68 প্রবাসন শু নরবলি এবং আত্মবলি সম্বন্ধে হিন্দুশাস্ত্রে যে-সকল প্রমাণ পাওয়া যায়, তাহাও অধ্যাপক লিপাটের সিদ্ধান্ত সমর্থন করে। এই সকল প্রমাণ হইতে দেখা যায়, চিন্তাশীলতায় সৰ্ব্বাস্ত্রগণ্য ব্রাহ্মণ জাতির মধ্যেই এই বেদনামুভূতি সৰ্ব্বাপেক্ষা প্রবল ছিল, সকল প্রকার নরবলি এবং আত্মবলি তাঁহাদের পক্ষে নিষিদ্ধ ছিল। এক দিকে ব্রাহ্মণ এবং ব্রাহ্মণামুগত ক্ষত্রিয়, এবং আর এক দিকে নানা প্রকার নিষ্ঠুর আচারপরায়ণ ইতর জাতিনিচয়, এই উভয়ের মধ্যে সাহাতে অত্যন্তসংসর্গ এবং শোণিতমিশ্রণ ন ঘটে, এই জন্যই বোধ হয় আদৌ অস্পৃশ্যতা ও অসবর্ণ বিবাহের নিষেধ বিহিত হইয়াছিল। এই সকল বাধা সত্ত্বেও দীর্ঘকাল আচারগুদ্ধি, এমন কি শোণিতশুদ্ধি রক্ষা করা সম্ভব হয় নাই ; সুতরাং সহমরণের মত অনাচার ব্রাহ্মণ-সমাজেও বিস্তারলাভের অবসর পাইয়াছিল। সেই অধঃপতনের সময় মিতাক্ষরাকার বিজ্ঞানেশ্বর মেধাতিথির প্রতিবাদ করিয়া সহমরণের শাস্ত্রীয়তা প্রতিপাদন করিতে চেষ্টা করিয়াছিলেন ; এবং পরবর্তী স্মৃতিনিবন্ধে বিজ্ঞানেশ্বরের কথারই প্রতিধ্বনি শুনা যায়। কি মহান উদ্দেশু লইয়া বেণ্টিঙ্ক সতীদাহ-প্রথা নিবারণ করিয়াছিলেন, তাহার মস্তব্যের উপসংহার ভাগের এই কথাগুলিতে তাহার পরিচয় পাওয়া যায়--- The first and primary object of my heart is the benefit of the Hindus. I know nothing so important to the improvement of their future condition, as the establishment of a purer morality, whatever their belief, and a more just ಣ್ಣಣ್ಣ of the will of God. The first step to this, better, understanding will be dissociation of religious belies and practice from blood and murder. They will then, when no longer under this brutalizing excitement, view, with more calmness, acknowledged truths. They will see that there can be no inconsistency in the ways of Providence, that to the command received as l)ivine hw all races of men, “No, innocent blood shall bß spil".” there can be no exctption and when they shell have been convinced of , the error of this first aid most climinal of their customs, may it not be hoped, that others which stand in the way of their improvement may likewise pass away, and that thus emnncipated from those chains and shackles upon their minds and actions, they may no + নরবলি এবং আয়ুবলি বিনয়ক প্রস্তাবে এই সকল প্রমাণু আলোচিত v#tą i szą swą Memoirs of the Archanological Surrey of India, No. 41a offo oso I SOBO longer continue as they have done, the slaves of every foreign conqueror, but that they may assume their just places among the great families of mankind?' I disavow in these remarks or in this measure any view whatever to conversion, to our own faith. Í write and feel as a Legislator for .the Hindoos, and as I believe many enlightened Hindoos think and feel. শেষ পংক্তিতে বেণ্টিঙ্ক অবগু রাজা রামমোহন রায় এবং তাহার বন্ধুগণকে লক্ষ্য করিয়াই বলিয়াছেন, “আমি বিশ্বাস করি, জ্ঞানালোকে আলোকিতচিত্ত অনেক হিন্দুও আমার মত চিন্ত৷ করেন এবং অনুভব করেন।” বেণ্টিঙ্কের এই মন্তব্য লেখার পরে শতাধিক বংসর গত হইয়াছে ; রাজা রামমোহন রায়ের দেহত্যাগের পরে শত বৎসর গত হইয়াছে। এই শত বৎসর কাল প্রবল বেগে পাশ্চাত্য শিক্ষার বিস্তার চলিয়াছে। কিন্তু অষ্টাদশ শতাব্দীর শেষভাগে সতীদাহ, গঙ্গাসাগরে পুত্রবিসর্জন, ধর্ণ দিয়া (প্রায়োপবেশন করিয়া) আত্মহত্য প্রভৃতি যেসকল নিষ্ঠুর আচার অধঃপতিত হিন্দুর হৃদয়ের নিৰ্ম্মমত সুচিত করিত, সেই নিৰ্ম্মমত এখন সম্পূর্ণ বিদূরিত হইয়াছে কি? ম্যুতিতে ( ৮৪৯) বিহিত হইয়াছে, খাতকের নিকট হইতে প্রাপা টাকা আদায় করিবার জন্ত মহাজন “আচরিত” অনুষ্ঠান করিতে করিতে পারে। মেধাতিথি লিখিয়াছেন— “আচরিতমভোজনগুহম্বারোপবেশনাদি ।” অর্থাৎ, অনাহারে থাতকের দরজায় বসিয়া থাকার নাম “আচরিত" সুতরাং ধর্ণ বলিতে এখন যা বুঝায় প্রাচীনকালে তাহাকেষ্ট “আচরিত" বলিত। কোন কোন স্মৃতিকার “প্রায়োপবেশন” “আচরিত” শব্দের প্রতিশবারূপে ব্যবহার করিয়াছেন। বর্তমানে জেলখানায় বা অন্যত্র যে প্রায়োপবেশন অতুষ্ঠিত হইতেছে, তাহ খাতককে লক্ষ্য করিয়া অনুষ্ঠিত প্রাচীন তন্ত্রের “আচরিত” নহে, পাশ্চাত্য hunger-strike । আমাদের দেশের শাস্ত্রে প্রয়োপবেশনে মৃত্যুর নিন্দা দেখা যায়। বৈথানসম্মার্ক-সুত্রে বিহিত হইয়াছে ( ৫৷১১ ), “ব্যর্থ প্রায়োপবেশনে মৃত ব্যক্তির শব দাহ করা কৰ্ত্তব্য নহে ।” বিষ্ণুস্থতিতে (২২৪৭) অনশন করিয়া আত্মহত্যাকারীর অশৌচ গ্রহণ নিষিদ্ধ হইয়াছে।
পাতা:প্রবাসী (ত্রয়স্ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৭৬
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।