পাতা:প্রবাসী (ত্রয়স্ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৭৭১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

হলন্তন মহাত্মা গান্ধীর বঙ্গদেশে আগমন মহাত্মা গান্ধী আগামী আগষ্ট মাস পর্যন্ত কেবলমাত্র অবনত জাতিদের উন্নয়ন ও সেবার ব্যবস্থা করিবার নিমিত্ত ভারতবর্ষের নানা প্রদেশ ও স্থান পরিদর্শন করিবেন। তিনি শীঘ্র বাংলা দেশেও আসিবেন । রাজনৈতিক কোন আলোচনা বা আন্দোলন-করা তাহার অভিপ্রেত নহে। তিনি অবনত শ্রেণীর লোকদের উন্নয়নের জন্য যে চেষ্টা করিতেছেন, আমরা তাহার সমর্থক—যদিও তাহার কার্য্যপ্রণালী সম্বন্ধে দুএকটা বিষয়ে আমাদের মতভেদ আছে । বাংলা দেশে তাহার শুভাগমন হউক, আমরা চাই । যদি তিনি রাজনৈতিক কোন কাজে আসিতেন, তাহ হইলেণ্ড তাহার আগমনকে শুভ মনে করিতাম। কারণ, র্যাহাদের রাজনৈতিক মত ও কাৰ্য্যপ্রণালী মহাত্মাজীর মত ও কার্যপ্রণালী হইতে সম্পূর্ণ আলাদা-আমাদের তাহ নহে, তাহারা নিরপেক্ষ বিবেচক ও সত্যবাদী হুইলে র্তাহাদিগকেও স্বীকার করিতে হইবে, যে, রাজনীতি ক্ষেত্রে মহাত্মাজী ভারতবর্ষীয়দের মনে নৈরাপ্তের জায়গায় আশ, ভয়-বিহবলভার স্থানে সাহস এবং স্বার্থপরতা ও আরাম প্রিয়তার পরিবর্তে আত্মোৎসর্গ ও দুঃখবরণের প্রবৃত্তি যে-প্রকারে প্রতিষ্ঠিত করিয়াছেন, সেরূপ আর কেহ করিতে পারেন নাই ।

    • =+

ভারতীয় লিবার্যালদের বার্ষিক অধিবেশন ভারতীয় উদারনৈতিকদের কনফারেন্স এবার মান্দ্রাজে হইয়াছিল। কলিকাতার শ্ৰীযুক্ত যতীন্দ্রনাথ বস্ব তাহার সভাপতি নির্ধ্বাচিত হইয়াছিলেন। তিনি তাহার অভিভাষণটি ফেনাইয় বড় করেন নাই, সংক্ষেপে বিশদভাবে নিজের বক্তব্য বলিয়াছিলেন। তাহাতে প্রধানতঃ হোয়াইট পেপারের সমালোচনা ও দোষ প্রদর্শন ছিল। কনফারেলের প্রধান প্রস্তাবও হোয়াইট পেপার বিষয়ক । “ঠিকৃ-মাননী" স্তার তেজबांशश्ब गle ॐशंब्र भै-दिषब्रक शैई भख्रश ७वर গোলটেবিল বৈঠকের ব্রিটিশভারতীয় প্রতিনিধি”দের মন্তব্যে তাহারা বাহ চাহিয়াছেন, উদারনৈতিকদের প্রস্তাবে তাহ অপেক্ষ বেশ চাওয়া ইয়াছে। জহারাবলিয়াছেন,কোনসংস্কার বিবিধ প্রসঙ্গ-ভারতীয় মহিলাদের কনফারেজ - বিধিতেই ভারতবর্ষের প্রয়োজন সিদ্ধ হইবে না এবং তাহ > ভারতীয় মহাজাতির রাষ্ট্রীয় আকাঙ্ক্ষা পূর্ণ করিবে না, ও রাজনৈতিক অসন্তোষ দূর করিবে না, যদি তাহা ভারতবর্ষকে আইন দ্বারা নির্দিষ্ট অল্পসময়ের মধ্যে ডোমীনিয়নের মর্যাদা ও ক্ষমতা না দেয়। ‘ওয়েষ্ট মিনষ্টার ষ্ট্যাটউট’ নামক আইন বিলাতে পাস হওয়ার পর ডোমীনিয়নত্ব ও স্বাধীনতায় সারতঃ বেশী তফাৎ নাই। স্বতরাং উদারনৈতিকরা ছোট দাবী করেন নাই। তবে সমালোচকরা বলিতে পারেন, “তোমরা সমালোচন ও দাবী করিয়াছ, খুব রাজনীতিজ্ঞান দেখাইয়াছ,কিন্তু গবয়েণ্ট তোমাদের কথা না শুনিলে কি করিবে ?” তাহা সত্য। তবে বর্তমান অবস্থায় কংগ্রেসওয়ালারও সমালোচনা ছাড়া আর কিছু করিতেছেন না—আগে করিয়াছেন বটে। অতএব সব রাজনৈতিক দল একত্র হইয়া হোয়াইট পেপারের অযথেষ্টত, অসন্তোষজনকতা, ও দোষাবলী দেখাইয়া একটা সম্মিলিত জাতীয় দাবী করিলে ভাল হইত। কিন্তু “সাম্প্রদায়িক মীমাংলা” বাদ দিয়া সকল দলের কনফারেন্স করা অসম্ভব। তাহাকে সৰ্ব্বল-কনফারেন্স নাম দিলেও তাহা সে নামের যোগ্য হইবে না ; কেন না, তাহাতে সব দল যোগ দিবে না। ভারতীয় সমাজসংস্কার-সভার অধিবেশন আগে আগে প্রতিবৎসর কংগ্রেসের সঙ্গে ভারতীয় সমাজংস্কার-সভার অধিবেশন হইত। তাহা কিছু দিন বন্ধ ছিল । এবংসর তাহা মাত্মাজে হওয়ায় স্বধী হইলাম। সার্ডেন্টস অব ইণ্ডিয়া ( “ভারত-ভৃত্যু”)-সমিতির সভাপতি প্রসিদ্ধ লোকহিতকৰ্ম্মী শ্ৰীযুক্ত গোপালকৃষ্ণ দেবধর সভাপতি নির্বাচিত হন। তাহার অভিভাষণে তিনি “অস্পৃশ্বতা”কে হিন্দু সমাজের প্রধান কলঙ্ক ও দুৰ্ব্বলতা বলেন, এবং उोश मूत्र করিবার নিমিত্ত মাহাত্মা গান্ধী যে চেষ্টা করিতেছেন, তাহার জন্য তাহার অতি স্থায্য প্রশংসা করেন। কক্ষরেন্সেও এই বিষয়ে একটি প্রস্তাব ধার্ঘ্য করা হয়। অন্যান্ত সব প্রয়োজনীয় বিষয়েও প্রস্তাব ধার্ঘ্য হয়। ভারতীয় মহিলাদের কনফারেন্স ভারতীয় মহিলাদের কনফারেন্স এবার কলিকাতায় হইয়াছিল। লাহোর হাইকোর্টের জজ তার আবদুল কাদিরের