পাতা:প্রবাসী (ত্রয়স্ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৭২৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

w a সীমানার দিৰে এক পাবাড়াইয়াও উহার ঘোমটার বছর এখন পৰ্য্যন্ত কমে নাই । রাজেন্দ্রাণীর কিন্তু এসব কোনো আপদবালাই ছিল না। সে সকলের সামনেই যাইত, সকলের সঙ্গেই কথাবাৰ্ত্ত বলিত। ভাইদের প্রাইভেট্ টিউটর রণেশ্রের সঙ্গে বসিয়া দিব্য গল্প করিত, দরকার হইলে নিঃসঙ্কোচে তাহার কাছে পড়াও বুঝাইয়া লইত । রাধারাণী দেখিয়া জলিয়া যাইতেন, অথচ স্বামীর জাস্বারা পাইয়া মেয়ে এমন মাথায় উঠিয়াছে যে, তাহাকে বাধা দিয়াও লাভ নাই । এমনিতে রণেন্দ্র ছেলেটি যে কিছু মন্দ তা নয়। ভদ্রঘরের ছেলে, শোনা যায় টাকাওয়ালা পরিবারেরই ছেলে, পড়াশুনায় ভাল, দিব্য ভদ্র, বিনয়ী। কি কারণে বাবার সঙ্গে একটু মনাস্তুর ঘটাতে বাড়ি ছাড়িয়া মেসে চলিয়া আসিয়াছে। প্রাইভেট্ ট্যুশানি করিয়া নিজের খরচ চালায়। কৃষ্ণায়ালের দুই ছেলেকেই তাহার পড়াইবার কথা, কিন্তু রাজেন্দ্রাণীকে কাৰ্য্যতঃ সে পড়ায় বেশী। আর সে শুধু দুই একদিন নয়, মাসের পর মাস একই ব্যাপার চলিতেছে । প্রথম প্রথম রাধারাণী এ ব্যবস্থাটাতে মত না দিলেও কোনোমতে উহা সহ করিয়া যাইতেন। কিন্তু ক্রমেই র্তাহার মনে হইতে লাগিল, বড় বাড়াবাড়ি হইয়া যাইতেছে। মেয়েকে এখন না ঠেকাইলে সে একেবারে হাতের বার হুইয়া যাইবে। স্বামীর সঙ্গে ঝগড়া করা বৃথা, কারণ যত স্বইছাড়া কর্ষে প্রশ্ৰয় দেওয়াতেই তাহার स्वांनन्तः । ডিসেম্বর মাসে রাজেন্দ্রাণীর টেষ্ট পরীক্ষা। কাজেই নবেম্বর মাস হইতে ভীষণ পড়ার তাড়া লাগিয়া গিয়াছে। নিজেও সে বিশ্রাম লয় না, রণেন্দ্র আলিলে তাহাকেও বিশ্রাম দেয় না। মাঝ হইতে রাজেন্দ্রাণীর ভাই দুটি মহাননো ফুক্তি করিয়া সময় কাটাইয়া দেয়। রাধারাণী সন্ধ্যার সময় এক-একদিন রায়ার তদারক ছাড়িয়া ছেলেমেয়ের পড়ার তদারক করিতে আসিতেন । পাশের ঘর হইতে প্রায়ই দেখিতেন রাজেন্দ্রাণী পড়িতেছে, ब्रटनव अफ़ॉइंटडtइ, शै८ब्रन ७श्वर शैौदग्नन छ्हेॉभि कब्रिाउदछ । রণেক্সের সামনে তিনি বাহির হন না, কাজেই মনে মনে আপত্তি অঙ্কুম্ভৰ করিলেও চুপ করিয়াই থাকিতেন। धकदिन छैशंब्र मन हरेण अगरुनैौंइ ब्रकय यांफ़ांवांछि হইতেছে। পড়িবার ঘরে দরজার জাড়াল হইতে উকি মারিয়া দেখিলেন রাজেন্দ্রাণী একমনে জঙ্ক কৰিতেছে, হীরেন ও বীরেন পরস্পরের সঙ্গে খুন্ধটি করিতেছে, এবং রপেজ বিশ্বসংসার ভুলিয়া একপৃষ্টে রাজেন্দ্রাণীর সুন্দর মুখের দিকে চাহিয়া আছে। রাধারাণীর আপাদমস্তক-জলিয়া গেল। - সামলাইতে না পারিয়া পাশের ঘর হইতে তিনি উচু গলায় বলিলেন, “স্থাকে যে কাজের জন্য রাখা হয়, তাই করলেই ভাল। মেয়েকে পড়াবার দরকার থাকলে আমরা আলাদা মাষ্টার রাখব।” বলিয়া ছাদা করিয়া পা ফেলিয়া চলিয়া গেলেন। খানিক পরে গিরি ঝি আসিয়া খবর দিল, “দিদিমণি, মা তোমাকে ভিতরে ডাকছেন ।” - ব্যাপারটার ফল কিন্তু উন্ট হইল। রাজেন্দ্রাণীর মাষ্টারের কাছে পড়া অবগু বন্ধ হইল, কিন্তু পড়িতে ষে, পাইতেছে না, ইহার ছথে নিজের কাছে নিজের মনটা তাহার পরিষ্কাররূপে ধরা পড়িয়া গেল। নিজের অদহ মনোব্যথায় এবং চাঞ্চলে সে নিজেই অবাকৃ হইয়া গেল। রণেজও পূর্বের স্থায় পড়াইতে আসিত বটে, কিন্তু কোনো কাজে তাহার যেন আর মন ছিল না, কোনো গডিকে কাজ সারিয়া, দিয়া সে চলিয়া যাইত। কোনোদিন রাজেন্দ্রাণীর সঙ্গে দুইএক মিনিটের জন্য দেখা হুইত, কোনোদিন হইত না। রাধারাণী স্বামীকে বুঝাইয়া দিয়াছিলেন যে, রাজুগিয়া ছেলেদের পড়ার বড় ব্যাঘাত করে, সেই জন্ত তিনি উহাকে আর. রণেস্ত্রের কাছে পড়িতে যাইতে দেন না । কৃষ্ণদন্থালও তাঁহাই বুঝিয়া কস্তাকে বাহিরের ঘরে পড়িতে যাইতে বায়ণ করিঞ্জ দিয়াছিলেন। রাজুকে আশ্বাস দিয়াছিলেন, প্রয়োজন হইলে, তিনি নিজেই তাহাকে পড়াইবেন। দুই তিন মাল কাটিয়া গেল । রাজেন্দ্রাণী কোনমতে টেষ্ট পরীক্ষায় পাস করিয়া মাটিকও দিল, পালও করিল। আশাহুরূপ ভাল ফল কিছুই দেখাইতে পারিল না, শরীরও তাহার হঠাৎ কেমন যেন ভাঙিয়া পড়িল। ব্যাপার আর কেহ বুঝিবার আগেই রাজেন্দ্রাণীর ম৷ बूकिtऊ शांब्रिह्णम । शंबीब्र इफेक भाzबब मन छ ? ऊँौष** উত্তেজিত হইয়া স্বামীকে বলিলেন, “নাও এখন হ’ল ত মনস্কামনা লিছ ? এখন মেয়ের গতি কি হবে ?”