পাতা:প্রবাসী (ত্রয়স্ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৭৪২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

هذه বর্ণনা করেন। যাগ কৃত্তিবাণী রামায়ণ বলিয়া প্রচলিত, তাহ যে কত প্রকার পরিবর্তনের পর বর্তমান অবস্থায় পৌঁছিয়াছে, তাহাতে কৃত্তিবাসী জিনিষ যে কত আল্প, এবং তাহা খুজিয়া বাহির করা যে কত কঠিন, তাহা তাহার অভিভাষণ পড়িলে বেশ বুঝা যায়। বিদ্যান্বন্দর সম্বন্ধে তিনি বলেন, যে, উহার গল্প লইয়া হিন্দী, উর্দু, ফারসী এবং ইংরেজীতে পর্যন্ত বই লেখা হইয়াছে, বাংলার ত কথাই নাই। তবে সকলের পূৰ্ব্বে লেখা হয় সংস্কৃতে, তাহ কাশ্মীরদেশীয় পত্তিত কবি বিহ্বলণের লেখা । শাস্ত্রের নামে কি রকম ভেজাল চলে তাহা বিদ্যাভূষণ মহাশয়ের মত নৈঠিক ব্রাহ্মণের অভিভাষণে প্রদত্ত দুটি দৃষ্টান্ত হইতে বেশ বুঝা যায়। পণ্ডিত মহাশয় বলিতেছেন :– ৰাস্তবিকও দেবতারাপীদিগকে কতকটা প্রিভিলেজ দেওয়া স্থায়তঃ ধৰ্ম্মতঃ উচিত । এই দেখুন মহর্ষি ব্যাসদেব রচিত একখানি পুরাণ, নাম তাহার ভধন্য-পুরাণ, বোম্বের ক্ষেমরাজ কোম্পাণী নাগরাক্ষরে মুঞ্জত কম্বিয়াছেন, উহার ৭৬ পৃষ্ঠায় আছে – “মহাদেবেন লোকার্থে ভবিষ্কং রচিনং শুভমৃ” লোকহিতের জস্ত দেবাদিদেব মহাদেব মঙ্গলকর ভৰিত-পুরাণ রচিত করিয়াছেন—অর্থাত মহাদেবের রচিত-পুরাণ, মহর্ষি ব্যাসদেৰ লোকে প্রকাশ করিতেছেন। মহাজের ঐ গ্রন্থে কলিকাতার নাম করিতেছেন । কলিকাতা-পুরী রম্য প্রসিদ্ধাভূৎ মহীতলে । ৪র্থ খণ্ড, ১২ পৃষ্ঠা উক্ত পৃষ্ঠারই চব্বিশ শ্লোকে শিবের উক্তিতে শান্তিপুর' পৰ্য্যন্ত পাইতেছি “গঙ্গাকূলে শান্তিপুর রচিত হেন ধীমতা " তেন অর্থাৎ রাজা শাস্তব গঙ্গাতীরে শাস্তিপুর নগর নির্মাণ করিলেন। আবার ঐ শাক্তিবর্গার পুত্র রাজা নদীৰঙ্গ গৌড়দেশে ‘নদীহা অর্থাৎ "নদীয়,— নবীপ নিৰ্বাণ করিয়া ফেলিলেন, ইহা মহাদেশের কথায়ই পাইতেছি – “চকার নগরীং রম্যাং নদীহাং গৌড়রাষ্ট্রভাক্‌ ৷” পৃষ্ঠা ৯২, শ্লোক ২৫ ইহা ছাড়া ত্রিকালৰণী মহাদেব আরও অনেকের নাম করিয়াছেন, ন্ত্রিনয়নের দেখিবার শক্তির ত ইয়ত্ত নাই ! তাই "রামানন্দ স্বামী, ‘ঞ্জধয়স্বামী ও র্তাহার গীতার টাকা, জয়দেব ও পদ্মাবতী এবং SSBBBBBSBBDD BBB uSDDBBSBBBBBS BDDDB BBBB