পাতা:প্রবাসী (ত্রয়স্ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৭১৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

छद्रखांमग्न , খুজি পায় না। এতই ঘদি অপ্রতিকর সে, উহার কেন তাহাকে ৰাবার কাছে পাঠাইয়া দিন না । মায়ের কোলে মাথা রাখিয়া সে দুই দিনেই এই দুঃস্বপ্ন ভুলিয়া যাইবে । অবসর পাইলেই চাপা জানালায় বসিয়া পুকুরের পানে চাহিয়া থাকে। দুপুরের রৌদ্রে যখন চারিদিক উত্তপ্ত হইয় উঠে, দূর মাঠে ধোয়ার মত স্বৰ্য্যদেব রৌদ্রের জাল বুনিয় চলেন, আত্তপ্ত গাছের পাতা দোলাইয়া অগ্নিপ্রবাহের মত বায়ু বহিয়া চাপার চোখ মুখ ঝলসাইয়া দেয়, তখন বঁাশঝাড়ের নীচে পুকুরের জল ছুইয়া ষে ঝোপটা কুঞ্জ রচনা করিয়াছে তাহারই ছায়ায় অদৃশু এক ডাহুক-দম্পতির বিশ্রম্ভালাপ বড় মধুর হইয়া তার কানে বাজে। উত্তপ্ত গরাদে মাথা রাখিয়া একমনে সেই ডাক শুনিতে শুনিতে চক্ষু মুদিয়া ভাবে,—ঠাণ্ড মেঝে জলে মুছিয়া আধ-অন্ধকার বারানায় তাহার মা তাহাকে কোলের কাছে টানিয়া গুণগুণ স্বরে সংসারের কাহিনী বলিতেছেন—পতিসেবা পরমধৰ্ম্ম। সংসারে স্বাৰ্থত্যাগ না করিলে স্বথ মিলে না। সীতার কাহিনী, সাবিত্রীর পুণ্যগাথা, পদ্মিনীর জহরত্রত কত সে মিষ্ট গল্প। হয়ত তন্দ্র আসে ; গরাদে হইতে মাথা উঠাইম মেঝেয় সে ঢলিয়া পড়ে এবং ডাহুক দম্পত্তির সেই স্বমিষ্ট ডাক শুনিতে শুনিতে একেবারে ঘুমের রাজ্যে চাপার চলনে সে চঞ্চলত নাই, বাক্যে বাহুল্য নাই, দৃষ্টিতে অসংশয়তাই বা কোথায় ? ভরা নদীর মত অলস মন্থর , লজার অবগুণ্ঠনে চাপা মুখের অর্ধেক ঢাকিয়া ফেলিয়াছে। স্বজাতার প্রকাও ছবিটার পনে সে একদুটে তাকাইয়া তাকাইয়৷ কত দিন ভাবিয়াছে, কি গুণ থাকিলে অমনটি হওয়া যায় ? চোখে হাসি, মুখে হাসি, সৰ্ব্বাঙ্গে গলির তরঙ্গ।—জোৎস্নামোড়া নদীর রূপালী স্রোত। ' একদিন টুলটা এ-দিকে টানিয়া আনিয়া আঁচল দিয়া ঘষিয়া ঘাবিন্ধ ছবিটা সে পরিষ্কার করিতে লাগিল। মাথায় কি খেয়াল চাপিল, স্বামীকে ডাকিয়া বাগান হইতে ফুল তুলিবার আদেশ দিল। ফুল আনিলে সারা দুপুর না ঘুমাইয়া একমনে সে মালা গালি। গাখা স্বালা লইয়া আবার সে টুলে গিয়া ७कमृष्ठे cनदेक्ट्रिक क्रांछि ब्रश्णि ! ई. ब्रन बd । भ বলতেন,ইম্রাণী। স্বজাত সেই ইস্রাণী। ঠাকুবেতার মত সে প্রত্যহ এই ছবি পুজা করিবে এবং প্রার্থনা করিবে, cइ cबि,८डयात्र सम्भब ७उष्ट्रेर् चोभा झाँस । ध्कूर्ण मा হইয়া স্বামীর উপকারে যেন লাগিতে পারি। তুমি ধূপের মত নিঃশেষ হইয়াছ, কিন্তু গন্ধে ঘর ভরিয়া আছে। সে গদ্ধের একটুও কি আশীৰ্ব্বাদী স্বরূপ দিবে না ? দিন-দুই আগে বড় মামীম একখানা বই পড়িয়া সকলকে শুনাইতেছিলেন। তাহাতে ধূপের গন্ধের ঐ উপমাটা অমনই সুন্দর করিয়া দেওয়া আছে। শুনি চাপার মুখস্থ হইয়া গিয়াছিল। চোখে জল-কিন্তু চাপার মনে বড় তৃপ্তি। । . ব্যথা জানাইবার সঙ্গিনী যেন সে এতদিনে খুজিা পাইয়াছে — ... সেইদিন অপরান্ত্রে অবনীনাথ সেই ঘরে কি প্রয়োজনে আসিয়াছিলেন;–অকস্মাৎ পুষ্পমালভূষিত ঐ প্রতিমূৰ্বির পানে চাহিয়া তিনি বিমূঢ়ের মত দাড়াইয়া রহিলেন। চকচকে ফ্রেমের মধ্যে স্বজাতার মুখের হালিটি আজিও ত অমান আছে। স্বাস্থ্যসুষমায় ভরা টলটলে মুখ, খুলীতে উজ্জল আয়ত চোখ, এমন কি চিবুকলগ্ন বঁrহাতের ঐ পরিপুষ্ট আঙুলটি পর্যন্ত ভঙ্গীতে অপরূপ। স্বন্দর করিয়া গাথা মালায় স্বজাত সুন্দরতর হইয়াছে। স্বজাতা ত স্বন্দরই ; যে শ্রদ্ধা দিয়া তাহাকে স্বন্দরতর করিয়াছে তাহার প্রতি মন যেন কৃতজ্ঞ হইতে চাহে। বালিকার যত প্ৰগলভতাই থাকুক পূজনীয়দের প্রতি প্রীতি সে পোষণ করে। অবনীনাথের পরিতুষ্টর জন্ত তাহার নেপথ্যের আয়োজন বাহিরের লোক-ভুলানে নছে, সত্যই হৃদয়সম্পর্কে সম্পদশালী। তাহার স্বজাতাকে ষে অবহেলা করে না, তাহার যত কৃত্রিমতাই থাকুক, অবনীনাথের জন্ডর এতটুকু ঋণস্বীকারে দ্বিধা বোধ করিতেছে না। চাপার রুচিজ্ঞানের প্রশংসা করা যায়,—একমাত্র দোষ সে দ্বারিকের মেয়ে } কিন্তু সে যাহাই হোক, সেদিন রাত্রিতে जिनि दफ़ তৃপ্তিতেই জাহার করিলেন। স্থখানা চপ খাইয়াও জার একথান চাহিয়া লইলেন ; মাছের কালিয়াও বার-দুই পাতে