কাতিক অর্থাৎ রামমোহন রায় সাক্ষাৎ সম্বন্ধে কায়ন পাস করিয়া সতীদাহপ্রথা নিবারণের পক্ষপাতী ছিলেন না তাহার অভিমত ছিল, পরোক্ষভাবে নীরবে, পুলিসের সহায়তায় এই কৰ্ম্মের অনুষ্ঠান অসম্ভব করিয়া দেওয়া কৰ্ত্তব্য। কাগুন পাস করিয়া সতীদাহ-প্রথা একেবারে নিষেধ করিয়া দিলে লোকের মনে সন্দেহ হইবে, সরকার প্রজার ধৰ্ম্মে হস্তক্ষেপ করিবেন না বায় যে প্রতিজ্ঞ করিয়াছিলেন, এইবার তাহা ভঙ্গ করিলেন ; ইহার পর এদেশের লোককে জোর করির খুঃান कङ्ग क्लङ्केहद । রামমোহন রায় সতীদাহ নিবারণের প্রণালী সঙ্গন্ধে লর্ড উইলিয়ম বেণ্টিঙ্ককে যে পরামর্শ দিয়াছিলেন, অনেক ইংরেজ রাজপুরুষও সেই পরামর্শই দিয়াছিলেন। কিন্তু বেণ্টিঙ্ক এই পরামর্শ গ্রহণ করিতে সম্মত হন নাই । সতীদাহ বিষয়ক কানুন পাস হইবার পনের দিন পরে, ১৮২৯ সালের ১৯শে ডিসেম্বর, বাংলা, বিহার এবং উড়িষ্যার বহু সহস্র হিন্দু এই কামনের বিরুদ্ধে এক প্রতিবাদ-পত্র দাথিল করিয়াছিলেন। সরকার প্রতিবাদিগণকে প্রিভি কৌন্সিলে আপীল করিতে উপদেশ - দিয়াছিলেন, এবং তদনুসারে তাহার। আপীল প্রেরণ করিয়াছিলেন । ১৮৩০ সালের ১৬ই জানুয়ারি রামমোহন রায়, কালীনাথ রায়, হরিহর দত্ত প্রমুখ ৩০০ শত হিন্দু সতীদাহ নিবারণের জন্য আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানাইয় লর্ড উইলিয়ম বেণ্টিঙ্ককে একখানি অভিনন্দন-পত্র প্রদান করিয়াছিলেন । এই সালের নবেম্বর মাসে রাজ রামমোহন রায় যখন ইংলণ্ড যাত্রা করেন তপন সতীদাহ প্রথ! নিবারণের অনুকূলে ব্রিটিশ পালেমেণ্টের বরাবরে বহু হিন্দুর স্বাক্ষরিত একখানি আবেদনপত্র সঙ্গে লইয়া গিয়াছিলেন । রাজা রামমোহন রায়ের সমক্ষেই প্রিভি কেন্সিল সতীদাহের অনুকূল আপীল অগ্রাহ করিয়াছিলেন । কিন্তু ভারতবর্ষের দুর্ভাগ্য, আপীলে জয়ী হইয় রাজ আর দেশে ফিরিয়া আসেন নাই, শত বৎসর পূৰ্ব্বে ব্রিষ্টলে অকালে কালগ্রাসে পতিত হইয়াছিলেন । বেণ্টিঙ্ক পূৰ্ব্বোক্ত মস্তব্যে প্রসিদ্ধ সংস্কৃতবিং হোরেস উইলসনের অভিমত সম্বন্ধে লিখিয়াছেন--- Mr. Wilson considers it to be a dangerous :§§': ::::::::ನಿ 'ಜಿ'R Teligion.” উইলসন মনে করেন, “সতীদাহ হিন্দুধৰ্ম্মের ঠিক অঙ্গ নহে” এইরূপ প্রমাণ করিতে চেষ্টা করিলে প্রকৃত বাধা অতিক্রম করা হয় না, এড়ান হয় মায়, এইরূপ এড়ান বিপজ্জনক । শত বৎসর পরে (s) বিজ্ঞানেশ্বরের “মিতাক্ষরা" ( রচনাকাল আনুমানিক ১১০ খৃষ্টাব্দ ) হইতে আরম্ভ করিয়া জগন্নাথ তর্কপঞ্চাননে “fRITS fest" (Colebrooke's Digest z†TT forf ইংরেজী অনুবাদ ১৭৯৬ খৃষ্টাব্দে প্রকাশিত) পৰ্যন্ত স্মৃতিনিব পাঠ করিলে সতীদাহকে শাস্ত্রবিহিত হিন্দুধর্মের অঙ্গীভূত বলিয়াই মনে হয়। কিন্তু পূৰ্ব্ববৰ্ত্তী মেধাতিথির মনুস্মৃতিভাষে ( ৫।