পাতা:প্রবাসী (ত্রয়স্ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৭৫৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কর্মকান্তনু ". છુંछूबिकन्नं . ꬃመኖ ভূমিকম্পের বিষয় ধরা যাক। এই ভূমিকম্পের পূৰ্ব্বে ১৪ই এবং ১৫ই জানুয়ারীর মধ্যে তিনটি ক্ষীণ কম্পন ভূকম্প-যন্ত্রে রেখাপাত করিয়াছিল। এই তিনটি কম্পনের এপিসেন্টারের দূরত্ব সাড়ে পাঁচ শত মাইল হইতে তিন শত মাইলের মধ্যে । ইহা কি আসন্ন বিপদের পূৰ্ব্বাভাষ ? যাহা হউক, ক্ষীণ কম্পন প্রধান কম্পনের পূৰ্ব্বাভাষ কি-না তাহ ধরা কঠিন। আলিপুর মানমন্দিরে ১৫ই ও ২০ এ জাকুয়ারীর মধ্যে প্রধান কম্পনের পর আটাশ বার মৃদু কম্পন হইয়াছে। ২২এ তারিখে চীনে এবং ২৯এ তারিখে মেকৃসিকোতে ভীষণ ভূমিকম্প হইয়া গিয়াছে। উত্তর-বিহারের ভূমিকম্পের সঙ্গে এই দুইটির কোনও সম্পর্ক আছে কি-না তাহা এখনও বিবেচনাধীন। উত্তর-বিহারের ভূমিকম্পের উত্তেজক কারণ হিসাবে এইগুলির উল্লেখ করা যাইতে পারে,— ( ১ ) গত মন্তনের সময় কুমায়ুন পাহাড়ে অতিরিক্ত, এবং খাসি-জয়স্তিয়া পাহাড়ে অত্যন্ত্র বারিপাত । ( 2 ) গত ২১এ নবেম্বর ( ১৯৩৩) গ্রীনল্যাণ্ডের সন্নিকট বেফিন উপসাগরে প্রচণ্ড ভূমিকম্প । ( ৩ ) উত্তর-পশ্চিম ভারতে বায়ুমণ্ডলের বিপৰ্য্যয় হেতু "গত ১১ই হইতে ১৪ই জানুয়ারীর মধ্যে শীত-তরঙ্গের পঞ্জাব হইতে বঙ্গদেশে আগমন । বৰ্ত্তমান ভূমিকম্পের এপিসেন্টার একটি ত্রিভুজের মত— কাটমণ্ডু, ছাপরা ও ভাগলপুর ইহার তিনটি কোণ । ভূতত্ত্ববিদেরা ঐ স্থানের জরিপ না-করা পৰ্য্যস্ত ইহার প্রান্তরেখা নিৰ্দ্ধারণ করা যাইবে না। যন্ত্রে কলিকাতায় যে কম্পন অঙ্কিত হইয়াছে তাহা ইহার নিকটতম ভাগলপুর অঞ্চল হইতে আসিয়াছে এবং আলিপুর মানমন্দির বিহারকেই ইহার এপিসেন্টার ধাৰ্য্য করেন। এই ত্রিভুজের রেখাগুলি হইতে আরও বুঝা যায় যে কম্পনের প্রচণ্ডত পূৰ্ব্বদিকে আসাম জপেক্ষা পশ্চিমে রাজপুতানায় অতি জয়ই অনুভূত হইয়াছে। . . yB=& : -- কম্পন দক্ষিণ দিকেও দ্রুত বিস্তৃত হইয়া হ্রাসপ্রাপ্ত হইয়াছিল— ইহার কারণ নিম্ন বাংলার ভূমি অৱস্থিতিস্থাপক রকমের ७व छैर्सद्र । এই প্রসঙ্গে ইহাও উল্লেখযোগ্য যে, কাটমণ্ডুর ছয় শত মুজাফরপুরে কাটুর থানার নিকট ভূমিকম্প জনিত জলমুৰী। ইহা , , হইতে জল ও বালু বহির্গত হইতেছে। শ্রীরাম শৰ্ম্ম কর্তৃক গৃহীত ফোটে। মাইল পশ্চিম-উত্তরে কাংগ্রাভ্যালিতে ১৯০৫ সনের ৪ঠা এপ্রিল ভীষণ ভূমিকম্প হয়। ইহার কেন্দ্রস্থান ছিল দুইটি এবং পরস্পরের দূরত্ব পঞ্চাশ মাইল। ভূতত্ত্ববিদগণ পরে বলিতে পারিবেন বৰ্ত্তমান ভূমিকম্পও এই ধরণের কি-না । -- কেহ কেহ বলেন, উত্তর-বিহারের ভূমি আগ্নেয়গিরি উৎপাদনের অমুকুল হইয়াছে, কাহারও কাহারও মতে ঐ অঞ্চলে মৃত আগ্নেয়গিরি এখনও বর্তমান। ভূমিকম্প ষেরূপ বিস্তৃত ভূখণ্ডব্যাপী হইয়াছে তাহাতে ইহা ভূমির গঠনমূলক বলিয়াই মনে হয়। উত্তর-বিহারের নিম্নস্থ ভূপৃষ্ঠের কোন স্থানে নেপালের পাহাড়ের অংশবিশেষ পড়িয়াছিল এবং সেই জন্তই সম্ভবতঃ ভূমিকম্পের উৎপত্তি হইয়াছে । আগ্নেয়গিরির উৎপত্তির আশঙ্কা উত্তর-বিহারে নাই বলিলেই হয়। ভূমিকম্পের তালিকা দৃষ্ট বুঝা যায়, বিহারে শত্র আর প্রবল কম্পনের সম্ভাবনা নাই। তবে এখন কিছু কাল অল্প-স্বল্প কম্পন অমৃদ্ভূত হইবে।