পাতা:প্রবাসী (ত্রয়স্ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৭৩১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ফাগুন

  • थहॉब्र

ذ سانه তাহাকে উচিত অঙ্কুচিত ভুলাই দিল। চিঠিখান সে রুদ্ধশ্বাসে পড়িয়া ফেলিল । সেদিন কাজকৰ্ম্ম তাহার আর কিছু হইল না। কোনোমতে যেখানকার চিঠি সেখানে রাখিয়া আসিয়া সে চুপ করিয়া গুইয়া পড়িল। রাধারাণী কাৰ্য্যগতিকে ঘরে আসিয়া মেয়েৰুে অসময়ে গুইয়া থাকিতে দেখিয়া জিজ্ঞাসা করিলেন, “তোর কি হয়েছে রে ?” র জেন্দ্রাণী দেওয়ালের দিকে মুখ করিয়া বলিল, “আমার অমুখ করেছে।” দুই দিনের মধ্যে বিছানা ছাড়িম্বা সে উঠিলও না, থাইলও না, কাহারও দিকে তাকাইলও না । চিঠিখানা রণেন্দ্র কৃষ্ণদয়ালের কাছে লিথিয়াছিল বোধ হয় র্তাহার চিঠিরই জবাবে। তাহাতে সে জানাইয়াছে যে হীরেন্দ্র বীরেন্দ্রকে আর সে পড়াইতে পারিবে না। তাহার বাবা এখন কিছুদিন তাহাকে বাড়িতেই রাখিবেন, কারণ রণেস্ত্রের মা অত্যন্ত পীড়িত। আর কৃষ্ণদয়াল যে অনুগ্রহ করিয়া তাহার সঙ্গে রাজেন্দ্রাণীর বিবাহ দিতে চাহিয়াছেন, তাহার এ স্নেহের পরিচয় সে চিরকাল মনে রাখিবে, তবে দুঃখের বিষয় এ অনুরোধ পালন করা তাহার পক্ষে অসম্ভব । রণেদের পিতা অন্য জায়গায় তাহার বিবাহ স্থির করিয়াছেন, র্তাহার মনের বর্তমান অবস্থায় রণেন্দ্র আর অবাধ্য হইয়া র্তাহার মনে ব্যথা দিতে পারে না । মানুষ চিরকাল গুইয়া থাকিতে পারে না, কাজেই রাজেন্দ্রাণী আবার বিছানা ছাড়িয়া উঠিল, কিন্তু বালিক-বয়স হইতে একেবারে যেন প্রৌঢ়ত্বে গিয়া পৌছিল। হাসিখুশী, খেলাধুলা সব তাহার চুকিয় গেল। রণেস্ত্রের বিবাহের চিঠি যেদিন দেখিল সেই দিন মায়ের ঝগড়াঝাটি, রাগারগি সৰ উপেক্ষা করিয়া বাপকে টানিয়া লইয়া কলেজে গিয়া ভৰ্ত্তি হইয়া আসিল । তাহার পর পড়াশুনার ভিতর একেবারে ডুবিয়া গেল। কিন্তু কোনো কিছু অবলম্বন করিয়া শান্তি পাওয়া বিধাতা রাজেন্দ্রাণীর অদৃষ্টে লিখেন নাই। বছর কাটিতেনা-কাটিতে কৃষ্ণদয়াল শক্ত অঙ্কখে পড়িলেন। রাধারাণীর হা-হুতাশ ও কান্নাকাটিতে বাড়ির হাওয়া ভারি হইয়া উঠিল। স্বামী যে গলায় তাহার কত বড় পাথর ঝুলাই পথে ৰসাইরা যাইতেছেন, একথা ক্রমাগতই বিনাইয়া বিনাইবা পাড়াপ্রতিবেশিনীকে শুনাইতে লাগিলেন। রজেন্দ্রাণীর একেবারে অসহ্য হুইয়া উঠিল। মাজের সঙ্গে কোনোদিনই তাহার বনিত না, তাহার উপর ক্রমাগত তাহাকে উদ্দেশ করিয়া এই খোচা দেওয়া তাহাকে যেন বিষের ছুরির আধাতের মত বাজিতে লাগিল। সে রুখিয়া উঠিয়া বলিল, “বেশ ত দাও না বিয়ে দিয়ে, আমায় বিদায় করে। এবাড়ির চেয়ে কতই আর খারাপ হবে।” রাধারাণী মেয়ের কথায় কান্নার -স্রোত আরও বাড়াইম্ব দিলেন, কিন্তু কথাটা ভুলিলেন না। বাড়িত্বে গৃহকর্তার এই অনুথের মধ্যেও ঘটক পুরাদমে যাতায়াত করিতে লাগিল। কৃষ্ণদন্থলের মতামত দিবার মত অবস্থা ছিল না, কাজেই ব্যাপারটা অনেকটা রাজেন্দ্রাণীর মতেই হইল। ভাল, মন, মাঝারী, সব ক'টি বরের ভিতর সে পছন্দ করিল একটি প্রৌঢ় ব্যক্তিকে, তিনি বিপত্নীক, তবে সস্তানাদি নাই । সবাই মিলিয়া মেয়েকে বুঝাইবার অনেক চেষ্টা করিল, কিন্তু মেয়ে কিছুতেই বাগ মানিল না, কঠিন মুখে বলিল, “ঐখানে হলে আমি করব, নইলে তোমরা কিছুতেই আমার বিয়ে দিতে পারবে না।” অগত্য রাজেন্দ্রাণীর বুড় বরেই বিবাহ হইয়া গেল। মেয়েকে বিদায় দিবার সময় মা খুব গলা ছাড়িয়া চীৎকার করিলেন, মেয়ের মুখে চোখে বিষাদের কোন চিহ্ন দেখা গেল না। আৰ্দ্ধ-অচেতন পিতাকে প্রণাম করিয়া বাহিরে আসিবার সময় কেবল সে চোখ ফুটা সকলের অলক্ষ্যে একবার মুছিয়া ফেলিল। খগুরবাড়িও সেইরূপ পাষাণ প্রতিমার মত মুখ করিম্বাই সে আসিল। বর্ণাদি হইয় গেল, মুখদেখার পালা পড়িল । সম্পর্কে তাহার বড় এ-পরিবারে দুই-চারিটি মানুষের বেশী ছিল না, তাহাদের মুখদেখা শেষ হইতেই সম্পর্কে কনিষ্ঠের দল আসিমা প্ৰণামের ধুম বাধাইয়া দিল। সম্পর্কে বড় ননদ একজন সকলের পরিচয় বলিয়া দিতে লাগিলেন। রাজেন্দ্রাণী অবিচলিত ভাবে, যত যুবক-যুবতী, প্রৌঢ়-প্রৌঢ়ার প্রণাম লইতে লাগিল। একজনের দিকে খালি তীব্র দৃষ্টিতে একবার टाकाहेब cनषिण । ८ग विब्रन बनन ५कछि बूदक । . मनन