BBBDDDB BBDSS SDDDDDSkBBBS আনাগিরি ও র্তাহার গীতার টাকা, কবীর, মানক, নিত্যানল প্রভৃতির উৎপত্তি—সমস্তই পঞ্চানন পঞ্চমুখে বলিয়াছেন। পৃথ্বীরাজের প্রতিমূৰ্ত্তির গলায় গুণবতী সংযুক্তার মাল্যদান, জয়চন্দ্র পৃথ্বীরাজের যুদ্ধ পৰ্য্যন্ত ত্রিলোচন প্রত্যক্ষবৎ বর্ণন করিয়াছেন। যুগাবতার গ্রীরামকৃষ্ণ পরমহংসদেবের মাহাঙ্গাবর্ণনেও ভোলানাথের ভুল হয় নাই। তারপর, কৈলাসপাত শঙ্কর কৈলাস ছাড়িয়া একেবারে সমতলে জাiসয় দাড়াইয়াছেন,-হিন্দু ছাড়িয়া অছিপুর দিকে মুখ ফিরাইয়াছেন । কুতুবুদ্দিনকে বলিয়াছেন— ‘পৈশাচ; কতুবুদ্দীনঃ । ( পৃষ্ঠা ৯৩) পরেই অহিন্দুদের মধ্যে তুলনায় সমালোচনার ছলে ইংরাজদের নাম করিয়াছেন, তার বড় ভাল লোক,—তারা— • “ঈশ-পুত্ৰ-মতে সংস্থা স্তষাংহায়মুত্তমম্। খাশিল্প্যার্থমিহারাতা—” ॐ, १: २२8 ঈশ্বরের পুত্র যীশুর মতাবলম্বী,বাণিজ্যের জন্য এই দেশে আসিয়াছে এবং * ‘দগধ্যাং কলিকাতায়াং স্থাপরামানুরস্কতা: পৃঃ ঐ ীে প্রবাসনা গুণ্ড । SOBO তাহারা–কলিকাতা নগরীতে কাজকারবার আরম্ভ করিয়াছে । তাহাদের কে রাজ এবং সে রাজার সিংহাসন কোথায় এবং কেই বা তথায় অধিরূঢ়,—দেবাদিদেব তাহাও খুলিয়া বলিয়াছেন— “বিকটে পশ্চিমে দ্বীপে তৎপত্নী বিকটাবতী” বিকট অর্থাৎ অতি দুৰ্গম পশ্চিম দ্বীপে রাজার পত্নী বিকটবতা— ভিক্টোরিয়া বাস করেন। সেখানে বসিয়া তিনি কি করিয়৷ এই সাত সমুদ্র তের নদী পারে রাজ্য-শাসন করেন । এ-প্রশ্নের উত্তর—মহাদেব মহাশয়ই निम्नांtछ्न-- 'অষ্ট কৌশলমাগেণ রাজ্যমত্র চক্ষার হ ।” আটজন কৌশলী অর্থাৎ কাউনসিলারের সাহায্যে রাজ্য করতেছেন । ইহার পর বিদ্যাভূষণ মহাশয় একখানি ভেজাল তন্ত্রের দৃষ্টাস্ত দিয়াছেন। এ দিকে তন্ত্রও বড় কম চলে না। যখন র্যাহার যাহা খেয়ালে উদিত হইয়াছে, তাহাই তন্ত্রের নামে চালাইয়াছেন। সত্য যত প্রকাশ পায় ততই মঙ্গল । বৃথা মোহের দুচ্ছেদ্য রজুতে অষ্ট্রে-পৃষ্ঠে বাধিয়া বাধিয়া একটা বিরাট জাতিকে দুর্দশার চরম অবস্থায়,-পরম শোচনীয় দশায় আনিয়া ফেলা হইয়াছে। যাহা নিরবচ্ছিন্ন সত্যে পরিপূর্ণ ছিল, লোক-হিতার্থে সঙ্কলিত হইয়া,ছল, তাহাতে অনুস্বার-বিসর্গ-যুক্ত কতকগুলি আজগুবি মিথ্যা ভরিয়া দিয়-এমন যে অনুপম পুরাণতন্ত্র প্রভৃতি গ্রন্থ তাহাদের অস্ত্যেষ্টিক্রিয়া করিতে পূর্বেও যেমন কতগুলি লোক ছিল, এখনও তেমনি আছে। এইবার তন্ত্রের দিকে দৃষ্টি করুন। প্রধানতঃ দেবাদিদেব মহাদেবের মুখ হইতে তন্ত্র নির্গত। কখনও পাৰ্ব্বতী শুনিতেছেন, কখনও বা অন্যান্য দেবগণ শ্রোতা। কোথাও আবার এই দুইএর অতিরিক্ত শ্রোতাও আছেন। হিন্দু শব্দের প্রকৃত অর্থ কি, উহা দ্বারা কি বুঝায়, কাহারা হিন্দু নহে,— ইত্যাদি প্রশ্নের উত্তরে শঙ্কর শঙ্করীকে কৈলাসশিখরে বসিয়া কহিতেছেন ঃ– ‘প্রিয়ে ! তন্ত্রের পশ্চিমামায়ান্তর্গত মন্ত্রসমূহ পারস্ত ভাযায় উক্ত হইয়াছে, তাহার সংখ্যা—আট হাজার আট শত। যে-সমুদয় মস্ত্রের সাধন দ্বারা কলিকালে পাচ জন খান (খ ), সাত জন মীর এবং নয় জন শাহ মহাবল-পরাক্রাপ্ত হইয়া চক্রবর্তী অর্থাৎ সম্রাটু হইবেন, তাহার হিন্দুধৰ্ম্মের বিলোপ সাধন করবেন। হীন কাৰ্য্যকে যাহারা দোষের চক্ষুতে দেখে তাহারাই হিন্দু। আবার তন্ত্রের পূর্বামীয়ে—(তন্ত্রশাস্ত্র চারিভাগে বিভক্ত,—উত্তর, পশ্চিম, দক্ষিণ ও পূর্বআস্নায়) পশ্চিমামায়BBB BB BBBSBBB S BBBBBBBB BBBBB BB S পঞ্চ থানা: সপ্ত মীরা নব শাহা মহাবলীঃ । হিন্দুধৰ্ম্ম-প্রলোপ্তারো জায়প্তে চক্ৰবৰ্ত্তিন । হীনঞ্চ দুষয়তোব হিন্দুরিত্যুচ্যতে প্রিয়ে ! পূৰ্ব্বায়ায়ে নবশতঃ BBB BBBBSS SBSBBSBBBS BBBBB BBBBB BBSS অধিপা মওলানাচ সংগ্রামেধপরাজিতা । ইংরেজা নবটুপঞ্চ লন্ড্রজাশ্চাপ তাৰিন । মেরুতন্ত্র, ২৩ পটল )—যে সমুদয় মন্ত্র আছে তাহা ফিরঙ্গভাষায় উক্ত, কলিকালে সেই সকল মন্ত্রের সাধনাত্বার। পাচ শত উনসত্তর জন ইংরেজ সংগ্রামে অপরাজেয় হইয়া মণ্ডলের অধীশ্বর অর্থাৎ সম্রাট হুইবেক । তাহারা লণ্ডজ অর্থাৎ বর্তমান লণ্ডন-নগর-জাত। মুতরাং তন্ত্রের মতে দেখিতেছি, মহাদেব পারস্তভাযাও একটু একটু জানিতেন, কতজন ধা-সাহেৰ কতজন মীর সাহেব কতজন শাহানশাহ পারস্তে রাজত্ব করিয়াছেন ও করিবেন-বলিতে পারতেন, ফিরিঙ্গীদের ভাষা-বিজ্ঞানেও শিবের বিলক্ষণ দখল ছিল, লগুন-নগরে স্থিত ইংরাজদের সংখ্যা তাহার নখদর্পণে ফুটিয়া উঠিত এবং কৈলাসশিখরে রমে গৌরী পৃচ্ছতি শঙ্করং এর পরই, তিনি হু হু করিয়া প্রিয়াকে সমস্ত বলয়া যাইতেন । পুরাণতন্ত্র প্রভৃতির বহু পূৰ্ব্ববৰ্ত্তী অপৌরষেয় বেদবাক্যেও এইরূপ অদল