১৫৫ ) দেখা যায়, সহমরণ ধৰ্ম্ম নহে, অধৰ্ম্ম ; এবং এ যাবৎ যত ধৰ্ম্মস্বত্র পাওয়া গিয়াছে তন্মধ্যে বিষ্ণুস্থতি ভি আর কোনও স্বত্রে সহমরণের ব্যবস্থা দেখা যায় না। রাজ রামমোহন রায়ের সময়ে এই সকল গ্রন্থ প্রচলিত ছিল না : তথাপি তিনি সহমরণকে প্রকৃত হিন্দুধর্মের বহিভূত উপধৰ্ম্মের মধ্যে গণ্য করিয়া অসামান্য সূক্ষ্মদশিভার পরিচয় দিয় গিয়াছেন । - সহমরণে দুই প্রকার নরমেধযজ্ঞের একত্র সমাবেশ দেখা যায় - সতীর পক্ষে আত্মবলি, এবং যে-সকল শ্মশানবন্ধু সতীকে দাহ করে, তাহদের পক্ষে নরবলি। নরবলি এবং আত্মবলি প্রসঙ্গে প্রসিদ্ধ জৰ্ম্মণ সমাজবিজ্ঞানবিৎ লিপার্ট লিথিয়াছেন Uncivilized man, unused to thinking in matters not connected with the immediate care of life, is unable either to apprehend vividly the agonies of death or to sympathize with the sufferings of others. This relative easiousness of the savage removes from the way of certain barbarous customs an obstacle which seems, insuperable to, onr practical thinking. What we call “sensitiveness” in these matters is actually the result of thought. If a man lacks practice in thinking, then he also lacks this sensitiveness. The subjects , and facts with which we have to deal in this entire chapter (Chapter XI— Human Sacrifice ) are proof that such a sensitivencSs is not innate in mankind.” অর্থাৎ বলৰ্বর অবস্থায় জীবনধারণের জষ্ঠ উপস্থিত যাহা প্রয়োজনীয়, মানুষের তহি ভিন্ন অন্য কোন বিষয়ে চিন্তা করিবার অভ্যাস না থাকায় বর্ণর মাধুৰ সমীকরূপে মৃতু্যযন্ত্রণ হৃদয়ঙ্গম করিতে পারে না এবং অস্তের যাতনায় সমবেদন অনুভব করিতে পারে না। আমাদের বিচারে নিষ্ঠুর প্রথাগুলির অনুষ্ঠানের যে-সকল বাধা অতিক্রম করা অসাধ্য আমাদের তুলনায় নিৰ্ম্মম বৰ্ব্বরগণের নিকট সেরূপ বাধা উপস্থিত হয় না । এই সকল বিয়ে আমরা যাহাকে বেদনামুভূতি বলি তাহ প্রকৃতপ্রস্তাবে চিস্তার ফল । যে মানুষের চিস্তা করবার অভ্যাস নাই, তাহার এই বেদনামুভূতি •Itt* ai i & wJtrw ( Chapter XI—IIumam $acrifice ) যে-সকল বিষয় এবং যে-সকল ঘটনা আলোচিত হইবে, তাহা সপ্রমাণ করে, যে এই বেদনামুভূতি মানুষের জন্মগত নহে (চিস্তাজনিত ) ৷
- Julius Lippert, The Evolution నీ the Culture, English ... translation by G. P. Murdock, Londoa, 1931, p. 419. - ... . .