পাতা:প্রবাসী (ত্রয়স্ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৭২২

অর্থনীতি ও পুনর্গঠন ইহেমেন্দ্রপ্রসাদ ঘোষ সমগ্র ভারতবর্ষের অর্থনীতিক অবস্থার যে শোচনীয় পরিণতি ঘটাছে, তাহ যে আর উপেক্ষা করা যায় না, তাহা ভারতসরকার এবং প্রাদেশিক সরকারসমূহও বিশেষভাবে উপলব্ধি করিতেছেন। বাংলার গভর্ণর এ-দেশে আগমন হইতেই আর্থিক দুরবস্থার সহিত সন্ত্রাসবাদের ঘনিষ্ঠ সম্বন্ধের বিষয় উল্লেখ করিয়া জাসিয়াছেন এবং কিরূপে দেশের লোকের আর্থিক অবস্থার উন্নতি সাধন করা যায়, তাহার উপায়চিন্তা করিতে প্রবৃত্ত হইয়াছেন। প্রথমে তিনি সম্রাসবাদের অন্যতম কারণ বলিয়া মধ্যবিত্ত শ্রেণীর বেকার-সমস্তার দিকে অধিক মনোযোগ দিয়াছিলেন এবং স্বল্পব্যয়সাধ্য শিল্পপ্রতিষ্ঠার দ্বারা সেই সমস্তার আংশিক সমাধানের চেষ্টায় সাহায্য করিয়াছেন। সে দিকে কতটুকু ফল হইয়াছে, তাহ পাঠকগণ অবগত আছেন। সে চেষ্ট স্বত প্রশংসনীয়ই কেন হউক না,তাহাতে বাংলার আর্থিক স্বৰ্গতি দূর হইতে পারে না। কারণ, মধ্যবিত্ত শিক্ষিত সম্প্রদায়ের লোক সংখ্যায় অল্প। নানাকারণে—সরকারের ও দেশের লোকের উপেক্ষায় ও অবজ্ঞায়ও বটে—বাংলার বিশাল কৃষক সম্প্রদায় সৰ্ব্বনাশের স্কুলে আলিয়া উপস্থিত হইয়াছে। তাহারা অপূর্ণ জাহারে থাকিতে বাধ্য হয়—অজন্ম হইলে বা কৃষিজ পণ্যের মূল্য হ্রাস হইলে অনাহারে দিনযাপন করে। যাহারা এইরূপ দুর্দশায় দিনযাপন করে, তাহাদিগের স্বাস্থ্য ও শক্তি উভয়ই ক্ষুণ্ণ হয় এবং মনীষার স্ফুরণ হইতে পারে না। আর যে জাতির শতকরা সত্তর-পচাত্তর জন লোক এইরূপ দুখ-দুৰ্দশাগ্রস্ত, সে জাতির উন্নতির উপায় কি? যখন লোকের অবস্থা এইরূপ হয়, তখন সমাজে বিষম বিপ্লবের সম্ভাবনা সৰ্ব্বাই শঙ্কার সঞ্চার করে। ইহা বুৰিয়াই বাংলার গভর্ণর সরঞ্জন এগুলির্মবলিয়াছেন-সৰ্ব্বাগ্রেকৃষিরও কৃষকের উন্নতি ভাল বহন করিতে পারে, তাহার উপায় বিধান করিতে ইৰে। তিনি এই গ্ৰত প্রকাশের সঙ্গে সঙ্গে বাংলার আর্থিক অবস্থার অনুসন্ধান জন্য একসমিতি গঠনের জন্ত এক প্রস্তাব করিয়াছেন সে সমিতি—{ ১ ) স্থানীয় সরকার যে-সব অর্থনীতিক ব্যাপারের অনুসন্ধান করিতে পারিবেন, সেসকল সম্বন্ধে অমুসন্ধান করিবেন এবং ( ) সরকারের সন্মতি লইয়৷ অন্যান্ত বিষয়েও অনুসন্ধানে প্রবৃত্ত হইতে পারিবেন। ভারত-সরকার ব্যাপকৰূপে এই কাজ করিবার জন্ত ব্যবস্থা করিয়াছেন। র্তাহারা বিলাত হইতে দুইজন বিশেষজ্ঞ আনিয়া র্তাহাদিগের সহিত তিনজন ভারতীয়কে একযোগে নিম্নলিখিত বিষয়ে নিযুক্ত করিয়াছেন : - ( ১ ) যে উপকরণ সংগৃহীত হইয়াছে, তাহাতে নির্ভর করিয়া দেশের বর্তমান আর্থিক অবস্থা সম্বন্ধে অনুসন্ধান ; (২) ভারতবর্ষে অর্থনীতিক অবস্থা সম্বন্ধে সংবাদ সংগ্রহ ও তাহা লিপিবদ্ধ করিবার সম্বন্ধে মত প্রকাশ ; (৩) দেশের অর্থনীতিক ব্যবস্থা সম্বন্ধে সব সংবাদ সংগ্ৰহ । কলিকাতায় বক্তৃতাপ্রসঙ্গে বড়লাট লর্ড উইলিংডন এই কাৰ্য্যের গুরুত্ব স্বীকার করিয়া বলিমাছিলেন, অর্থের অভাবে পূর্বেই ইহাতে হস্তক্ষেপ করা সম্ভব হয় নাই। অথচ ফেসব বিভাগে ব্যয়সঙ্কোচ করিবার জন্ত এদেশের লোকমত বহুদিন হইতে বলিয়া জাসিয়াছে, সে-সব বিভাগে যে আশাকুরূপ ব্যয়সঙ্কোচ হয় নাই, ইহা অস্বীকার করা যায় না। দেশের অর্থনীতিক অবস্থার সম্যক্ উপলব্ধি ব্যতীত এবং আবশ্যক সংবাদের অভাবে যে কখন দেশের আর্থিক উন্নতিসাধন নিয়মিত ও পদ্ধতিবদ্ধভাবে হইতে পারে না, তাহ বলাই बांख्णा । cनई जष्ठद्दे विजां८ङe uहेक्रन चछलकॉन श्रेश গিাছে এবং রশিয়া তাহার পর পাঁচ বৎসরে দেশের অর্থনীতিক অবস্থা পুনর্গঠিত করিবার ব্যবস্থা করিয়াছে । . cनं पाशहे श्छेक, अठ निह्न ८य पछांब्रख्-णब्रकांब्र e বাংলা সরকার এই বাধে প্রবৃত্ত হইছেন, ইহা আমরা चांशीब्र क्विद्र बनिब क्ट्विध्मा कब्रि । चावश्चक नश्वान