পাতা:প্রবাসী (ত্রয়স্ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৭৩৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মলন্তন अष्ट्रिशो-ज९झोल | Stroe) ম, অমন করিস না, দেখ আমাকে। কপাল পুড়লেও মানুষকে বেঁচে থাকতে হয়।” - রাজেন্দ্রাণী হঠাৎ বলিল, “ম, আমার সেই দেওরপো রণেন্দ্রকে একবার ডেকে দিতে পার ?” মা কঠিন মুখে বলিলেন, “তাকে আবার কেন ?” রাজেন্দ্রাণী বলিল, “দরকার আছে।” রাধারাণী অগত্যা ছোটছেলে বীরেন্দ্রকে দিয়া রণেন্দ্রকে ডাকাইয়া পাঠাইলেন। রণেন্দ্র প্রথম আসিতে চাহিল না, তাহার পর অনেক বল|-কহার পর আসিল । তাহাকে বৈঠকখানায় বসাইয়া আসিয়া বীরেন্দ্র গিয়া দিদিকে খবর দিল। রাজেন্দ্রাণী বাক্স খুলিয়া একখান মোট খাম বাহির করিল, সেইখানা হাতে করিয়া বাহিরের ঘরে চলিল । রণেন্দ্র তাহাকে দেখিয়া উঠিয়া দাড়াইল মাত্র, কোনো সম্ভাষণের চেষ্টা করিল না । রাজেন্দ্রাণী থামখানা তাহার দিকে বাড়াইম্বা ধরিয়া বলিল, “এটা সাবধানে রাখুন।” রণেন্দ্র একটু ইতস্তত: করিয়া খামখানা হাতে করিয়া জিজ্ঞাসা করিল, “এটা কি ?” রাজেন্দ্রাণী বলিল, “আমার দানপত্র। যা-কিছু আমি জোর কবে অন্যের মুখ থেকে ছিনিয়ে নিয়েছিলাম, তা আবার ফিরিয়ে দিলাম।” রণেন্দ্র মুখ লাল করিম বলিল, “না দিলেই হ’ত। দেখছ ত হাজার কষ্টেও আমরা এখনও মরিনি। তোমার শোধতোলা যে ব্যর্থ হয়ে গেল ? s : - রাজেন্দ্রাণী বলিল, “ব্যর্থ আর কই ? এতেই সম্পূর্ণ হ’ল। ষে টাকার গৰ্ব্বে নারীহত্যা করতে তোমার বাধেনি, সেই টাকা আজ ভিখারীর মত আমারই হাত থেকে নিলে ত? রণেদের ইচ্ছা করিতে লাগিল খামখানা ছুড়িয়া ফেলিয়া দেয়, কিন্তু হাত আর তাহার উঠিল না। দারিত্র্যের নিষ্পেষণে তাহার মকুন্তত্বের কিছু আর অবশিষ্ট ছিল না । বীরেন্দ্র একটু দূরে দাড়াইয়াছিল। সে কাছে আসিয়া ব্যস্তভাবে জিজ্ঞাসা করিল, “সব ত খুব ঘটা করে বিলিয়ে দিচ্ছ, নিজের জন্যে কি রাখলে ?” - -- রাজেন্দ্রাণী হাসিয়া বলিল, “ভয় নেই, তোদের ঘাড়ে চড়ব না। মা শিখিয়েছিলেন ক্রীতদাসীর মত বাধ্যতা, বাপ শিখিয়েছিলেন বনের হরিণের মত স্বাধীনতা। কোনো পথে ত শান্তি পেলাম না। এবার নিজে রাস্ত খুঁজে দেখব।” বীরেন্দ্র দুমদুম করিয়া মাকে খবর দিতে চলিয়া গেল । রণেন্দ্র এতক্ষণে জিজ্ঞাসা করিল, “কোথায় যাবে, রাজেন্দ্রাণী ?” রাজেন্দ্রাণী বলিল, “ভালবাসার পথেও ভুল করেছি, হিংসার পথেও ভুল করেছি, আর কোনো পথ আছে কি-না এবার দেখব। আজ রাত্রেই এখান থেকে চলে যাব।” রণেন্দ্র বলিল, “তোমার ঠিকানাটা আমায় দেবে ?” . রাজেন্দ্রাণী সংক্ষেপে বলিল, “না।” মহিলা-সংবাদ শ্ৰীমতী হেমলতা দেবী সরোজনলিনী নারীমঙ্গল-সমিতির । অবৈতনিক সম্পাদিকারূপে কাৰ্য্য করিতেছেন। সরোজনলিনী নারীমঙ্গল-সমিতি নানাভাবে বাংলার নারীদের সাধারণ ও কার্যকরী বিদ্যাশিক্ষার সুবিধা করিয়া দিতেছেন । শ্ৰীমতী হেমলতা দেবী পুরীর লেডী বসন্তকুমারী বিধবাশ্রম ও অন্যান্ত কয়েকটি জনহিতকর প্রতিষ্ঠানের সঙ্গেও বিশেষভাবে সংশ্লিষ্ট। তিনি সরোজনলিনী নারীমঙ্গল-সমিতির মুখপত্র বঙ্গলক্ষ্মী নামে সচিত্র মাসিক পত্রিকার সম্পাদিকা । শ্ৰীমতী মই ওয়ারেরকর “মহিল" নামে একটি মরাঠা মাসিক পত্রিকা সম্পাদন করিতেছেন । শ্ৰীমতী বিমলা গডরে লওনের র্যাচেল ম্যাকৃমিলান ট্রেনিং কলেজে কিছুকাল অধ্যয়ন করিয়া নাসারী স্কুল টিচাস ডিপ্লোমা প্রাপ্ত হইয়াছেন। ইতিপূৰ্ব্বে কোন ভারতীয় মহিলা এই ডিপ্লোমা লাভ করেন নাই।