয়ে কতদিন কাটাবে ? অবনীনাথ হাসিয়া উত্তর দিতেন, অন্তর যার পরিপূর্ণ, বাইরের ত্যাগ তার পক্ষে কিছুই না। কোনদিন বা স্বজাত প্রশ্ন করিত, তোমার মহালের আয় কত ? মাথা চুলকাইয় অবনীনাথ অন্ত কথা পাড়িতেন, চল স্ব—, মহালে বেড়াতে যাবে ? স্বজাত হাসিয়া বলিত, তুমি মহালে যাবে প্রজা শাসন করতে, আমার সেখানে কি কাজ ? অবনীনাথ উত্তর দিতেন, তাদের বলবো মহারাণীর কাছে দরবার করতে ! স্বজাত সহসা গভীর হইয়া কহিত, ঠাট্ট নয়, মহাল দেখা তোমার দরকার। তবে আমায় যদি নিয়ে গিয়ে বনবাসে দিয়ে আসতে চাও ত সঙ্গে নিতে পার । অবনীনাথ সবিস্ময়ে বলিজেন, তোমায় বনবাস দেব আমি ! স্বজাত কাসিয়া বলিত, প্রজাকুরঞ্জনে সীতাদেবীকে যিনি বনে পাঠিয়েছিলেন তিনি ত তোমাদেরই আদর্শ ! অবনীনাথ ঈশ্বং লজ্জিত হইয়া বলিতেন, আমি জানতুম না তোমার শরীর খারাপ । এই হাতপরিহাস একদিন যে সত্য হুইবে তাহা কে জানিত । মাস-কয়েক পরে চন্দনী মহলের ব্যাপারটা এমন ঘোরালো হইয়া উঠিল যে, জমিদারের উপস্থিতি ভিন্ন লে গোলযোগের কোনো নিপত্তিই গজবে না। জাসমপ্রসবা জোতাকে ফেলির অবনীনাথ কিছুতেই প্রবাসঘাত্রায় সম্মত হইলেন না। এদিকে পত্রের পর পত্র জাগিয়া জমিতে লাগিল ; ক্রমে ৰখাট স্বজাড়াও শুনিল। শুনিয়া সে কাদিয়া কহিল, তোমার জন্ম আমার কি একটুও স্বত্তি নেই ? এমন আনন্দের দিনে তুমি জামায় কাদাতে চাও ! 2--שר י কহিলেন, পাগল ! স্বস্থাবস্থায় আট বছর তোমার কাছ-ছাগ হইনি, আর এখন— * স্বজাত কহিল, না গেলে বিষয় যাৰে। ’ অবনীনাথ কছিলেন, যায় যাক, ওর চেয়ে বড় সম্পত্তি তুমি আমায় দিয়েচ। এ-কথায় গধিতা না হয় এমন নারী কোথায়ই বা আছে ? তথাপি স্বজাত চোখের জল ফেলিয়া কহিল, বিষয়ের জন্ত আমিও ভাবি না, কিন্তু যে আসচে তাকে কাণ্ডাল সাজাতে তোমার এত সাধ কেন ? সে আসার সঙ্গে ৰঞ্জি বিষয় যায়, লোকের কাণাকণি আমি সইতে পারব না। তার সৌভাগকে তুমি অমন করে অন্ধকার করে না। “ । অবনীনাথ যতবার সাৰনা দিয়া চোখের জল মুছাইলা । দেন, বিগলিত তুষারের মত সে অবিরল ধারা ততই বৰিতে থাকে। মুজাতা নিজে সমস্ত সহিতে পারে, কিন্তু সপ্তানের দুর্ভাগ্য লইয়া অন্তে ষে সহানুভূতি দেখাইবে ইহা জাহার अमङ्। - অবশেষে নিরুপায় হইয়া অবনীনাথ যাত্রার আয়োজন করিলেন । যাত্রাক্ষণে স্বজাত আসিয়া প্ৰণাম করিতেই হঠাৎ উষ্ণুসে ভাঙিয়া পড়িয়া অবনীনাথ তাহাকে বুকে চাপিয়া ধরিলেন। স্বজাতার অনেক কথা বলিবার ছিল, অবনীনাথেরও ছিল, কিন্তু সকরুণ অশ্রীপ্রবাহ কোনো কথাই বলিতে দিল না । অবনীনাথ মনে মনে প্রতিজ্ঞা করিয়া আসিয়াছিলেন পাচ দিনে মহালের কাজ সারিয়া ফিরিবেন। খাত ফিরিতেনও, কিন্তু গোকাথপুরের বারিক বলিয়া এক জবাধ্য বদ্ধিষ্ণু প্রজা বড় গোল” বাধাইল । রক্ষা-নিম্পত্তিক্ষে সে ब्राजैौ ना इहेब अजीब्र भश जगाडाबद्र बैौज इफाइड লাগিল। জমিদারের পাইক বরফদাজ দিয়া তাহাকে কাছারি-বাড়িতে বাধিয়া জানিয়া কিছু শালম করা যায় না। শাসন করিতে গেলেই দাদার সম্ভাবনা। জপর পক্ষেরও লোক এবং অর্থ দুটি ঘলই প্রচুর। অথচ শাসন না করিলেও অবনীনাথ নায়েবকে কঢ়িলেন, কি করা যায় ? আমাকে শীঘ্রই ফিরতে হবে। . . . . নাবে বলিল, আদালতের আশ্রয় ছাড়া অল্প পথও